|
|
|
|
জীর্ণ দুধের ডিপোর ভোলবদলের ভাবনা রাজ্য সরকারের |
অশোক সেনগুপ্ত |
কলকাতায় হরিণঘাটা দুধের বেহাল ডিপোর ভোল বদলে দৃশ্যদূষণ রুখতে চায় রাজ্য সরকার। এ কাজে নেওয়া হবে বেসরকারি সহায়তা। মান্ধাতার আমলের পুরনো ডিপোর বদলে বসবে আকর্ষণীয় ডিপো। বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় অফিসারদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নূরে আলম চৌধুরী।
শহর সাজাতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ দফতর চাইছে ভাঙাচোরা ডিপোগুলির ভোলবদলে হাত দিতে। বৃহত্তর কলকাতায় খাতায়-কলমে হরিণঘাটা দুধের ডিপো রয়েছে প্রায় ৪০০। সরকারি কর্তারা অবশ্য এই সংখ্যা নিয়ে সন্দিহান। দুগ্ধ কমিশনার উদয়শঙ্কর নন্দী বলেন, “সংখ্যাটা একটু কমতেও পারে। তবে, অন্তত একশোরও বেশি এ রকম ডিপো রয়েছে মূল শহরের নানা ফুটপাথে।” উদয়বাবু স্বীকার করেন, বছর বছর রোদ-জল-ঝড়ে এগুলি নষ্ট হয়। স্থায়ী মেরামতি হয় না। জোড়াতালি দিয়ে কাজ চলে। ফলে এগুলি ক্রমেই বেশিমাত্রায় ‘কুদর্শন’ হয়ে উঠেছে। |
|
শহরে বহু হরিণঘাটার দুধের ডিপোর এমনই হাল। ফাইল চিত্র |
ডিপোগুলির হাল কতটা কদর্য হয়ে উঠেছে, মন্ত্রীর কাছে তার উদাহরণ দেন দফতরের কর্তারা। তাঁরা বলেন, “মৌলানা আজাদ কলেজের ঠিক সামনে একটা জীর্ণ ডিপো ছিল। কিছুকাল আগে সেখানে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আসার কথা ছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের অনুরোধ করেন ওটার যা অবস্থা, ওখান থেকে একটু দূরে সরিয়ে দিতে হবে। সরিয়ে দিয়েছিলামও।”
ডিপোগুলির ভোল বদলাতে আগেও এক বার উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য সরকার। উদয়বাবু বলেন, “পুরসভার তৎকালীন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং মেয়র-পারিষদ ফৈয়াজ খানের সঙ্গে আমাদের একাধিক বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু যথেষ্ট পুর-সহযোগিতা মেলেনি। তাই ডিপোর রূপবদলের কাজ এগোয়নি।” এ বার পুর-কমিশনারকে ফের চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে দুগ্ধ কমিশনার জানান। পুর-কমিশনার অর্ণব রায় বলেন, “প্রাণিসম্পদ দফতরের প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে।” অন্য দিকে, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রস্তাবটা এখনও পাইনি। তবে প্রাণিসম্পদ দফতর বেহাল ডিপোর সৌন্দর্যায়নের ক্ষেত্রে আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা পাবে।”
এ কাজে কী ভাবে বেসরকারি সহায়তা নেওয়া হবে?
প্রাণিসম্পদ দফতর সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে পুরসভার অনুমতিসাপেক্ষে সরকারের সঙ্গে বিজ্ঞাপন সংস্থার চুক্তি হবে। এ রকম একাধিক সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় যেমন পুলিশের কিয়স্ক আছে, তেমনই হবে নয়া ডিপো। ডিপোর উপরে বিজ্ঞাপন ফলক বসিয়ে আয় করবেন বিজ্ঞাপন সংস্থা। প্রয়োজনীয় পুর-করও ওঁরা দেবেন। মন্ত্রী বলেন, “এতে কেবল ডিপোর সৌন্দর্য বাড়বে, তা-ই নয়। পাখির মাংস, দই, প্যাঁড়ার মতো আমাদের বিক্রি করার হরেক জিনিস আছে। নয়া আদলের ডিপো থেকে সে সব আরও পরিকল্পিত ভাবে বিক্রি করার সুযোগ পাব।” |
|
|
|
|
|