পীযূষকে নিয়ে পুকুর থেকে কার্তুজ উদ্ধার
ভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের বয়ানের ভিত্তিতে তিন খুনে ব্যবহৃত স্বয়ংক্রিয় রাইফেলটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল সোমবারেই। কিন্তু সব কার্তুজের হদিস মিলছিল না। শেষ পর্যন্ত ব্যারাকপুরের সেই পুকুরের পাঁকের ভিতর থেকেই বুধবার ভোরে উদ্ধার করা হল কাপড়ের ছোট থলি ভর্তি কার্তুজ ও ম্যাগাজিন। তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, প্রণয়িনী সর্বাণী পাল, তাঁর স্বামী মানবেন্দ্র পাল এবং মানবেন্দ্রবাবুর দিদি রোহিণী রায়কে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবল পীযূষকান্তি ঘোষ নিজেই ওই জায়গাটি দেখিয়ে দিয়েছেন। থলিটিতে মোট ৪০ রাউন্ড কার্তুজ মিলেছে। তার মধ্যে ম্যাগাজিনে ছিল ১০ রাউন্ড গুলি, খোলা অবস্থায় ছিল ৩০ রাউন্ড।
মঙ্গলবার ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতের নির্দেশে ছ’দিনের জন্য পুলিশি হাজতে পাঠানো হয় পীযূষকে। সোমবার মুর্শিদাবাদের কাহারপাড়া সীমান্তে ধরা পড়ার পরে পীযূষ বিএসএফ বা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের কাছে নিজের অপরাধের কথা কবুল করেছিল। তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, হাজতে জেরার সময়েও পীযূষ নিজে থেকেই পুলিশকে ওই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে অনেক তথ্য দিয়েছে। খুনের পরে কী ভাবে পুকুরে রাইফেল ও গুলিভরা থলিটি ফেলেছিল, তা-ও তদন্তকারীদের জানায় সে। এ দিন খুব ভোরে পীযূষকে ওই পুকুরের কাছে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। পুকুরের একটি জায়গা দেখিয়ে দেয় পীযূষ। সেখানে নেমে খোঁজাখুঁজি করতেই পাওয়া যায় গুলিভরা সবুজ থলিটি। লোক জানাজানি হওয়ার আগেই অভিযুক্ত কনস্টেবলকে ব্যারাকপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ব্যারাকপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুবজ্যোতি দে বলেন, “তদন্তের স্বার্থে এ দিন কাহারপাড়া সীমান্তে তদন্তকারীদের একটি দল পাঠানো হয়েছে। পীযূষ ধরা পড়া সময় সেখানকার সীমান্ত-চৌকিতে যাঁরা ডিউটিতে ছিলেন, সেই জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলবেন তদন্তকারীরা।”
Previous Story South Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.