|
|
|
|
আমার শিলিগুড়ি |
দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ, ২ ঘণ্টায় আটক ৩০ সিটি অটো |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কোনওটির দূষণ সার্টিফিকেট নেই, তো কোনওটির হেডলাইট নেই। কোনও গাড়ির ইঞ্জিন থেকে এমনই গলগল করে কালো ধোঁয়া বার হচ্ছে যে চোখ কপালে উঠল সরকারি কর্তাদের। বুধবার শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়ি এলাকায় মহকুমা মোটর ভেহিকেলস দফতর এবং ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকেরা আচমকা তল্লাশি অভিযানে নামায় স্পষ্ট হয়ে গেল শিলিগুড়ির সিটি অটোর একাংশের চেহারা। এদিন দুপুর ২টো থেকে টানা দুই ঘণ্টা করে ওই এলাকায় একটির পর একটি অটোতে কাগজপত্র থেকে ইঞ্জিনের চেহারা পরীক্ষা করে দেখেন পরিবহণ আধিকারিকেরা। দুই ঘণ্টায় মোট ৩০টি অটো আটক করা হয়েছে। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিবহন আধিকারিক রাজেন সুনদাস বলেন, “বেশ কিছু অটো একেবারেই বেহাল। অনেকেরই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। এই অভিযান আরও কয়েকদিন চালানো হবে।” আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘আমার শিলিগুড়ি’ শীর্ষক ধারাবাহিকে শহরের দূষণের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরা হচ্ছে। সেই সুবাদেই ভাবে শহরের মধ্যে কিছু সিটি অটো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না-করে চলছে, কী ভাবে শহরে দূষণ ছড়াচ্ছে তার তথ্য পেশ করা হয়। এদিন পরিবহণ দফতর এবং ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে এই অভিযানে নামা হয়। শিলিগুড়ি-চম্পাসারি রুটের একটি অটো পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায়, সেটির সামনের গার্ড, হেডলাইট, কিছুই নেই। শিবমন্দির রুটের একটি অটো চলছে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই। সেটিকে আটক করার পরে ছুটে এলেন গাড়ির মালিক ডাক বিভাগের কর্মী খোকন মণ্ডল। তাঁর বক্তব্য, “ছেলেকে অটোর ব্যবসায় নামিয়েছি। সেই চালায়।” বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই? খোকনবাবুর জবাব, “গাড়িতে কাগজ থাকলে হারিয়ে যেতে পারে।” পরিবহণ দফতরের আইনে সঙ্গে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া রাস্তায় অটো নামানো বেআইনি। শিলিগুড়ি শহরে এমন শতাধিক অটো চলছে। চম্পাসারি রুটের এক অটোর চালক রাজু সিংহ অম্লান বদনে জানান, “দূষণ সার্টিফিকেট নবিকরণের সময় পেরিয়ে গিয়েছে। আজই সার্টিফিকেট আনতে যাচ্ছিলাম। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ ধরে ফেলল।” ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা এমন বেশ কয়েকজনকে এদিন ধরেছেন। মহকুমা পরিবহণ আধিকারিকের সাফ কথা, “ যে সমস্ত অটো এদিন আটক করা হল সেগুলির ফিটনেস পরীক্ষা করার পরেই ছাড়া হবে।” |
|
|
|
|
|