|
|
|
|
পরিষেবার দাবি, বিক্ষোভ নলহাটির ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
বহির্বিভাগে চিকিৎসকের দেখা পেয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসে তালা দিয়ে দিলেন পুরসভার বাসিন্দাদের একাংশ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে নলহাটি ১ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। প্রায় ২ ঘণ্টা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ ৫ জন কর্মী তালাবন্দি ছিলেন। তালা দেওয়ার খবর পেয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ, বিডিও, পুলিশ আধিকারিক। পরে গিয়েছিলেন বিধায়কের প্রতিনিধি।
হাসপাতালের পরিষেবার উন্নতির জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়। সাত দিনের মধ্যে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন, এই আশ্বাস পাওয়ার পরে দেড়টা নাগাদ তালা খুলে দেন বাসিন্দারা। |
|
ছবি: সব্যসাচী ইসলাম। |
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বস্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এ দিন সাড়ে ১১টা নাগাদ বহির্বিভাগে চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে রোগীর আত্মীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালের বিভিন্ন পরিষেবার উন্নতির দাবি জানাতে থাকেন। তিনি বলেন, “বিক্ষোভকারীদের বলি, নতুন ভবন থেকে ভাল ভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য আরও উপকরণ ও কর্মীর প্রয়োজন। সেগুলি না পাওয়ার জন্য নতুন ভবনে এখনই হাসপাতালকে স্থানান্তরিত করা যাচ্ছে না। সমস্যার কথা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানানো হয়েছে।” সম্প্রতি হাসপাতাল চত্বরে নতুন একটি ভবন তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য বাসিন্দারা এ দিন দাবি জানান।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আশিস মল্লিক বলেন, “নলহাটি ১ ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিক্ষোভের খবর পেয়েছি। তবে বিক্ষোভকারীরা ঠিক কী চাইছেন, তা আমার কাছে এখনও পরিষ্কার নয়। বিএমওএইচকে বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলি লিখিত ভাবে জানাতে বলেছি। তার পরে দাবিগুলি খতিয়ে দেখে ব্লক রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।” বিক্ষোভকারীদের দাবি, হাসপাতালে রোগীদের সময় মতো চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হবে, রোগীদের প্রায় না দেখেই অন্যত্র পাঠানো চলবে না। অকারণে রোগীদের হয়রানি করা চলবে না। নলহাটি ১ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের মানবেন্দ্র ঘোষাল বলেন, “হাসপাতালে গিয়ে দেখি যে সমস্ত পরিষেবা পাওয়ার কথা, তাতে যথেষ্ট খামতি আছে। বিএমওএইচকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে।” বিএমওএইচ জানান, টেকনিক্যাল পদে আরও কর্মী দরকার। ইউএসজি, এক্সরে ঘর করে দেওয়া হয়েছে, অথচ কোনও যন্ত্র এখনও হাসপাতালে পৌঁছয়নি। নিরাপত্তার জন্য হাসপাতালের চারপাশ পাঁচিল দিয়ে ঘিরতে হবে। |
|
|
|
|
|