স্থানীয় যুবকদের ধর্নার জেরে রবিবার প্রায় ঘন্টা তিনেকের বেশি সময়ের জন্য ব্যাহত হল পস্কো প্রকল্পের কাজ।
ওড়িশা সরকারের দাবি অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরীয় সংস্থা পস্কোর ইস্পাত কারখানা গড়ার জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় ১,৮০০ একর জমি অধিগ্রহণ করতে পেরেছে রাজ্য। জগৎসিংহপুর জেলার পোলাঙ্গা ও গড়কুজঙ্গ পঞ্চায়েত এলাকায় শুরু হয়েছে প্রকল্প অঞ্চলে পাঁচিল তোলার কাজ। কিন্তু প্রতিশ্রুতিমাফিক সরকার তাঁদের দাবি পূরণ করেনি, এই অভিযোগে এ দিন প্রকল্প এলাকায় ধর্নায় বসেন নিকটবর্তী নুয়াগাঁও গ্রামের যুবকদের একটা বড় অংশ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ছিল, জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণের অর্থ বাড়ানো ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য প্রকল্পে চাকরি নিশ্চিত করা-সহ তাঁদের মোট ছ’টি দাবি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে ওড়িশা সরকার। দাবি না-মানা পর্যন্ত ধর্না চলবে বলে জানিয়ে দেন তাঁরা।
এর ফলে পাঁচিল তোলা, মাটি খোঁড়া, ভরাট করার মতো সব কাজই আটকে যায় প্রায় তিন ঘন্টার বেশি সময়ের জন্য। পরে জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাঁদের দাবি বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বস্ত করলে ধর্না তুলে নেওয়া হয়। এবং ফের কাজ শুরু হয়।
কুজঙ্গের তহসিলদার বাসুদেব প্রধানের দাবি, রাজ্য সরকার পস্কোর জন্য যে ১,৮০০ একর জমি ইতিমধ্যেই অধিগ্রহণ করেছে, এ বার সেখানে কাজ শুরু হয়েছে পুরোদমে। আগামী কালও কাজ চলবে পূর্ণ গতিতে।
এ দিকে, স্থানীয় গ্রামবাসীদের চূড়ান্ত বিক্ষোভের মুখে পড়ে আপাতত জমি অধিগ্রহণ কাজ স্থগিত রাখার ঘোষণা করেছে ওড়িশা সরকার। তবে তা ফের দ্রুত শুরু করতে এই মুহূর্তে জগৎসিংহপুর জেলা প্রশাসন স্থানীয় মানুষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে বলে জানান মুখ্য সচিব বি কে পট্টনায়ক। সরকারি সূত্রের খবর, সাধারণ গ্রামবাসীদের এখন প্রশাসন এটাই বোঝাচ্ছে যে, পস্কো প্রকল্প থেকে তাঁরা কী ভাবে, কতটা উপকৃত হবেন। তবে পস্কো প্রতিরোধ সংগ্রাম সমিতির আন্দোলকারীরা ঢিনকিয়া অঞ্চলে পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রবেশ আটকাতে এখনও ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন গোবিন্দপুর গ্রামে। |