|
|
|
|
কেরোসিন ‘পাচার’, ধৃত ৮ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
সমবায় সমিতি থেকে পাচার করা হচ্ছে কেরোসিন তেল ও নথিপত্র। এই অভিযোগে সমিতির সদস্যদের ঘেরাও কর রাখেন গ্রামবাসীরা। শনিবার রাতে জামালপুর থানার ইটলা গ্রামের ঘটনা। পরে সমিতির ওই সদস্যদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সমিতির সম্পাদক অসিত হালদার, চেয়ারম্যান দেবনারায়ণ সরকার ছাড়া আরও ৫ সদস্য এবং সমিতির অ্যাম্বুল্যান্স চালক শ্যামল দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের রবিবার সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে ভারপ্রাপ্ত সিজেএম শুভ্রকান্তি ধর ৮ জুলাই পর্যন্ত অভিযুক্তদের জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। |
|
আদালতে ধৃতেরা। নিজস্ব চিত্র। |
ইটলা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির কিছু সদস্য রাতের অন্ধকারে প্রায় ২০০ লিটার কেরোসিন তেল এবং সমিতির বেশ কিছু নথিপত্র ভ্যানে চাপিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। গ্রামবাসীরা এর পরে তাঁদের কাছ থেকে ওই কেরোসিনের হিসাব চান। সমিতির সদস্যদের জবাবে গ্রামবাসীরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাঁদের ঘেরাও করে রাখা হয়। পরে ওই সদস্যদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
শ্যামল দাসের বাড়ি থেকে কিছু কেরাসিন তেলের ক্যান পাওয়া গিয়েছে। সমিতির সম্পাদক অসিতবাবুর দাবি, “আমরা নির্দোষ। অনেক সময়েই অন্যান্য সমিতির প্রয়োজনে আমরা কেরোসিন তেল পাঠাই। মিথ্যা ফাঁসানো হচ্ছে আমাদের।” তবে ওই রাতে কোন সমিতিতে তাঁরা তেল নিয়ে যাচ্ছিলেন তা তিনি জানাতে চাননি। তাঁর দাবি, তাঁরা সিপিএম কর্মী বলেই এ ভাবে তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে। স্থানীয় মার্কসবাদী ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন বিধায়ক সমর হাজরাও বলেছেন, “ওই সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশের উচিত, নিরপেক্ষ ভাবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা।”
তৃণমূল বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামাণিক অবশ্য বলেন, “এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। সিপিএমের লোকেরাই ওই সমিতিটি চালান। ইদানীং এলাকার মানুষের মধ্যে ওঁদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল। তাই ওঁরা সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে হিসাব চান।” |
|
|
|
|
|