মোজাম্মেলকে জেল হাজতের নির্দেশ বিচারকের
সিপিএমের আরামবাগ জোনাল কমিটির সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেনের জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁকে জেলহাজতের পাঠানোর নির্দেশ দিলেন বিচারক। রবিবার ধৃত নেতাকে তোলা হয় আরামবাগ মহকুমা আদালতে। পরবত শুনানির দিন আগামী ৮ জুলাই ধার্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোজাম্মেলের আইনজাবী তপন হাজরা। এ দিন সকালে ধৃত নেতাকে আদালতে তোলার আগে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। সেখানে আগে থেকেই হাজির ছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে তাঁরা ধৃত নেতার শাস্তির দাবি তুলে স্লোগান দেন। অন্য দিকে, শনিবার সিপিএমের আরামবাগ জোনাল কমিটির অফিসে ভাঙচুর এবং পুরসভার এক বাস্তুকারকে মারধরের অভিযোগে যুব তৃণমূল নেতা সুজিত গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভাঙচুরের ঘটনায় বাকি অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ
নিজস্ব চিত্র।
প্রাক্তন বাম মন্ত্রী-বিধায়কদের একটি দল এ দিন আরামবাগ জোনাল কমিটি অফিসটি ঘুরে দেখেন। ওই দলে ছিলেন সুদর্শন রায়চৌধুরী, নরেন দে, সৌমেন্দ্রনাথ বেরা, নিমাই মাল, সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদক সুনীল সরকার, গোঘাটের বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক প্রমুখ। তাঁরা জোনাল কার্যালয়ের লণ্ডভণ্ড অবস্থা সরেজমিনে দেখেন। সিপিএমের দলীয় পতাকা নামিয়ে ফেলে হয়েছিল শনিবার। সেই পতাকা অবশ্য এ দিন তুলে দেওয়া হয়েছে। সুদর্শনবাবু বলেন, “পুলিশ দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে যে ভাবে জোনাল কমিটির সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষকে কলার ধরে তুলে নিয়ে গিয়েছে, তা আইনবিরুদ্ধ এবং অস্বাভাবিক। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। এ সব সুস্থ রাজনীতির লক্ষণ নয়। আমাদের দাবি, অপরাধীদের সাজা দিতে হবে। মোজাম্মেল হোসেনকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে পুলিশের গুণ্ডামি বন্ধ করতে হবে। সমস্ত বিষয়টি আমরা জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে জানাবো।” সুনীলবাবুর কথায়, “তৃণমূলের হামলার প্রতিকার না হলে জেলা জুড়ে আন্দোলন হবে।” বিশ্বনাথবাবু বলেন, “সমস্ত বিষয়টি বিধানসভায় তুলব। তৃণমূলের নেতারা শান্তি বৈঠকগুলিতে সহযোগিতার কথা বলেন। এটা কি সহযোগিতার নমুনা?” সিপিএম নেতা বিনয় দত্তের অভিযোগ, ‘বদলার’ রাজনীতি চলছে গত ১৪ মে থেকে। তৃণমূল নিজেদের মধ্যে মারপিট করছে। আর আমাদের জড়িয়ে দিচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছেন তিনি। ওই সিপিএম নেতার দাবি, ‘তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরে’ শনিবার পর্যন্ত ৫০ জন বাম নেতা-কর্মী আশ্রয় নিয়েছিলেন আরামবাগের সিপিএমের জোনাল কার্যালয়ে। তাঁদের নামের তালিকা মহকুমাশাসক এবং এসডিপিওকে দেওয়া হয়েছিল। সপ্তাহ খানেক আগে মহকুমাশাসকের অফিসে সর্বদল বৈঠকে কথা হয়েছিল, সকলকে ঘরে ফেরানো হবে। নিরাপত্তার ব্যবস্থা হবে। কিন্তু তা না করে পুলিশ দু’ঘণ্টার নোটিসে সকলকে তাড়িেছে বলে অভিযোগ বিনয়বাবুর।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে জোনাল কমিটির অফিস থেকেই গ্রেফতার করা হয় মোজাম্মেলকে। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের অভিযোগ, ওই দিন সকালে তিনি লোকলস্কর নিয়ে নৈসরাই গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ নথি পোড়ানো হয়েছে। অন্য দিকে সিপিএমের দাবি, তৃণমূলের লোকজন হামলা চালিয়ে তছনছ করে আরামবাগের জোনাল অফিস। পুলিশ ডেকেছিলেন মোজাম্মেল নিজেই। তাঁকেই উল্টে গ্রেফতার করা হয়। এ দিকে, পুড়শুড়ার নেওটা প্রাথমিক স্কুলের মাঠে রবিবার একটি বন্দুক পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় মানুষ পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ সেটি বাজেয়াপ্ত করে থানায় আনে।
Previous Story South Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.