|
|
|
|
আমার শিলিগুড়ি |
ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে দূষণ, পুরসভা ও প্রশাসনের সমালোচনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সমস্যা নিয়ে এ বার শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষের কড়া সমালোচনা করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। বুধবার সকালে ইস্টার্ন বাইপাস লাগোয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ড পরিদর্শনে যান তিনি। সেখানে রাস্তার উপর আবর্জনা ফেলা রয়েছে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বাসিন্দাদের একাংশ, বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকেরাও লাগোয়া এলাকার ডাম্পিং গ্রাউন্ড থাকার জন্য সমস্যার কথা জানান তাঁকে। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সেখান থেকে পুর কমিশনার এবং পুরসভার মুখ্য বাস্তুকারকে ফোন করে ডেকে পাঠান মন্ত্রী। গৌতমবাবু বলেন, “সভ্য সমাজে এ ভাবে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থাকা উচিত নয়। আমার হাতে ক্ষমতা থাকলে এখনই ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতাম। কিন্তু পুরসভার মাধ্যমেই ওই কাজ করতে হবে। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আগেও কথা হয়েছে। তারা পুরসভায় পরিকল্পনার বিষয়টিও বিস্তারিত জানিয়েছেন। তার পরেও পুর কর্তৃপক্ষ ঘুমচ্ছেন। মেয়রের কথায় সব সময়ই ‘গয়ং গচ্ছ’ মনোভাব। এখনও পর্যন্ত তিনি আমাকে পুর এলাকার উন্নয়নের কোনও পরিকল্পনা পর্যন্ত দেননি। বৃহস্পতিবার পুর কর্তৃপক্ষকে নিয়ে সমস্যা মেটাতে বৈঠক ডেকেছি।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর নির্দেশের পরে ‘ডাম্পিম গ্রাউন্ড’ এলাকার রাস্তা থেকে জঞ্জাল সাফাইয়ে বাড়তি তৎপর হয় পুরসভা। |
|
ছবি: বিশ্বরূপ বসাক। |
মেয়র পারিষদ সুজয় ঘটক জানান, মন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কাজে গতি আনা হয়েছে। শীঘ্রই ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরানোর ব্যবস্থা হচ্ছে বলে সুজয়বাবু দাবি করেন। সম্প্রতি শিলিগুড়িতে দূষণ বিরোধী জনমত দানা বাঁধছে। কী ভাবে দূষণ মুক্ত হবে আমার শিলিগুড়ি তা নিয়ে মত প্রকাশ করছেন শহরের সর্ব স্তরের বাসিন্দারা। ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সমস্যা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। স্কুলের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের তরফে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছেও যাওয়া হয়। মন্ত্রী তাঁদের আশ্বাস দিয়ে ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ডে’ গিয়ে সেখানে দাঁড়িয়েই সরকারি কর্তাদের ও পুর কর্তৃপক্ষকে ঢিলেমির জন্য সতর্ক করেন। ওই এলাকায় রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে মন্ত্রী ঘোষণা করেন। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “পুঁটিমারিতে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের বিকল্প জায়গা দেখা হলেও তা দূরে হওয়ায় সমস্যা আছে। তা ছাড়া বিজ্ঞানসম্মত ভাবে ওই কাজ করতে না পারলে বাসিন্দারা তা মেনে নেবেন না। বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করে বিদ্যুৎ তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। পুরসভায় সেই পরিকাঠামো নেই বলে জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং অন্য বিশেষজ্ঞ কমিটির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। গৌতমবাবু তা জানেন। ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে গৌতমবাবু রাজ্য সরকারের তরফে আর্থিক সহায়তার বন্দোবস্ত করবেন বলে আমরা আশাবাদী। পুর এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য নিশ্চয়ই তাঁকে জানাব।” |
|
|
|
|
|