সিপিএম পরিচালিত চন্দ্রকোনার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে তৃণমূলের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সভা হয়ে গেল মঙ্গলবার। গত ১৭ জুন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল তৃণমূল। ১৫ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে সভা ডাকার নিয়ম থাকলেও পুরপ্রধান ৪ দিনের মধ্যেই এই বিশেষ সভা ডাকেন। সভায় ভোটাভুটিতে অনাস্থার পক্ষে ৮ এবং বিপক্ষে ৪টি ভোট পড়ে। ফলে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। স্বাভাবিক নিয়মেই অপসারিত হয়েছেন পুরপ্রধান অরুণ সাহা। ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারীও জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের ভোটাভুটিতে পুরপ্রধান হেরে গিয়েছেন। গত বছরের পুরভোটে চন্দ্রকোনা পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে সিপিএম প্রার্থীরা ৪টি, নির্দল প্রার্থীরা ৩টি এবং তৃণমূল প্রার্থীরা ৫টি আসনে জেতেন। নির্দল কাউন্সিলদের সমর্থনে পুরবোর্ড গড়ে সিপিএম। পুরপ্রধান হন সিপিএমের অরুণ সাহা এবং উপ-পুরপ্রধান নির্দল রণজিৎ ভাণ্ডারী। সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে পালাবদলের পরেই ৩ নির্দল কাউন্সিলর শিবির বদলে তৃণমূলের পক্ষে চলে আসেন। আর তার পরেই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে তৃণমূল। সেই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় এ বার নতুন পুরপ্রধান নির্বাচন হবে। নির্দলদের সমর্থনে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেতৃত্ব। ৭ দিনের মধ্যেই নতুন পুরপ্রধান নিবার্চনের জন্য বৈঠক ডাকার নিয়ম রয়েছে পুর আইনে।
এ দিকে অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই পুরসভার উন্নয়ন-কাজ শিকেয় উঠেছে। ক্ষমতা দখল নিয়েই শুধু কাজিয়া চলছে। |