মন্ত্রী, নেতার কথায় ইচ্ছামতো কপ্টার ওড়ানোর দিন শেষ। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ক্ষেত্রে, এখন থেকে সব হেলিকপ্টার উড়বে ‘রুট ম্যাপ’ মেনে। পাশাপাশি, উত্তর-পূর্বের শহরগুলির মধ্যে বিমান যোগাযোগ বাড়ানোর ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই অঞ্চলের যাত্রীদের জন্য উত্তর-পূর্ব কেন্দ্রিক বিশেষ উড়ান নীতি গ্রহণ করা হতে পারে।
শিলং বিমানবন্দরের নতুন ভবনের উদ্বোধন করে, এই কথা জানান কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী ভায়ালার রবি। তিনি বলেন, “এখানকার ভূপ্রকৃতি ও আবহাওয়া প্রতিকূল। কপ্টারের নিরাপত্তার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিজের ইচ্ছামতো এখানে- সেখানে উড়ে যেতে পারবে না হেলিকপ্টার। যত শীঘ্র সম্ভব উত্তর-পূর্বের রুট ম্যাপ বানাবার কাজ শেষ করা হবে।”
অরুণাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দোর্জি খান্ডুর মৃত্যু ও পবনহংস দুর্ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি বিমান মন্ত্রী। তিনি জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন। রবি জানান, দেশে সাম্প্রতিক সব ক’টি বিমান দুর্ঘটনার বিষয়ে খতিয়ে দেখতে মন্ত্রকের তরফে স্বতন্ত্র ‘অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিটি’ গড়া হয়েছে। পবন হংসের সব কপ্টার বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে সেগুলি উড়বে কিনা বিশদ আলোচনার পরেই সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পাশাপাশি রবি জানান, উত্তর-পূর্বে অন্য কোনও সংস্থা চপার পরিষেবা চালু করতে চাইলে, তাদেরও স্বাগত জানানো হবে।
উত্তর-পূর্বের ক্ষেত্রে, যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য ২৬ থেকে ৩০ আসন বিশিষ্ট বিমান চালানোর কথাও ভাবা হচ্ছে। রবি বলেন, “দুর্ঘটনার জেরে কপ্টার চলাচল বন্ধ রাখায়এ অঞ্চলের যাত্রীদের যথেষ্ট দুর্ভোগ হচ্ছে। সেই জন্য উত্তর-পূর্ব কেন্দ্রিক বিশেষ উড়ান নীতি নেওয়া হতে পারে।”
গুয়াহাটিকে কেন্দ্র হিসাবে রেখে বিমানগুলি চালানো হবে। পাশাপাশি, উত্তর-পূর্বের বিমানবন্দরগুলির উন্নতিসাধন করবে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। সেই সঙ্গে, বোয়িং ওঠা-নামার উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে রানওয়েগুলি। রবি বলেন, “উত্তর-পূর্বে বিমান চালানোর ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হল, সরকারের হাতে বিমান কেনার টাকা নেই। তাই, ছোট বিমান ওড়াবার জন্য, যে কোনও বিমান সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানাতে প্রস্তুত আমরা।” আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগের সম্ভবনার উপরে রবি জোর দেন। |