|
|
|
|
টিএমসিপি কর্মীদের জন্যও আচরণবিধি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দলের পর এ বার ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের জন্যও আচরণ বিধি বেঁধে দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি (টিএমসিপি) সৌরভ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠকে সাত দফা আচরণ বিধি তৈরি হয়েছে। বৈঠকে টিএমসিপি-র উপদেষ্টামণ্ডলীর চেয়ারপার্সন বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়-সহ রাজ্য নেতৃত্ব, জেলা এবং বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল রাজ্য সরকারে যাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই কর্মীদের জন্যও আচরণবিধি তৈরি করেছিলেন দলীয় নেতৃত্ব।
সৌরভ জানান, বৈঠকের সিদ্ধান্তকোনও কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করা যাবে না; ছাত্র আন্দোলনের নামে পথ অবরোধ করে জনতার অসুবিধা করা যাবে না; কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধু মেধা তালিকার উপরেই নির্ভর করতে হবে; মেধা তালিকার বাইরে কাউকে ভর্তি করানোর জন্য কলেজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা যাবে না; ভর্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতি হলে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে; পছন্দমতো কলেজে ভর্তি হতে না পারা পড়ুয়ারা সংগঠনের দ্বারস্থ হলে তাঁদের নাম অন্য কলেজের মেধা তালিকায় ওঠে কিনা, তা জেলা সভাপতিদের দেখতে হবে; এসএফআই বা অন্য সংগঠন থেকে টিএমসিপি-তে আসা পড়ুয়াদের সদস্য করার আগে দলের অনুমতি নিতে হবে।
বাম সরকারের আমলে অনেক সময়ই ভর্তির ক্ষেত্রে মেধা তালিকার পরিবর্তে শাসক দল বা তাদের প্রভাবিত ছাত্র সংগঠনের সুপারিশকে মাপকাঠি করা ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রেক্ষিতে টিএমসিপি সংগঠন এবং সরকারের ‘স্বচ্ছ’ ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠায় তৎপর। তারা প্রমাণ করতে চায়, রাজ্যে তাদের সরকার তৈরি হওয়ায় কলেজে কলেজে তারাই শক্তিশালী ছাত্র সংগঠন। এতে ভর্তি প্রক্রিয়া ‘দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণ’ থেকে মুক্ত হয়েছে। সৌরভের আশা, এই ভাবে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নিজেদের ভাবমূর্তি ‘উজ্জ্বল’ করে তাঁরা আরও বেশি সদস্য টানতে পারবেন। |
|
|
|
|
|