টুকরো খবর

জেলার মর্গ সারাবেন জেলাশাসক
প্রশাসনিক কতার্দের নাকে গন্ধ লাগার পরই জেলা হাসপাতালের মর্গ সংস্কারের উদ্যোগী হলেন মালদহের জেলাশাসক। কী কী কাজ করলে মর্গের দুর্গন্ধ দূর হবে এবং চিকিৎসকেরা স্বাভাবিক ভাবে ময়নাতদন্ত করতে পারবেন তা খতিয়ে দেখতে আগামী শনিবার জেলাশাসক পূর্ত দফতরের কর্তাদের নিয়ে মালদহ সদর হাসপাতালের মর্গ দেখতে যাবেন। কয়েক বছর আগে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে সদর হাসপাতালে মর্গ তৈরি করা হলেও, তা ময়নাতদন্তে উপযোগী ছিল না। বতর্মানে মর্গে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করার জন্য নেই টেবিল। নেই পর্যাপ্ত আলো। নেই পর্যাপ্ত বাতানুকূল যন্ত্র। নেই জেনারেটারের ব্যবস্থা। যার ফলে মর্গের মেঝেতেই ময়নাতদন্ত করতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। পর্যাপ্ত আলো না-থাকায় মেঘলা দিনে কম আলোয় ময়নাতদন্তের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বাতানুকূল যন্ত্র কম থাকা মর্গে থাকা মৃতদেহে পচন ধরে যাচ্ছে। আর সেই পচনের গন্ধে মর্গের ভিতরে থাকা তো দূরের কথা, বাইরের রাস্তায় নাকে রুমাল দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। সদর হাসপাতাল কতৃপক্ষ মর্গ সংস্কারের জন্য বহুবার জেলা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু জেলা প্রশাসন গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ। গত কয়েকদিন ধরে মাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত দেখতে গিয়ে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্তা। মর্গ থেকে ফিরে প্রশাসন কর্তারা মর্গের অব্যবস্থার কথা জেলাশাসককে জানানোর পরে টনক নড়ে। এরপরই জেলাশাসক জেলা হাসপাতালের মর্গ সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেন। জেলাশাসক রাজেশ সিংহ বলেন, “শনিবার পূর্ত দফতরের নিবার্হী বাস্তুকারকে সঙ্গে নিয়ে সদর হাসপাতালের মর্গ দেখতে যাব। মর্গকে ঢেলে সাজা হবে। টাকার কোনও অসুবিধা হবে না।”

শহরে ঢুকে হাতির হামলা, জখম বৃদ্ধ
একেবারে ঝাড়গ্রাম শহরের মধ্যে ঢুকে এক প্রৌঢ়কে জখম করল হাতি। মঙ্গলবার গভীর রাতে শহরের উত্তর বামদা এলাকার ওই ঘটনায় জখম বছর পঞ্চাশের শম্ভু মুর্মুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বন দফতর জানিয়েছে, ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে যে তিনটি রেসিডেন্ট বা স্থানীয় হাতি আছে, বিশাল বপুর দাঁতালটি তাদেরই অন্যতম। কয়েক দিন ধরেই বাকি দুই সঙ্গীর সঙ্গে ঝাড়গ্রাম শহরের অদূরের জঙ্গল এলাকায় ঘুরে বেড়িয়ে গাঁ-গঞ্জের ফলের বাগান খেয়ে সাফ করে দিচ্ছিল দাঁতালটি। কিছু দিন আগে হাতিটির হামলায় জখম হন গড়-শালবনির এক মহিলা। ‘রেসিডেন্ট’ ওই হাতিটি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম শহরের রাজ কলেজ এলাকায় ঢুকে পড়ে। এর পর বাসিন্দাদের তাড়া খেয়ে শহর লাগোয়া কনেডোবা গ্রামে ঢোকে। সেখানে একটি বাড়িও ভাঙে। ফের তাড়া খেয়ে শহরের উত্তর বামদা এলাকায় চলে আসে। বাড়ির দাওয়ায় ঘুমন্ত শম্ভুবাবুর উপরে চড়াও হয় হাতিটি। বাসিন্দাদের তাড়া খেয়ে পরে শহরের উপকন্ঠে ডিয়ার পার্কের দিকে চলে যায়। বুধবার সকালে ডিয়ার পার্ক লাগোয়া ধবনী বিটের জঙ্গলে হাতিটির হদিশ পায় বন দফতর। ঝাড়গ্রামের রেঞ্জ অফিসার পার্থপ্রতিম ত্রিপাঠির নেতৃত্বে বনকর্মীরা হাতিটির উপরে নজরদারিও শুরু করেছেন। পার্থপ্রতিমবাবু বলেন, “ঝাড়গ্রাম, লোধাশুলি ও মানিকপাড়ার বনাঞ্চলে বছরভর তিনটি রেসিডেন্ট হাতি ঘুরে বেড়ায়। ওই তিনটিরই একটি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ও রাতে দু’দফায় শহরে ঢুকেছিল। নিঃসঙ্গ বুনো দাঁতাল এমনিতেই আক্রমণাত্মক স্বভাবের হয়। তাই জোর করে হাতিটিকে খেদাতে গেলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”

