|
|
|
|
কলকাতা লিগ নিয়ে হুমকি মোহনবাগানের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এএফসি-র নির্দেশের পরেও বহু দিন ঘুমোচ্ছিল আইএফএ, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল। এত দিনে জেগে উঠে তারা এখন কলকাতা লিগ নিয়ে ঝামেলায়। এএফসি-র নিয়মে তারকাদের নির্ধারিত ম্যাচ খেলার প্রেক্ষাপটে কলকাতা লিগ না খেলার হুমকি দিল মোহনবাগান। আইএফএ অফিসে কলকাতার সব ক্লাবগুলোর বৈঠকে মোহন সচিব অঞ্জন মিত্র বলে দিলেন, “ফুটবলারদের খেলায় নিষেধাজ্ঞা থাকলে মোহনবাগান খেলবে কি না, দেখতে হবে। কার্যকরী কমিটি ঠিক করবে। ভাঙা দল নিয়ে লিগ খেলব না।”
এই হুমকির ফলে কলকাতা লিগের সূচি তৈরি আটকে গেল। আইএফএ শুধু দলবদলের সরকারি তারিখ ঘোষণা করতে পেরেছে। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বিদেশ যাচ্ছেন। ফলে সমস্যা ঝুলেই রয়েছে।
বুধবার মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডান সহ সব ক্লাবের কর্তাদের নিয়ে আলোচনায় বসেন আইএফএ সচিব। সেখানেই ফেডারেশনের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মোহনবাগান কর্তারা। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা অতটা সরব না হলেও মোহনবাগানের সুরেই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আইএফএ প্রথমে ভেবেছিল, প্রিমিয়ার লিগের কাঠামো পাল্টাবে, যাতে বড় দলকে কম ম্যাচ খেলতে হয়। এ নিয়ে আবার তীব্র আপত্তি জানায় ছোট ক্লাবগুলো। কাজেই ঠিক হয়েছে, পুরোন কাঠামোতেই খেলা হবে। ম্যাচের সংখ্যা কমবে না।
ঝামেলার সূত্রপাত, এএফসি-র নতুন প্রস্তাব নিয়ে। তারা আই লিগের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য জানিয়েছিল, কলকাতা বা গোয়া লিগের প্লেয়াররা সেখানে খেলতে পারবেন না। ইস্টবেঙ্গল প্রেসিডেন্ট প্রণব দাশগুপ্ত সেই সভায় ছিলেন ভারতের ক্লাবের প্রতিনিধি হিসেবে। তিনি ব্যাপারটা না বুঝতে পেরে সই করে দেন। এ দিন আইএফএ-র সভায় কিন্তু ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার মোহনবাগানের প্রতিবাদের বিরোধিতা করেননি।
আইএফএ-র সভায় মোহন সচিব কাঠগড়ায় দাঁড় করান ফেডারেশনের অ্যাকশন গ্রুপের প্রধান সুব্রত দত্তকে। তিনি কেন ফেডারেশনের সভার আগে আইএফএতে আলোচনা করেননি, প্রশ্ন তোলেন। এআইএফএফ ভাইসপ্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত পাল্টা বলেন, “ক্লাবগুলো বা আইএফএ কি এতদিন ঘুমোচ্ছিল? এ নিয়ে তো অনেক আগে প্রতিবাদ করার কথা। আমি আই লিগের কমিটিতে নেই। তবু স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে এআইএফএফে আবার বিষয়টি তুলি। এএফসি প্রথমে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আমরা প্রতিবাদ করায় তবু একটা জায়গায় এসেছে। উপকার করতে গিয়ে যখন এই অবস্থা, এ সবে আর থাকছি না।” |
|
|
|
|
|