|
|
|
|
মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার |
পানীয় জল দূষিত, অসুস্থ ২৩ বন্দি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অপরিস্রুত জল পান করে সংশোধনাগারে জন্ডিসে আক্রান্ত হচ্ছেন বন্দিরা। এমনই অভিযোগ মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দিদের পরিজনেদের। অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েক জন বন্দি জেল হাসপাতালে ভর্তিও হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
জ্বরে ভুগছেন মাওবাদী সন্দেহে ধৃত লালগড় মঞ্চের নেতা প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ও। অভিযোগ, নোংরা জল পান করেই অসুস্থ পড়ে পড়েছেন প্রসূন। কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, বিষয়টি গুরুতর কিছু নয়। সব মিলিয়ে ২৩ জনের চিকিৎসা চলছে। পানীয় জলের সমস্যা ছিল। তার সমাধানও হয়েছে। কারা দফতরের এআইজি (পশ্চিমাঞ্চল) কল্যাণ প্রামাণিকের বক্তব্য, “নতুন দু’টি গভীর নলকূল তৈরি হয়েছে। একটি সংশোধানাগারের মধ্যে, একটি বাইরে। এর ফলে জলের সমস্যা দূর হয়েছে।” পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, “বৃষ্টির আগে গরমে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।” সূত্রের খবর, বন্দিরা জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছেন, এ খবর পেয়েই পদস্থ কর্তাদের কাছ থেকে বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেন নতুন কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। জানতে চান, বর্তমান পরিস্থিতির কথা। তার পরেই তড়িঘড়ি কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই বলে দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ। এ নিয়ে বন্দিরা আগে আন্দোলনও করেছেন। জল সমস্যার সমাধানে তাই নতুন দু’টি গভীর নলকূপ হয়েছে। এত দিন কুয়োর জলই ভরসা ছিল বন্দিদের। এই জলেই যাবতীয় কাজ সারতে হত। পরিজনেদের অভিযোগ, বন্দিদের সমস্যার দিকে নজরই নেই সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের। শুধু পানীয় জলই নয়, চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এ সব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। ফলে বন্দিদের সমস্যাগুলো থেকে যাচ্ছে। এমনকী, অসুস্থদের সময়মতো রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ।
সংশোধনাগারের অন্দরে নানা অব্যবস্থা চলছে বলে নালিশ করেছে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতিও (এপিডিআর)। সংগঠনের পেশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক অরূপ দাশগুপ্ত বলেন, “আমরাও জেল পরিদর্শনে গিয়ে এই অব্যবস্থাই দেখেছি। বন্দিরা নানা ধরনের সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় শয্যাও কম। তাই অনেকে মাটিতেই থাকছেন। পরিস্রুত পানীয় জলেরও সমস্যা।” তাঁর কথায়, “সংশোধনাগারের মধ্যে পানীয় জলের সু-ব্যবস্থা থাকবে, এটুকুও কি বন্দিরা আশা করতে পারেন না? বন্দিরা অসুস্থ হচ্ছেন। অথচ তাঁদের রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে না। অবিলম্বে এ সব সমস্যার সমাধান করতে হবে। কর্তৃপক্ষের কাছে এই দাবিই জানানো হয়েছে।”
কতৃপক্ষের দাবি, যাঁরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের শারীরিক অবস্থা গুরুতর নয়। এক কারা কর্তার কথায়, “জন্ডিসের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা গিয়েছে কারও কারও মধ্যে। অসুস্থ ২৩ জনেরই চিকিৎসা চলছে।” অভিযোগ, আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন এআইজি। তাঁর কথায়, “ডিআইজি (মেদিনীপুর) বুধবারই সংশোধানাগারে গিয়েছিলেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন।” এআইজি জানিয়েছেন, মেদিনীপুর সংশোধনাগারে দু’টি গভীর নলকূপ তৈরি করেছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। একটি বন্দিদের জন্য। অন্যটি কর্মীদের জন্য। কল্যাণবাবুর দাবি, ‘‘এ বার আর সংশোধনাগারে পানীয় জলের সমস্যা থাকবে না।” কর্মী সম্মেলন। রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের সম্মেলন হল খড়্গপুর শহরের সাউথসাইডে। বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের শাখা অফিস প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই সম্মেলনে ৫০০ জন অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন ডিআরএম রাজীব কুমার কুলশ্রেষ্ঠ, প্রহ্লাদ সিংহ, কে ভি রামনা রাও, আইএনটিইউসি-র খড়্গপুর মহকুমা শাখার সভাপতি প্রদীপ পাল প্রমুখ। অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মীদের নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয় সভায়। |
|
|
|
|
|