আন্দোলনে ১৪৪ ধারা খড়িবাড়িতে
নদীচরের জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষের আশঙ্কা
মেচি নদীর চরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে নকশালদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের একাংশের সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-নেপাল সীমান্তের খড়িবাড়ি থানার পানিট্যাঙ্কি এলাকা। বুধবার মেচি নদীর চরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে শিলিগুড়ি মহকুমা প্রশাসন। নকশাল নেতা এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের ডেকে পুলিশ ওই জমিতে কাজকর্ম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিশ পাহারাও। সম্প্রতি ওই চর নিজেদের দখলে নিতে সশস্ত্র মিছিল নিয়ে ওই জমিতে ঢোকার চেষ্টা করে নকশালরা। পাল্টা সশস্ত্র জমায়েত করে পশ্চিম রামধন গ্রাম সংসদ কমিটির সদস্যরা পুলিশ এবং এসএসবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক সৌরভ পাহাড়ি বলেন, “জমি দখল নিয়ে ওই এলাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিডিও একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ভূমি সংস্কার দফতর ওই জমির চরিত্র নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করছে। তা হাতে এলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” নেপাল সীমান্ত থেকে বিহার সীমান্ত পর্যন্ত মেচি নদী। ওই নদীতে চর পড়ে কয়েকশো বিঘে জমি তৈরি হয়েছে। তা নিয়েই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। নকশালপন্থীদের যৌথ মঞ্চ তরাই সংগ্রামী মঞ্চের অভিযোগ, স্থানীয় কিছু জমির কারবারি মেচি নদীর চর টাকার বিনিময়ে কিছু ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। বেশ কিছু জমি দখল করে ছোট ছোট চা বাগান তৈরি করা হচ্ছেও বলে তাঁরা দাবি করেন। নকশাল নেতৃত্বের অভিযোগ, স্থানীয় কৃষকদের বঞ্চিত করে ওই জমি দখল নিচ্ছে একাংশ ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধেই কয়েক বছর ধরে লাগাতার আন্দোলন করছেন তাঁরা। তরাই-সংগ্রাম মঞ্চের সদস্য সিপিআইএমএল(জনশক্তি) পার্টির নেতা নাথুরাম বিশ্বাস জানান, এক বছর আগে মেচির চরের এক হাজার বিঘে জমি দখল করে চাষিদের মধ্যে বিলি করে দেন তাঁরা। সম্প্রতি জমির কারবারিরা সেখানে চাষাবাদ বন্ধ করার হুমকি দেন বলে। তার প্রতিবাদেই তাঁরা সশস্ত্র মিছিল নিয়ে ওজমিতে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। নাথুরামবাবু বলেন, “কৃষকদের মধ্যে জমি বিলি করা হয়েছে। তা দখলের চেষ্টা হলে প্রতিরোধ হবে। প্রশাসনকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।” পশ্চিম রামধন গ্রামের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য কিশোর মিনজের দাবি, এলাকার জমি স্থানীয় গ্রামবাসীদের দখলে। সেখানে বাইরের কিছু লোক নিয়ে এসে নকশাল নেতারা তা দখল নেওয়ার চেষ্টা করছেন। ১২০ বিঘে জমিতে এর আগে ঝান্ডা পুঁতে দেন নকশালপন্থীরা। এর প্রতিবাদে তাঁরা লড়াইয়ে নেমেছেন। তিনি বলেন, “প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই জমি যদি স্থানীয় ভূমিহীনদের মধ্যে বিলি করে দেওয়া হয় তা হলে আপত্তি নেই আমাদের। কিন্তু বাইরের থেকে জমি দখলের চেষ্টা করলে তা মানা হবে না। ১৮-২০ বছর আগে দু’-একটি চা বাগান এখানে হয়েছে। তখন কেউ প্রতিবাদ করেনি। এখন আন্দোলন হচ্ছে। যারা চা বাগানে জমি দিয়েছে তাঁরা কাজ পেয়েছে বলেই জমি দিয়েছে।” বিডিও শুভাশিস ঘোষ বলেন, “জমি নিয়ে যাতে গণ্ডগোল না হয় সেদিকে লক্ষ রাখা হচ্ছে।”
Previous Story Uttarbanga Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.