|
|
|
|
বদলা নিতে পিটারসেনের উপর ‘অত্যাচার’ করতে চান যুবরাজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
তিনি সুরেশ রায়নার অধিনায়কত্বে খেলতে চান না বলে যে বিতর্ক ছড়িয়েছে তা নিয়ে ফের মুখ খুললেন যুবরাজ সিংহ। “আমি কোনও ক্যাপ্টেনের হয়ে খেলি না। দেশের হয়ে খেলি।” একটি টিভি রিয়্যালিটি শো-এর অনুষ্ঠানে কলকাতায় এসে বলে দিলেন বিশ্বকাপের ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট। যিনি মনে করেন, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, তাঁরা আঠাশ বছর বাদে বিশ্বকাপ জিতলেন আর সেই বিশ্বকাপের একটা ম্যাচও তাঁরা প্রিয় ইডেনে খেলার সুযোগ পেলেন না।
পুণে ওয়ারিয়র্সের ক্যাপ্টেন তিনি। শহর কলকাতায় তাই নতুন পরিচয়দাদার টিমের ক্যাপ্টেন। যুবরাজকে এ দিন জিজ্ঞেস করা হল, কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচের দিন পুরনো দলের বিরুদ্ধে নিজেকে প্রমাণ করার বাড়তি তাগিদ দাদার মধ্যে দেখা গিয়েছিল কি না? যুবরাজ বললেন, “সৌরভ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এত দীর্ঘ সময় ধরে সম্মানের সঙ্গে খেলেছে। এত রান করেছে। এত সেঞ্চুরি করেছে। দেশের এত সফল এক জন অধিনায়ক। আমার মনে হয় না নতুন করে ওর কারও কাছে কিছু প্রমাণ করার আছে বলে।” এর পর যোগ করলেন, “যখন ভারতের হয়ে খেলা শুরু করেছিলাম তখন দাদা আমাকে খুব সমর্থন করেছিল। এখন আমার ওকে সমর্থন করার সময়। এ বছরে খুব ছোট একটা সময়ের জন্য ওকে পেয়েছিলাম। কিন্তু সেই সময়টাও খুব ভাল গিয়েছে। সামনের বছর আরও ভাল কিছু দেখার আশায় রয়েছি।”
মনে করা হয়েছিল বাণিজ্যিক কারণে শহরে আসা যুবরাজ হয়তো ক্রিকেট নিয়ে বিতর্কিত প্রশ্ন এড়িয়ে যাবেন। কিন্তু ক্যারিবিয়ান সফরে না যাওয়ার প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি উত্তেজিত ভাবে বলতে শুরু করলেন, “সৌরভ, ধোনি, গম্ভীরঅনেক ক্যাপ্টেনের অধীনেই আমি খেলেছি। ধোনি আর গম্ভীর যখন দেশের হয়ে খেলতে শুরু করেছে তখন আমার পাঁচ বছর কাটানো হয়ে গিয়েছে। রায়নার নেতৃত্বে খেলব না বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাইনি, এ সব কথার কোনও ভিত্তি নেই।” সঙ্গে যোগ করলেন, “আমার ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছিল। ডাক্তার মাত্র চার দিন আগে ট্রেনিং শুরু করার অনুমতি দিয়েছেন। এখন অনেক ফিট এবং ইংল্যান্ড সফরের দিকে তাকিয়ে আছি। ”
তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হল, জীবনের কঠিন সময়ের কথা। প্রাক-বিশ্বকাপ সময়ে যখন দল থেকে বাদ পড়ে তাঁর কেরিয়ারই শেষ হয়ে যাওয়ার আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। যুবরাজ গম্ভীর হয়ে গেলেন, “জীবনের কঠিন সময়ে সবথেকে বড় শিক্ষা কী পেয়েছি জানেন? শিখেছি যে, কঠিন সময়ে তুমি একা। আর একাই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।”
ইউ টিভি বিন্দাস চ্যানেলে যে রিয়্যালিটি শো-তে তাঁকে বিশেষ ভূমিকায় দেখা যাবে তার নাম ‘ইমোশনাল অত্যাচার’। তরুণ-তরুণীর সম্পর্কের সত্যতা যাচাইয়ের মতো বিতর্কিত অভিযান নিয়ে শো। তিনি এ রকম একটা শো-কে কী চোখে দেখছেন? যুবরাজ হেসে ফেলেন, “সম্পর্কে আমি তো সব সময় অত্যাচারিতই হয়ে এসেছি। এই অনুষ্ঠানটা মাঝেমধ্যে খুব আবেগপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তখন পরিস্থিতি সামলানো মোটেও সহজ নয়।” আর এক প্রশ্নকর্তা বললেন, সলমন খান আর আপনি দেশের দুই ‘মোস্ট এলিজিব্ল ব্যাচেলর’। কবে বিয়ে করছেন? এ বার সহাস্য যুবরাজ, “সলমন আগে বিয়েটা করুক। তার পর আমি দেখছি।” ইংল্যান্ড সফরে আপনার ‘বিশেষ বন্ধু’ পিটারসেনের উপর কি কোনও ‘ইমোশনাল অত্যাচার’ করবেন? “কিছু তো করতেই হবে। ও আমাকে পাইচাকার বলেছিল না!” বলে দিলেন যুবরাজ। |
|
|
|
|
|