|
|
|
|
সালিশিতে এসে প্রহৃত বসিরহাটের গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় খুনের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্তদের হয়ে সালিশি করতে এসে গ্রামবাসীদের হাতে পিটুনি খেলেন কয়েক জন। তাঁদের সঙ্গে থাকা দু’টি মোটর বাইক ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের উত্তর ওলাইচণ্ডী গ্রামে। পুলিশ খবর পেয়ে গ্রামে গিয়ে প্রহৃতদের উদ্ধার করে থানায় আনে। পুরো বিষয় খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, উত্তর ওলাইচণ্ডী গ্রামের রওশনারা বিবির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বাদুড়িয়ার শায়েস্তানগরের বাসিন্দা আয়ুব আলি দফাদারের। অভিযোগ, কিছু দিন ধরে প্রতিবেশী আহমদ আলি দফাদার নানা ভাবে উত্যক্ত করছিলেন ওই বধূকে। শনিবার স্বামীর অনুপস্থিতিতে রওশানার ঘরে ঢোকেন আহমদ। বধূর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ধরা পড়ে যান ওই ব্যক্তি। তাঁকে মারধর করা হয়। পরে ওই ব্যক্তি লোকলস্কর নিয়ে ফের বধূর বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ। রওশনারা ও তাঁর স্বামীকে মারধর করেন। ওই রাতেই বারান্দায় বাঁশের খুঁটিতে কাপড়ের ফাঁসে ঝুলন্ত দেহ মেলে ওই বধূর। এই ঘটনার পরে মৃতার স্বামী আহমদ-সহ সাত জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, এঁরাই পিটিয়ে খুন করেছে রওশনারাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় শায়েস্তানগরের বাসিন্দা জিয়ারুল ওরফে ঝঙ্কার সর্দারের ছেলে রাকেশ এবং বউমা লুৎফারের নাম জড়িয়ে যায়। এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ঝঙ্কার তাঁর দুই সঙ্গে কাদের মণ্ডল এবং জিয়ারুল সর্দারকে ননিয়ে ওলাইচণ্ডী গ্রামে এসেছিলেন মীমাংসার জন্য। অন্য একটি বাইকে ছিলেন আর্শাদ আলি সর্দার। কথা ছিল, গ্রামের মাতব্বরের ঘরে বসে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা সূত্র বের করা হবে। কিন্তু গ্রামের লোক তার আগেই খেপে গিয়ে মারধর শুরু করেন। গ্রামেরই কিছু লোক মারধরের হাত থেকে সরিয়ে অভিযুক্তদের একটি ঘরে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেন। |
|
|
|
|
|