আরপিএফের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন রেল-হকাররা। অভিযোগ, আরপিএফের কর্মীরা যখন-তখন হকারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন। সেই সঙ্গে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। দাবি মতো টাকা দিতে না-পারলে মিথ্যে মামলা সাজানো হচ্ছে। এ সব অভিযোগ নিয়েই বুধবার সকাল থেকে মেদিনীপুর স্টেশনে অবস্থানে বসেন ভ্রাম্যমাণ রেল-হকার ইউনিয়নের সদস্যরা। আরপিএফ অফিসের সামনেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি পেয়ে দুপুরেই অবশ্য অবস্থান তুলে নেন হকারেরা। ইউনিয়নের নেতা পিটার ফ্রান্সিস বলেন, “রেলে হকারি করেই আমাদের সংসার চলে। দিনের শেষে আয় হয় সামান্যই। এই রোজগারের পথও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। হকারদের উপর জুলুম চলছে। |
এরই প্রতিবাদে এ দিনের অবস্থান।” তাঁর বক্তব্য, “কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই অবস্থান প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি রক্ষা না-হলে ফের আমরা আন্দোলন শুরু করব।”
রেল হকারদের লাইন্সেস থাকে না। একমাত্র স্টেশনে যাঁদের দোকান রয়েছে, ব্যবসা করার জন্য তাঁদেরই লাইসেন্স দেওয়া হয়। অভিযোগ, এই সুযোগ নিয়েই রেল হকারদের উপর জুলুম করেন আরপিএফ ও জিআরপি-র একাংশ কর্মী। যদিও কর্তৃপক্ষ এই জুলুমের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। জিআরপি-র এক কর্তার কথায়, “হকাররা তাঁদের রুজি-রোজগারের জন্য ব্যবসা করেন। সেখানে জুলুমের প্রশ্নই ওঠে না। অভিযোগ ভিত্তিহীন।” অবশ্য সূত্রের খবর, এ দিন সকালেও কয়েক জন হকারের সঙ্গে বচসা বাধে নিরাপত্তারক্ষীদের। এর পরই অবস্থানে বসার সিদ্ধান্ত নেয় ভ্রাম্যমাণ রেল হকার ইউনিয়ন। শুধু মেদিনীপুরেই প্রায় ৪০ জন হকার ট্রেনে ট্রেনে ব্যবসা করেন। কেউ চা বিক্রি করেন, কেউ বা মুড়ি-তেলেভাজা। হকারদের নির্দিষ্ট রুটও রয়েছে। ইউনিয়নের অভিযোগ, আগেও এমন জুলুম হয়েছে। রাজ্যে পালাবদল হয়েছে। কিন্তু এই অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। হকার ইউনিয়নের নেতা পিটার বলেন, “আশা করেছিলাম পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। জোর-জুলুম বন্ধ হবে। কিন্তু হয়নি।” অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন রেলওয়ে পুলিশ সুপার (খড়্গপুর) শঙ্কর চক্রবর্তী। |