|
|
|
|
ফের ধাক্কা ট্রেনের, দু’টি হাতি জখম |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ফের দূরপাল্লার ট্রেনের ধাক্কায় দু’টি বুনো হাতি জখম হল ডুয়ার্সের জঙ্গলে।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বানারহাটের রেড ব্যাঙ্ক চা বাগান লাগোয়া এলাকায় প্রায় ৫০-৬০টি হাতি শিলিগুড়ি জংশন-আলিপুরদুয়ার রেললাইন পেরোচ্ছিল। সেই সময় আলিপুরদুয়ার-আসানসোল প্যাসেঞ্জারের ধাক্কায় দু’টি পূর্ণবয়স্ক হাতি জখম হয়। একটি লাইনের ধারে পড়ে রাতভর আর্তনাদ করেছে। দ্বিতীয়টি চিৎকার করে পাশের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। |
|
গরুমারা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আহত হাতিটিকে। বানারহাটের রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানের কাছে রাজকুমার মোদকের তোলা ছবি। |
দু’টি হাতিকেই বনকর্মীরা রাতে চিহ্নিত করেছেন। তবে গুরুতর জখম একটি হাতির প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করতে প্রায় ১২ ঘণ্টা লেগে যায়। জঙ্গলে ঢুকে পড়ায় অন্যটির চিকিৎসাই করা যায়নি। জলপাইগুড়ির ডিএফও কল্যাণ দাস বলেন, “খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছই। বন্যপ্রাণ বিভাগ থেকে চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। জখম যে হাতিটি জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে, তার উপরেও নজরদারি চলছে।”
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনের ধাক্কায় লাইনের ধারে ছিটকে পড়া স্ত্রী হাতিটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে গরুমারা নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। পিছনের বাঁ দিকের পা ভেঙে যাওয়ায় সেটি দাঁড়াতে পারছে না। হাতিটির গায়ে অসংখ্য ক্ষত তৈরি হয়েছে। কোমরের অংশ ফুলছে। ফলে, হাতিটিকে বাঁচানো সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
ওই রাতেই জলপাইগুড়ির দুই ডিএফও ঘটনাস্থলে রওনা হয়ে যান। রাতের অন্ধকারে এবং ঝড়বৃষ্টির জন্য জখম হাতির আশপাশে যাওয়া সম্ভব হয়নি বলে বনকর্মীরা জানান। আলো ফোটার পরে হাতিটিকে চিহ্নিত করা হলেও, চিকিৎসা শুরু করতে সকাল ১০টা বেজে যায়। চিকিৎসক-সহ প্রশিক্ষিত বনকর্মীরা পৌঁছনোর পরে হাতিটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয়। পরে তাকে ক্রেনের সাহায্যে ট্রাকে তুলে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে নিয়ে এসে চিকিৎসা শুরু হয়। ততক্ষণে দুপুর গড়িয়ে গিয়েছে।
এই এলাকায় বুনো হাতির পালের ঘোরাফেরা নিত্যদিনের ঘটনা। ভুট্টা খেতে হাতির পাল রাতে ঘনঘন লাইন পারাপার করে। শনিবারও ওই সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে বলে বন দফতরের অনুমান। সম্প্রতি হাতির সঙ্গে ট্রেনের সংঘাত এড়াতে ‘মনিটরিং কমিটি’ গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে ওই মনিটরিং কমিটিতে কারা থাকবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। |
|
|
|
|
|