ফের হাতির হামলার ঘটনা ঘটল বিষ্ণুপুরে। শনিবার রাতে বন বিভাগের বাঁকাদহ রেঞ্জ লাগোয়া মড়ার ও চাঁচর গ্রামে হামলা চালায় দুই দাঁতাল। মড়ার গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শোভন দালালের বাড়ি। তাঁর বাড়ির রান্নাঘর ভেঙে বস্তাভর্তি চাল খায় দাঁতালেরা। ভাঙে বাসনপত্রও। কয়েক কিমি দূরে চাঁচরে একটি চায়ের দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে বিস্কুট ও চিনিও খেয়ে ফেলে তারা। ঘটনার কথা স্বীকার করে রবিবার বাঁকাদহ রেঞ্জ অফিসার বলাই ঘোষ বলেন, “মড়ারের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য এ দিনই নতুন বাসনপত্র ও রান্নার চাল কিনে দেওয়া হয়েছে। চাঁচরে চায়ের দোকানের মালিককেও ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছি।” তাঁর কথায়, “জেলার বিভিন্ন জঙ্গলের ১০টি রেসিডেন্ট হাতি এই এলাকায় জড়ো হয়েছে। তারা রোজই হামলা চালাচ্ছে। আমরা বনকর্মীদের নজরদারি বাড়াতে বলেছি।” |
সাপের ছোবলে মৃত্যু হল এক যুবকের। পুলিশ জানায় মৃতের নাম রুবিন মুর্মু। বাড়ি ঝাড়খণ্ডের পাখুড়িয়া থানার বনিডাঙা। এ দিন সকালে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ওই যুবককে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। |
শনিবার রাতে গোসাবার এমিলিবাড়ি গ্রামের জঙ্গল থেকে একটি বাঘকে খাঁচাবন্দি করেছিল বন দফতর। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সুন্দরবনের সুধন্যখালি জঙ্গল থেকে গোমর নদী সাঁতরে সোনাগাঁও গ্রামে হানা দেয় আরও একটি বাঘ। রবিবার রাতে ওই বাঘটিকেও খাঁচা পেতে ধরা হয়। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের এডিএফও অঞ্জন গুহ জানিয়েছেন, দু’টি গ্রামে দু’টি বাঘিনি ঢুকে পড়েছিল। প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আজ সোমবার তাদের জঙ্গলে ছাড়া হবে। দ্বিতীয়টিকে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করছেন। অনুমান করা হচ্ছে তার বয়স প্রায় চার বছর। বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গভীর রাতে সোনাগাঁওতে ঢোকে বাঘটি। রাজকুমার মণ্ডলের গোয়ালে ঢুকে বাঘটি তিনটি ভেড়া মারে। ভেড়ার চিৎকারে রাজকুমারবাবুর ঘুম ভেঙে যায়। তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন গোয়াল থেকে বাঘটি বেরিয়ে যাচ্ছে। তাঁর চেঁচামেচিতে গ্রামবাসীরা বেরিয়ে আসেন। বাঘের পায়ের ছাপ ধরে অনুসরণ করে তাঁরা নদীর কাছে একটি জঙ্গলের ধারে পৌঁছন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বনকর্মীরা। এর পরে জঙ্গলটিকে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। পাতা হয় দু’টি খাঁচা। রবিবার সন্ধ্যায় বাঘটি খাঁচায় ধরা পড়ে। |