|
|
|
|
দু’বার সতর্কিত হওয়ার কথা ভুলেই যান প্রবীণ কুমার |
সংবাদসংস্থা • কিংস্টন (জামাইকা) |
প্রবীণ কুমারের মনেই হয়নি সাবাইনা পার্কে অভিষেক টেস্ট খেলছেন! এতটাই মানসিক ভাবে স্বাভাবিক এবং বল হাতে স্বচ্ছন্দ ছিলেন ভারতীয় পেসার।
প্রবীণ কুমারের বারবার মনে হচ্ছে সাবাইনা পার্কে ক্রিকেটজীবনে প্রথম বার আইন লঙ্ঘনের অপরাধে আম্পায়ারের তাঁকে আর সেই ইনিংসে বলই করতে না দেওয়ার দুর্ঘটনাকে! “এ রকম ঘটনা আমার জীবনে এই প্রথম। আগে কখনও কোনও পর্যায়ের ক্রিকেটে এমন হয়নি,” বলে প্রবীণ যোগ করছেন, “তবে এক দিক দিয়ে ভালই হয়েছে যে, ব্যাপারটা প্রথম টেস্টেই ঘটল। খুব তাড়াতাড়ি দোষটা শুধরে নিতে পারব।” তা সত্ত্বেও মেরঠের তরুণ মিডিয়াম পেসার জীবনের প্রথম টেস্টে বল করে প্রচণ্ড আনন্দ পেয়েছেন বলে দাবি করছেন। “বিশ্বাস করুন, বল করার সময় এক বারও মনে হয়নি জীবনের প্রথম টেস্ট খেলছি। দু’দিকেই বল মুভ করাতে পেরেছি। সব মিলিয়ে অভিষেক টেস্টে বল করাটা দারুণ উপভোগ করেছি,” বলেছেন প্রবীণ।
জীবনের প্রথম টেস্ট ইনিংসেই বল করা থেকে সাসপেন্ড হলেও প্রবীণ নিজেকে অন্য একটা কারণে ভাগ্যবান মনে করছেন। “দ্বিতীয় ওভার থেকেই বোলিং ছন্দ পেয়ে গিয়েছিলাম। কিংস্টনের প্রচণ্ড গরমে যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সে দিক দিয়ে আমি কিন্তু ভাগ্যবান।” পাশাপাশি তাঁর অবাক লাগছে আম্পায়ার তাঁকে সতর্ক করে দেওয়া সত্ত্বেও বারবার পিচের বিপজ্জনক অঞ্চলে তিনি ফলো থ্রু-তে ঢুকে পড়লেন কী ভাবে? “সত্যিই এটা আশ্চর্যের যে, একই ভুল তিন-তিন বার আমার হল কী করে? একটা ব্যাপার হতে পারে যে, নিজের ফলো থ্রু-র চেয়ে অনেক বেশি ফোকাসড্ ছিলাম ব্যাটসম্যানকে নিয়ে, বলের লাইন-লেংথ নিয়ে। তা ছাড়া হয়তো বল করতে করতে ভুলেই গিয়েছিলাম যে, এই ইনিংসে আগে আমাকে দু’বার সতর্ক করা হয়েছে!” বলেছেন প্রবীণ।
টেস্টের দ্বিতীয় দিন ভারতীয় ড্রেসিংরুমের আরও একটি খারাপ খবর, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিরক্তি প্রকাশ করায় অমিত মিশ্রের ম্যাচ ফি-র দশ শতাংশ জরিমানা হয়েছে। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করার সময় আম্পায়ার অমিতকে কট বিহাইন্ড আউট দিলে তিনি প্রথমে ক্রিজে কিছু সময় অবিশ্বাসের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকেন। আর্ম গার্ড দেখিয়ে বোঝাতে চান, বল ব্যাটে লাগেনি। তার পর আম্পায়ারের পাশ দিয়ে মাঠ ছাড়ার সময় তাঁর উদ্দেশ্যে বিড়বিড় করে কিছু বলে যান। |
|
|
|
|
|