অভিযুক্তদের ধরতে ধর্ষিতার বাবার কাছে ২০ হাজার টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। বুধবার মালদহের জেলা পুলিশ সুপার ভুবন মণ্ডলের কাছে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে এই অভিযোগ জানিয়েছে রতুয়ার এক কৃষক। অভিযোগ পেয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, “টাকা চাওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি যাঁরা ওই ধর্ষিতা নাবালিকা ও তাঁর বাবাকে হুমকি দিচ্ছে তাঁদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ মার্চ সকালে টিউশন নিতে যাওয়ার পথে ভাদো বিএসবি হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে রফিকুল ইসলাম ও তাঁর চার বন্ধু তুলে নিয়ে যায়। ছাত্রীর বাবা পুলিশে জানিয়েছেন, রফিকুল ওই নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে পরদিন বাড়ির পাশে ফেলে যায়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রফিকুল ইসলামকে ধরলেও তাঁর চার সঙ্গী পলাতক। বাবার অভিযোগ, “আমার মেয়েকে যে ধর্ষণ করে তাঁর চার বন্ধু আমাকে ও আমার মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। রতুয়া থানায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার কথা বললে সেখানকার পুলিশ কর্মীরা ২০ হাজার টাকা চায়। টাকা না-দিলে কাউকে ধরা হবে না বলেও জানিয়ে দেন তাঁরা। পুলিশ সুপারকে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছি।”
|
দিনহাটায় পুলিশের গুলিচালনার ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে আর্জি জানালেন রাজ্যের নতুন শাসক জোটের শরিক দল কংগ্রেসের নেতা উৎপল রায়। গত ১৬ জুন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ওই চিঠি লিখেছেন। প্রসঙ্গত, গত ২০০৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারের দিনহাটায় বিগত বামফ্রন্ট সরকারের অন্যতম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মীদের উপরে পুলিশ গুলি চালায়। বিচারপতি নারায়ণচন্দ্র শীল কমিশন ওই ঘটনার তদন্ত করে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেয় গত বছর ১৯ অগস্ট। কিন্তু ফ ব নেতৃত্বেরই অনুরোধে সেই রিপোর্ট বাম সরকার প্রকাশ করেনি। রাজ্যের নতুন তৃণমূল-কংগ্রেস জোট সরকার ওই রিপোর্ট অবিলম্বে প্রকাশ করুক, এই আর্জিই জানিয়েছেন উৎপলবাবু। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমি গত ৩০.০৮.২০১০-এ তৎকালীন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিবের কাছে তথ্য জানার অধিকার আইন, ২০০৫ বলে লিখিত ভাবে সেই রিপোর্টের কপি চেয়েছিলাম। নানা অজুহাত দেখিয়ে আজ পর্যন্ত সেই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি।’ তৃণমূল-কংগ্রেস সরকার ১৯৭০ সালের সাঁইবাড়ি কাণ্ড-সহ বিভিন্ন ঘটনার বিষয়ে নতুন করে তদন্ত কমিশন গঠন করছে। সেই দৃষ্টান্ত তুলেই দিনহাটা-কাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের আর্জি জানান উৎপলবাবু।
|
মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে সরানোর দাবি উঠল কংগ্রেসের অন্দরে। বুধবার মালদহে সামসিতে ৫ ঘণ্টা দলীয় বৈঠকের পর দলের জেলা সভাপতিকে ওই দাবি জানিয়েছেন উত্তর মালদহের কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। আর তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন কংগ্রেসের উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ মৌসম বেনজির নূরও। এদিনের সভায় জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরীর সামনে ক্ষোভ উগড়ে দেন ওই নেতারা। কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বলেন, “সর্বসম্মতিক্রমেই জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচিত হন। এখন উত্তর মালদহ বিরোধিতা করছে। এইভাবে বিভাজন করা ঠিক নয়।”
|
ছাপাখানার দশা দেখে ক্ষুব্ধ কোচবিহারের নাটাবাড়ির তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বুধবার কোচবিহার শহরের ওই সরকারি ছাপাখানায় যান তিনি। সেখানে বিধায়ক জানতে পারেন, কয়েক জন আধিকারিক মাসে এক দিন করে আসেন বেতন তোলার জন্য। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “শিল্পমন্ত্রীকে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে এর পুনরুজ্জীবনের জন্য বলা হবে।”
|
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পেনশনের জাল নথি বানিয়ে সরকারকে প্রতারণা করার অভিযোগে স্মারকলিপি দিল জেলা যুব কংগ্রেস। পরিদর্শকের দফতরের বেশ কিছু কর্মীও এই প্রতারণায় জড়িত বলে অভিযোগ।
|
তুফানগঞ্জ শহর সংলগ্ন রায়ডাক নদী চরের হাট ফের চালু করার দাবিতে তুফানগঞ্জ মহকুমাশাসককে বুধবার স্মারকলিপি দিল মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতি। |