|
|
|
|
কলেজ-মানচিত্র তৈরির দায়িত্ব বেসরকারি হাতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের কলেজগুলির পরিকাঠামো সম্পর্কে সবিস্তার তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দিচ্ছে উচ্চশিক্ষা দফতর। উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বুধবার জানান, ওই সংস্থা ছ’মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।
উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে চায় দফতর। রাজ্যের কোথায় কত কলেজ আছে, সেগুলিতে কোন কোন বিষয় পড়ানো হয়, কোথায় কত শিক্ষক আছেন, ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাই বা কত এই সব তথ্য নিয়ে একটি মানচিত্র তৈরি করবে ওই বেসরকারি সংস্থা। কোন কলেজের আশেপাশে কত স্কুল ও মাদ্রাসা আছে, তারও উল্লেখ থাকবে সেই মানচিত্রে।
রাজ্যে এখন কলেজের সংখ্যা প্রায় ৬০০। তার মধ্যে অনেক কলেজেই শিক্ষকের অভাব আছে। কোথাও কোথাও ছাত্র-সংখ্যা খুব কম। মূলত বাণিজ্যের বিষয়গুলিতে ছাত্র-সংখ্যা কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে। উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী এ দিন বলেন, “বিভিন্ন কলেজের ভবনগুলির কী অবস্থা, পরিকাঠামো কী রকম ইত্যাদি তথ্য জানাবে ওই সংস্থা। কোথায় কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় গড়া যায়, তা-ও জানাবে তারা। ওই রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কিন্তু বেসরকারি সংস্থাকে তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কেন?
কোনও সরকারি সংস্থাকে দিয়ে এই কাজ করানো হলে প্রচুর সময় লাগত বলে মনে করছেন দফতরের আধিকারিকেরা। কিন্তু রাজ্য সরকার দ্রুত কিছু ব্যবস্থা নিতে চায়। সেই কারণেই বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে এই কাজ করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ দিকে, বুধবারেই উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী জানান, মোমিনপুরের জ্ঞান ঘোষ পলিটেকনিকের ক্যাম্পাসে একটি মেয়েদের কলেজ খোলার কথা ভাবছেন তাঁরা। এ দিন ওই পলিটেকনিকে যান ব্রাত্যবাবু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় এবং স্থানীয় বিধায়ক তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম। পরে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, “ওই পলিটেকনিকের ভাঙাচোরা অবস্থা। সেটা রবিরঞ্জনবাবুই দেখবেন। আমরা ভাবছি, ওই ক্যাম্পাসের ভিতরেই একটি মহিলা কলেজ গড়ব।” |
|
|
|
|
|