|
|
|
|
স্বাস্থ্য বিধান টোটোপাড়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
বৃষ্টির জল ধরে টোটোপাড়ার তৃষ্ণা মেটাতে উদ্যোগী জেলা পরিষদ। ধনপতি টোটো মোমোরিয়াল স্কুলের ছাদে বৃষ্টির জল সংগ্রহ করা হবে। সেই জলকে ভরা হবে ৪০ হাজার লিটার জল ধরে এমন জলাধারে। সেই জল পরিশোধন করে স্কুলের পড়ুয়াদের এবং লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের পানীয় জল সরবারহ করা হবে। এই প্রকল্পটি সফল রূপায়ণ হলে আরও জলাধার তৈরি করা হবে। টোটোপাড়ার সর্বত্র পানীয় জল সরবরাহ সম্ভব হবে। সর্বশিক্ষা মিশনের সহযোগিতায় জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সার্বিক স্বাস্থ্যবিধান প্রকল্পের উদ্যোগে জুলাইয়ের মধ্যেই এ ব্যবস্থা চালু করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে টোটোপাড়ায় প্রয়োজনীয় সমীক্ষার কাজও শেষ হয়েছে। সার্বিক স্বাস্থ্যবিধান প্রকল্পে রাজ্যের দায়িত্বে থাকা বাস্তুকাররা চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। জানা গিয়েছে, জলাধার তৈরি করে পানীয় জল সরবারহ করতে বড়জোর মাসখানেক সময় লাগবে। জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলা শাসক উৎপল বিশ্বাস বলেন, “যেখানে জলের সঙ্কট রয়েছে সেখানে এই পদ্ধতিতে পানীয় জল সরবরাহ করার ব্যবস্থা হয়েছে। টোটোপাড়ার পড়ুয়া এবং স্কুল লাগোয়া এলাকার কিছু বাসিন্দাদের পানীয় জলের সমস্যা মেটাতেই এই ব্যবস্থা।” ভারতের অন্যতম আদিম জনজাতিদের বাসস্থান টোটোপাড়ায় পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট। দুটি ঝোরা এলাকার পানীয় জলের উৎস। ঝোরা দুটির মধ্যে একটি লাগোয়া ভুটানে। সেই ঝোরায় ক্রমশ জলের পরিমাণ কমতে শুরু করেছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পাঁচ মাস ছাড়া বছরের অন্য সময়ে টোটোপাড়ায় কমবেশি বৃষ্টি হয়। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলেও অল্প পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়। সে কারণেই বৃষ্টির জল ধরে টোটোপাড়ার পানীয় জল সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। লাখখানেক টাকার প্রকল্পটি টোটোপাড়ার একাংশ বাসিন্দাদের পানীয় জলের সঙ্কট মেটাতে পারবে বলে প্রশাসন আশা করছে। মেটেলির ইনডঙ এলাকায় একটি স্কুলের ছাদ থেকে বৃষ্টির জল সংগ্রহ করে এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার একটি প্রকল্প বছর খানেক আগে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি সফল হওয়ায় টোটোপাড়ায় একই পদ্ধতি অনুসরণে উদ্যোগী হন প্রশাসনের কর্তারা। সার্বিক স্বাস্থ্য বিধান প্রকল্পে জলপাইগুড়ি জেলার কো অর্ডিনেটার শুভাশিস দত্ত বলেন, “প্রথম পর্যায়ে ৪০ হাজার লিটারের জলাধার তৈরি হবে। এই জলাধার ভরতে আধঘন্টা থেকে এক ঘন্টার বৃষ্টি যথেষ্ট। পরে ২০ হাজার লিটার জলাধার তৈরি হবে। কেউ বাড়িতেই এ ব্যবস্থা করতে পারেন। কারিগরি সহায়তা দেবে প্রশাসন।” |
|
|
|
|
|