স্বাস্থ্যকেন্দ্র, গ্রন্থাগার এবং একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। সব ক্ষেত্রেই অব্যবস্থা দূর করার প্রতিশ্রুতিও মিলেছে।
বুধবার সকালে তাপসবাবু আসানসোলের মহকুমা স্বাস্থ্য অধিকর্তা অরিতা সেন চট্টরাজকে সঙ্গে নিয়ে রানিগঞ্জের বক্তারনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। জানতে পারেন, সেখানে মাত্র এক জন চিকিৎসক, এক জন নার্স ও এক জন ফার্মাসিস্ট রয়েছেন। এক জন নার্স ছুটিতে। এছাড়া শারীরিক অসুস্থতার কারণে একমাত্র সাফাইকর্মী ১০ মাস কাজে আসেননি। তাপসবাবু জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালুর প্রথম দিকে ১০টি শয্যাবিশিষ্ট একটি অন্তর্বিভাগ ছিল। সেটি দীর্ঘ দিন বেহাল। ভবনটি ভেঙে পড়ার মুখে। এখানে আর প্রসব করানো হয় না। অন্যত্র স্থানান্তরিত করাতে হয়। গ্রামের বাসিন্দা তথা তৃণমূল যুব কোর কমিটি (রানিগঞ্জ ব্লক)-র সদস্য নির্মল পাল জানান, সপ্তাহে দু’দিন চিকিৎসক আসেন। দু’ঘণ্টা পরেই চলে যান। রোগীদের নাকাল হতে হয়। বাধ্য হয়ে রোগীদের রানিগঞ্জ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হয়। তাপসবাবুর নির্দেশ, “এ বার থেকে চিকিৎসককে পূর্ণ সময় এখানে থাকতে হবে।” তিনি বলেন, “অন্তর্বিভাগ-সহ অন্য সব অব্যবস্থার কথা স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হবে।” এর পরে তাপসবাবু বক্তারনগর সুকান্ত গ্রন্থাগারে যান। সেখানে গিয়ে তিনি জানান, গ্রন্থাগারটি যে ভাবে চলছে তা যথাযথ নয়। এছাড়া, গ্রন্থাগারিককে গ্রন্থাগারের জমি চিহ্নিত করতে বলেন। সব শেষে তিনি যান নতুন মদনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রধান শিক্ষক-সহ তিন জন শিক্ষক স্কুলটি চালান। সেই কারণে একটি করে ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়। বিধায়ক বলেন, “বিষয়টি শিক্ষা দফতরকে জানানো হবে।”
|
ডুয়ার্সের বনবস্তি-সহ প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে হাতুড়েদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে নামল জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের ১৬ জন হাতুড়েকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রাধারমণ বণিক জানান, গত বছর জেলায় ৮ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার আগের কয়েক বছরে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। চা বাগান, বনবস্তি-সহ ডুয়ার্সের প্রত্যন্ত এলাকায় যে সমস্ত গ্রামীণ বা হাতুড়ে চিকিৎসক রয়েছেন তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে যাতে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে এই সমস্ত রোগ সম্পর্কে সঠিক সময়ে খবর পৌঁছয়। ওই হাতুড়ে চিকিৎসকেরা রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য দফতরে জমা দিতে পারবেন। তবে এর জন্য কোনও পারিশ্রমিক পাবেন না। তবে ডট পদ্ধতিতে যক্ষ্মা রোগীর চিকিৎসা সম্পূর্ণ করতে পারলে ২৭৫ টাকা করে পাবেন। আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকে রুরাল মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শঙ্কর দাস জানান, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনেই কাজ করবেন তাঁরা।
|
বর্ষা শুরু হতেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে হাইলাকান্দি জেলায়। গত দশ দিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে ছ’টি শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। এর মধ্যে চারজন একই পরিবারের। যদিও সরকারি তরফে দাবি, মৃতের সংখ্যা পাঁচ। সাহাবাদ, লালার বালিছড়া খাসিয়াপুঞ্জি, কাটলিছড়া ছাড়াও পাহাড়ি এলাকাতেও ঘরে ঘরে ম্যালেরিয়া জ্বর। শিশু শুধু নয়, বয়স্ক ব্যক্তিরাও আক্রান্ত হচ্ছেন ম্যালেরিয়ায়। সাধারণ মানুষ এমন পরিস্থিতিতে স্বভাবতই উদ্বিগ্ন। তবে জেলা প্রশাসনের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার মতো অবস্থা দেখা দেয়নি। স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা এ সি শর্মার বক্তব্য, ম্যালেরিয়ায় মৃতের সংখ্যা পাঁচ। কাটলিছড়ায় সারিমউদ্দিন লস্কর নামে একজনের জ্বরে মৃত্যু ঘটলেও তার ম্যালেরিয়া ছিল না। জেলাশাসক ভুবনচন্দ্র বরা ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কাল জেলাশাসকের অফিসে বৈঠক ডাকা হয়েছে।
|
নদিয়ার কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের বহির্বিভাগে চালু হয়েছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা। ওই বিভাগে আছেন এক জন চিকিৎসক। |