|
|
|
|
২৪ ঘণ্টায় দমকলে জলের সংযোগ দিতে নির্দেশ |
রাতে এক্স রে, প্যাথলজি খোলা রাখার
উদ্যোগ, আজ বৈঠক উঃবঙ্গ মেডিক্যালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বিকেল ৫টা বাজলেই বন্ধ হয়ে যায় এক্স রে, প্যাথলজি বিভাগ। গুরুতর অসুস্থ রোগী-রোগিণীরা গিয়ে চরম হয়রানির মুখে পড়েন। এক্স রে, রক্ত পরীক্ষা করাতে বিস্তর ঘাম ঝরাতে হয়। খুব শীঘ্রই যাতে রোগী-রোগিণীদের সেই হয়রানি বন্ধ হয়, সে জন্য উদ্যোগী হয়েছেন মাটিগাড়া-নকশলাবাড়ির বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শঙ্কর মালাকার। আজ, বৃহস্পতিবার হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। চেয়ারম্যান বলেন, “দিনে তো বটেই, রাতেও রোগী-রোগিণীরা যাতে এক্স রে ও প্যাথলজির সুবিধা পান তা নিশ্চিত করতে আমরা দায়বদ্ধ। আমরা সব দিকই খতিয়ে দেখে চিকিৎসক, কর্মীদের নিয়ে টিম গড়ে পরিষেবার হাল ফেরাব।” উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের নানা ব্যাপারে ইতিমধ্যেই বিধায়কের কাছে অভিযোগ পৌঁছেছে। যেমন অভিযোগ রয়েছে, এক্স রে বিভাগের টেকনিসিয়ান ও প্যাথলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞদের একাংশ নামমাত্র সময় মেডিক্যাল কলেজে থেকে ‘প্রাইভেট প্র্যাকটিস’-এ ব্যস্ত থাকেন। বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ হাসপাতালে কাজের সময়ে বেসরকারি ল্যাবরেটরির হয়ে রিপোর্ট লেখেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, ১০-১২ হাজার টাকা বরাদ্দ হলেই যে রাসায়নিক মেলে তা না-থাকার অজুহাতে দিনের পর দিন হাসপাতালে সাধারণ রক্ত পরীক্ষাও বন্ধ করে রাখার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগও আছে। প্যাথলজি বিভাগে প্রায় ২০-২৫ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। মেডিক্যাল কলেজের কংগ্রেস-তৃণমূল প্রভাবিত কর্মী সংগঠনের এক নেতা বলেন, “সব টেকনিশিয়ান ও প্যাথলজিস্টকে অন্তত এক দিন করে রাতে ডিউটি করানো বাধ্যতামূলক করলেই সমস্যা মিটে যাবে। সব বিভাগের মাথায় বসে থাকা বিশেষজ্ঞদের একাংশ সিলিগুড়িতে দেদার প্র্যাকটিস করেন। তাঁদের দিয়েও রাতে ডিউটি করাতে হবে। না হলে আগের মতো দলতন্ত্র চালানোর অভিযোগ উঠবে।” তাঁরা বিষয়টি বর্তমান চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন বলে কর্মী সংগঠন সূত্রের খবর। বস্তুত, শঙ্করবাবু বিধায়ক হয়েই এলাকায় বহু বছর ধরে না-হওয়া কাজ করানোর উপরে জোর দিয়েছেন। সম্প্রতি মাটিগাড়ার দমকল কেন্দ্রের প্রধান দফতরে গিয়ে জানতে পারেন, সেখানে অফিসার-কর্মীদের খাবার জলের ব্যবস্থা নেই। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ওই জায়গায় দমকল কেন্দ্র গড়লেও জলের সংযোগ দেয়নি। বহুবার দমকল কর্তারা অনুরোধ করলেও লাভ হয়নি। তা শোনার পরে সেখানে দাঁড়িয়েই এসজেডিএ-এর অফিসারদের ফোন করেন বিধায়ক, সেখানে দাঁড়িয়েই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জলের সংযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন। পর দিনই দমকল কেন্দ্রে জলের সংযোগ পৌঁছে যায়। বিধায়ক বলেন, “কোনও কাজ ফেলে রাখার আমি পক্ষপাতি নই। অফিস তৈরি করে সেখানে জলের ব্যবস্থা করা হয়নি। এটা ভাবাই যায় না। যাই হোক, আমি কাজ ফেলে রাখি না। কেউ ফেলে রাখলে তা বরদাস্ত করি না।” |
|
|
|
|
|