|
|
|
|
ফরওয়ার্ড ব্লক |
দলে ফিরেই ‘গেঁজে যাওয়া’ তত্ত্ব ছাড়তে বার্তা জয়ন্তর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য নেতৃত্বে ‘প্রত্যাবর্তন’ হল জয়ন্ত রায়ের। পুরনো দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশেরমঞ্চে দাঁড়িয়ে অশোক ঘোষ, দেবব্রত বিশ্বাসের উপস্থিতিতে ফ ব-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর নতুন সদস্য সাফ বললেন, “কিছু গেঁজে-যাওয়া বিষয়কে কর্মীদের মাথায় ঢোকানোর চেষ্টা করে লাভ হবে না!”
প্রয়াত কৃষিবিপণন মন্ত্রী ছায়া ঘোষের সঙ্গেই ২০০৫ সালে ফ ব থেকে বহিষ্কৃত হয়ে জনবাদী ফরওয়ার্ড ব্লক নামে নতুন দল গড়েছিলেন জয়ন্তবাবু। সেই দল এখন আবার ফ ব-র সঙ্গেই মিশে যাচ্ছে। পুনর্মিলনের পরে আনুষ্ঠানিক ভাবে বুধবার ফ ব-র ৭২তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রথম অশোকবাবুদের সঙ্গে এক মঞ্চে এলেন জয়ন্তবাবু। মহাজাতি সদনে এ দিনের অনুষ্ঠানে ফ ব নেতৃত্ব ‘নয়া যুগে নয়া পার্টি’ গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু তারই মধ্যে জয়ন্তবাবুর বক্তব্য আলাদা করে তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষত তিনি বলেছেন, “নেতাজির সময়ের কালপর্ব আর এখনকার কালপর্ব এক নয়, এই কথা মনে রাখতে হবে।” ফ ব-য় এ কথা সচরাচর শোনা যায় না!
জয়ন্তবাবুকে ফ ব-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য করা হয়েছে। এর পরে তিনি রাজ্য নেতৃত্বের তরফে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন বলে দলীয় সূত্রের খবর। ফ ব-র সাধারণ সম্পাদক দেবব্রতবাবু এ দিন বলেন, “আগামী ছ’মাসের মধ্যে শাখা থেকে উপরতলা পর্যন্ত দলকে পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া চালানো হবে।” বস্তুত জয়ন্তবাবুদের ফিরিয়ে আনার মধ্য দিয়ে পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। নেতৃত্ব পরিবর্তনের প্রক্রিয়া যে ধাপে ধাপে হবে, তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন দেবব্রতবাবু। তাঁর কথায়, “নেতৃত্ব পরিবর্তনের কথা বলা মানে স্যুইচ অন-স্যুইচ অফ নয়! এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেবেন অশোক ঘোষ। তাঁকেই দায়িত্ব নিয়ে ছ’মাসের মধ্যে দলকে পুনর্গঠন করতে হবে।”
অশোকবাবু অবশ্য ‘নয়া যুগে নয়া পার্টি’-সহ দু’টি নতুন স্লোগান বেঁধে দেওয়ার বাইরে এ দিন বিশেষ কিছু বলেননি। তবে জয়ন্তবাবুদের ফেরানো নিয়ে দলে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল, তার নিরিখে ‘ঐক্যের বার্তা’ দিতে সফল হয়েছেন তিনি। অশোকবাবুর সঙ্গে তাঁর ‘দূরত্ব’ নেই বোঝাতে মঞ্চে বসেই নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই মহাজাতি সদনেই নতুন ইতিহাস হতে পারত, যদি অশোক ঘোষের নেতৃত্বে নন্দীগ্রাম সমস্যার সমাধান হতে দেওয়া হত! কোন বামপন্থা সে দিন বাধা হয়েছিল, সেই ইতিহাস চাইলেই আমরা মুছে দিতে পারি না!” |
|
|
|
|
|