পুলিশ হেফাজত থেকে হাসপাতালে পাঠানো হল অখিল গগৈকে। দিসপুর কাণ্ডের জেরে ২৪ জুন অখিলকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে তিন দিনের জন্য পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল গুয়াহাটি সিজেএম আদালত। তিন দিন শেষে আজ ফের তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। হাজতে ডাক্তারি পরীক্ষার সময় অখিল কোমর ও পিঠে ব্যথার কথা জানিয়েছিলেন। ডাক্তারি রিপোর্ট দেখে আদালত আজ অখিলকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করার নির্দেশ দেয়। পুলিশ অখিলের হেফাজত বাড়ানোর আবেদন করেনি। তাই আপাতত জেল হাজতের অধীনেই হাসপাতালে থাকবেন তিনি। সুস্থ হওয়ার পরে ফের শুনানি হবে।
নির্বাচনের আগে পানবাজারে সভা করে অখিলের নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করার মামলাটিও আজ এজলাসে তোলা হয়। ওই মামলায় জামিন পেয়েছেন অখিল। অখিল আদালতকে জানান, তাঁর খাবারে বিষ মেশানো হতে পারে। আদালত অখিলের জন্য বাড়ি থেকে আনা খাবার খাওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছে। এ দিকে, অখিল গগৈয়ের মুক্তির দাবিতে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির সদস্যরা উজানি এবং মধ্য অসমের নানা জায়গায় রেল অবরোধে চেষ্টা চালায়। পুলিশ, শ’খানেক অবরোধকারীকে গ্রেফতার করেছে। যোরহাটে খোদ অখিল গগৈয়ের মা প্রিয়ংবদা গগৈ রেল রোকোতে যোগ দেন।
এ দিকে সংঘর্ষবিরতি প্রত্যাহার করার হুমকি দিয়ে এনডিএফবির রঞ্জনপন্থী গোষ্ঠীর সহকারী প্রচার সচিব বি খুলু খুলু বলেন, “আমরা শান্তি আলোচনা চেয়ে সন্ত্রাস বন্ধ রাখলেও সরকার আমাদের উপর ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।” |