সুন্দরবনের নদীবাঁধের পরিস্থিতি জানতে আজ বসিরহাটে মানস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
সুন্দরবন এলাকার বাঁধের পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ-খবর করতে বুধবার সন্ধ্যায় বসিরহাট ঘুরে গেলেন সুন্দরবন উন্নয়ন ও সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সাংসদ নুরুল ইসলাম এবং প্রশাসনের কর্তারা।
মন্ত্রী প্রথমে মহকুমাশাসকের দফতরে আসেন। সেখান থেকে যান ইছামতীর পাশে হরিশপুর এবং চৌরচর এলাকা পরিদর্শনে। ওই এলাকায় নদীবাঁধের অবস্থা যথেষ্ট খারাপ। প্রায়ই বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়। মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে স্থানীয় মানুষ দ্রুত বাঁধ সারাইয়ের দাবি তোলেন। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে নদীবাঁধ সম্পর্কে মহকুমাশাসকের কাছ থেকে খোঁজ নেন শ্যামলবাবু। বাঁধের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আজ, বৃহস্পতিবার বসিরহাটে আসছেন সেচমন্ত্রী মানস ভুইঁঞা-সহ উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। তারই প্রস্তুতিতে শ্যামলবাবু এসেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, “দু’টো বাঁধ ঘুরে দেখলাম। বাঁধের অবস্থা ভাল নয়। অনেক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। সুন্দরবনের অনেক জায়গাতেই বাঁধের অবস্থা খারাপ। জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে বলা হয়েছে। স্লুইস গেট সচল রাখার ব্যাপারেও তাঁরা নজর দিচ্ছেন বলে জানান মন্ত্রী। |
|
গোসাবার রাঙাবেলিয়ায় বেহাল নদীবাঁধ । |
কয়েক দিনের টানা ঝড়-বৃষ্টিতে সুন্দরবন এলাকার একটা বড় অংশের নদীবাঁধের অবস্থা বেহাল। মাটির বাড়ি ভেঙে কিংবা পলিথিনের ছাউনি উড়ে গিয়ে বিপদে পড়েছেন সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জের অনেক পরিবার। নদী বাঁধে ফাটল কিংবা ধস নামার ঘটনাও ঘটেছে কিছু এলাকায়। জলবন্দি কয়েকটি গ্রামের মানুষ। প্রতিবাদ জানাতে বুধবার স্থানীয় মানুষ বিক্ষোভ দেখান হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের ১৩ নম্বর সান্ডেলেরবিল এলাকায়। সকাল ৮টা থেকে ঘণ্টা দু’য়েক রাস্তা বন্ধ থাকায় পারহাসনাবাদ এবং নেবুখালির মধ্যে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। গ্রামের মানুষের অভিযোগ, ৭টি স্লুইস গেটের মধ্যে আয়লার পর থেকে ৫টিই অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এই পরিস্থিতিতে গ্রামে জমে থাকা জল সরছে না। মহকুমা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান সহিদুল গাজি। |
|
বসিরহাটের চৌরচরে ইছামতী বাঁধ পরিদর্শন করছেন মন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল। |
অন্যদিকে, কয়েকদিন আগে টানা প্রবল বর্ষণের জেরে সুন্দরবন অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধগুলি দেখতে বুধবার গোসাবায় যান এসইউসি সাংসদ তরুণ মণ্ডল। গোসাবার বিপ্রদাসপুরের মন্মথনগরের ৭ থেকে ৯ নম্বর খেয়াঘাটের দেড় কিলোমিটার নদীবাঁধ এলাকাল এবং ৩ নম্বর রাঙাবেলিয়া এলাকার নদীবাঁধ ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, “২০০৯ সালে আয়লার পরে ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধগুলির উপযুক্ত সংস্কার না হওয়ায় ফের ওই সব নদীবাঁধগুলি ভাঙতে শুরু করেছে।” ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধগুলির দ্রুত সংস্করের জন্য রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডলকে অনুরোধ করেছেন তিনি।
|
-নিজস্ব চিত্র। |
|