পর্ষদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কোর্ট
বটানিক্যাল গার্ডেনের দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষ এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, গার্ডেনের পরিবেশের উন্নয়নে পর্ষদ যে সমস্ত নির্দেশ দিয়েছে সেগুলি বিশেষ কার্যকরী নয়। পর্ষদের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। তাঁরা বড় দোষীদের ছেড়ে দিয়ে ছোট অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। তা চলবে না। দূষণকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। আদালত এ দিন সিইএসসিকে জানিয়ে দিয়েছে, ৭০ বছর ধরে গার্ডেনের ভিতর দিয়ে বিদ্যুতের কেব্ল এখন বাইরে দিয়ে নেওয়ার কী ব্যবস্থা তারা করছে, তা দু’সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে। হাওড়া পুরসভার কাজেও এ দিন আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে। গার্ডেনের পাঁচিল ভেঙে ঢুকিয়ে দেওয়া বিভিন্ন কারখানা এবং আবাসনের বর্জ্যর ব্যাপারে পুরসভা কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করে আদালত। গার্ডেন কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেন, পাঁচিলের গায়ে বেআইনি নির্মাণ ও মন্দির তৈরি হয়েছে। জবরদখল হয়েছে। পুরসভা ব্যবস্থাই নেয়নি। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যত নির্দেশ জারি করেছে, পুলিশি ব্যবস্থার অভাবে সেগুলি কার্যকর হয়নি। এ দিন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত আদালতকে জানান, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে নিজস্ব পুলিশি ব্যবস্থা জরুরি হয়ে পড়েছে। এ দিন গার্ডেন কর্তৃপক্ষ এবং সুভাষ দত্তকে ঐতিহাসিক ওই উদ্যানের পরিবেশের উন্নতির জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সাপের ছোবলে মৃত্যু দুই বালিকার
সাপের ছোবলে মৃত্যু হল এক নাবালিকার। মৃতের নাম পিয়ালি কৈবর্ত্য (১২)। বাড়ি রঘুনাথপুর থানার ঠুকরা গ্রামে। বুধবার সকালে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনের রাস্তায় খেলা করার সময় পিয়ালির ডান পায়ের গোড়ালিতে একটি সাপ ছোবল মারে। এরপর বাড়ির লোকজন তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থেকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। রাতে ভর্তি করার পর ক্রমশ তার অবস্থার অবনতি হয়। এ দিন দেহটির ময়নাতদন্ত করা হয়। অন্য দিকে, পুরুলিয়াতেও সাপের ছোবলে মৃত্যু হল এক বালিকার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তার নাম মামনি হাঁসদা (১০)। বাড়ি বরাবাজার থানার তিলাবনি গ্রামে। তার মামা সন্তোষ হাঁসদা জানান, সোমবার গ্রামে পাড়ায় টিভি দেখার সময় তার ডান পায়ে কোনও বিষাক্ত সাপ ছোবল মারে। ওই দিন রাতেই তাকে বরাবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার তাকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ওই দিন রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

নিকাশি সংস্কারে
হাওড়া শহরাঞ্চলকে প্লাস্টিক-মুক্ত অঞ্চল বলে ঘোষণা করার পরিকল্পনা আছে রাজ্য সরকারের। বুধবার মহাকরণে এ কথা জানান রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী ও মধ্য হাওড়ার বিধায়ক অরূপ রায়। তিনি জানান, এ বিষয়ে পরিবেশমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদারের সঙ্গে আলোচনা হবে। সেখানে থাকবেন হাওড়ার মেয়রও। অরূপবাবু আরও জানান, নর্দমায় প্লাস্টিক আটকে গিয়েই হাওড়ায় জল জমেছিল। গত দু’দিনে প্রায় ৮ লরি প্লাস্টিক উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার লাগাতার বৃষ্টিতে মধ্য ও দক্ষিণ হাওড়া জলমগ্ন হয়। জল জমে উত্তর হাওড়ার কিছু অঞ্চলেও। সোমবার অরূপবাবু ও রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সংশ্লিষ্ট অঞ্চল পরিদর্শনে যান। শুরু হয় জোরকদমে জল বার করার কাজ। অরূপবাবু বলেন, “বুধবার ভোর থেকে হাওড়ার অধিকাংশ এলাকায় জল নামতে শুরু করেছে।” তবে টিকিয়াপাড়া ও সংলগ্ন এলাকা এখনও জলমগ্ন। ওই এলাকায় বৃহস্পতিবারের মধ্যেই জল নেমে যাবে বলেও তিনি আশা করেন।
Previous Story Jibjagat First Page


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.