জমিদারি বাঁধ সংস্কারের নির্দেশ নতুন সেচমন্ত্রীর
বং জুড়েই রয়েছে জমিদারি বাঁধ। যে জমিদারি বাঁধের অধিকাংশটাই বেহাল। যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা। আর ভাঙলেই বন্যার জলে ভাসার আশঙ্কা গ্রামের পর গ্রামের।
বার বার জমিদারি বাঁধ সংস্কারের আর্জি জানিয়েও সুফল মেলেনি। তখন অবশ্য বামফ্রন্ট সরকারের কাছে এই দাবি জানাতেন সবংয়ের কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। এখন তিনি নিজেই সেচমন্ত্রী। এ বার কী হবে? জমিদারি বাঁধ সংস্কারে কি উদ্যোগী হবে প্রশাসন? নতুন সেচমন্ত্রী জানিয়েছেন, জমিদারি বাঁধ সংস্কারে জেলা প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। একশ দিনের কাজের প্রকল্পে এই কাজ করতে বলা হয়েছে। প্রযুক্তিগত সাহায্য দেবে সেচ দফতর। জমিদারি বাঁধ সংস্কার খুবই জরুরি। প্রশাসন যাতে গুরুত্ব দিয়ে এই কাজ করে, সেই নির্দেশই দেওয়া হয়েছে।
সবংয়ের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সর্বত্রই রয়েছে জমিদারি বাঁধ। সব জমিদারি বাঁধ মিলিয়ে দৈর্ঘ্য ১৬৭ কিলোমিটার। একটি এলাকা থেকে অন্য এলাকায় জল ঢোকার ক্ষেত্রে বাধার প্রাচীর এই বাঁধ। সবংয়ে ফি বছরই বন্যা হয়। একটু বৃষ্টি হলেই কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী ফুলে ওঠে। দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় দুর্বল জমিদারি বাঁধ ভাঙে। ঝুরঝুরে মাটি, ফাটলের ছিদ্র পেরিয়ে নদীর জল ভাসায় গ্রামের পর গ্রাম। বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। বন্যা হলেই জমিদারি বাঁধ সংস্কারের দাবিও জোরদার হয়। সবংয়ের তৃণমূল নেতা অমূল্য মাইতিও বলেন, “অবিলম্বে সমস্ত জমিদারি বাঁধ সংস্কার প্রয়োজন। তা হলে অনেক গ্রামকেই বন্যার কবল থেকে বাঁচানো যাবে।” অমূল্যবাবু আশাবাদী, এ বার রাজ্য সরকার তৃণমূল-কংগ্রেস জোটের দখলে, সবংয়ের বিধায়ক মানসবাবুই স্বয়ং সেচমন্ত্রী। তাই এ বার সবং গুরুত্ব পাবে এবং ও কাজের কাজ হবে বলে মানুষের আশা।
যদিও সেচ দফতর সরাসরি বাঁধ সংস্কারের কাজ করবে না। সেচমন্ত্রী এই কাজ করার জন্য জেলা প্রশাসনকেই নির্দেশ দিয়েছেন। পথও বলে দিয়েছে। সেই পথ হল, একশো দিনের প্রকল্প। যাতে এলাকার মানুষ কাজও পাবেন। আর নিজের এলাকার বাঁধ সংস্কার করতে পারলে বন্যা নিয়ন্ত্রণও সম্ভব বুঝে ভালভাবে কাজও করবেন। অবশ্য তার জন্য প্রযুক্তিগত যে কোনও সাহায্যই দেবে সেচ দফতর। মন্ত্রীর কথায়, “সব ধরনের প্রযুক্তিগত সাহায্য দেবেন আমাদের দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা। জেলা পরিষদ বা জেলা প্রশাসন প্রকল্প তৈরি করে আমাদের জানালেই সাহায্য দেব। এখন টাকার অভাব নেই। একশো দিনের প্রকল্পে খরচ করতে পারলেই কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ দিচ্ছে। ফলে এই কাজে অর্থের সমস্যা হবে না।”
Previous Story Medinipur Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.