ভবিষ্যতে কোনও খসড়া আইন তৈরির প্রক্রিয়ায় নাগরিক সমাজকে যুক্ত করতে চায় না ইউপিএ সরকার। লোকপাল বিল কমিটির বৈঠকে আন্না হাজারে ও তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে মতবিরোধের জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল সিব্বলের দাবি, লোকপাল বিল তৈরির প্রক্রিয়াকে দৃষ্টান্ত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
লোকপাল খসড়া কমিটির অন্যতম সদস্য সিব্বল মনে করেন, বিশেষ একটি পরিস্থিতিতে লোকপাল বিল কমিটিতে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সামিল করেছিল কেন্দ্র। এই ঘটনা ব্যতিক্রম বলেই ধারণা তাঁর। সিব্বল বলেছেন, কমিটিতে মন্ত্রিসভার সদস্যেরা যে খসড়া বিল তৈরি করেছেন তা চূড়ান্ত নয়। অন্য রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের অন্য প্রতিনিধিদের মত নেওয়ার পরে খসড়া বিলের আরও পরিবর্তন করা হবে। জুলাই মাসে এই বিল নিয়ে দলগুলির বৈঠক ডাকা হয়েছে।
কিন্তু লোকপাল বিল কমিটির বৈঠকে সদস্যরা একমত হতে পারলেন না কেন? সিব্বলের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর দফতর লোকপালের আওতায় আনা হবে কি না তা কখনই খুব বড় প্রশ্ন ছিল না। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা দেশের প্রচলিত রাষ্ট্র ব্যবস্থার বাইরে একটি লোকপাল তৈরির চেষ্টা করছেন। সেই লোকপালের কারও কাছেই জবাবদিহির দায় থাকবে না। এই বিষয়েই সরকারের সঙ্গে নাগরিক সমাজ একমত হতে পারেনি। বিচারব্যবস্থার উচ্চ স্তর ও প্রধানমন্ত্রীকে লোকপালের আওতায় আনার দাবিকে সমর্থন করেন না অনেক বিশেষজ্ঞও। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জে এস বর্মার মতে, এই দাবি মানলে সংবিধানের মূল কাঠামোকে অবজ্ঞা করা হবে। |