|
|
|
|
পলিব্যাগে থমকে নিকাশি, দুর্ভোগে কান্দি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কান্দি |
বহরমপুর পেরেছে, কান্দি পারছে না।
বহু স্মারকলিপি, বহু বার আর্জি জানানোর পরেও প্ল্যাস্টিকের ব্যাগ বন্ধ করার ব্যাপারে কান্দি পুরসভা কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় বিরক্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। পুর এলাকার ব্যবসায়ী, পরিবেশপ্রেমী সংগঠন থেকে শুরু করে সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যেও ক্ষোভ। যদিও ওই পুরসভা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে মুর্শিদাবাদ জেলার সদর শহর বহরমপুরে ওই প্ল্যাস্টিক ওই ব্যাগের ব্যবহার অনেকটাই বন্ধ করতে পেরেছে বহরমপুর পুরসভা।
কিন্তু কান্দি কেন পারছে না? ক্যারিব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করার বিষয়ে পুর কর্তৃপক্ষ কোনও উদ্যোগই বা কেন নিচ্ছে না? পুর কর্তৃপক্ষের দায়সারা জবাব, “খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” দায় শেষ। পলিপ্যাকের ব্যবহার ক্রমশই বেড়ে চলেছে। আর তার ফলে কান্দির নিকাশি ব্যবস্থাই ভেঙে পড়তে চলেছে। কান্দির একটি পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ‘স্পন্দন’-এর সম্পাদক সুদীপ্ত দুবে বলেন, “বহু বার পুরসভা, প্রশাসনকে ক্যারিব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করার জন্য আর্জি জানিয়েছি। কিন্তু রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও প্রশাসনিক তৎপরতার অভাব আছে। সেই কারণে কান্দি শহরে ক্যারিব্যাগের দূষণ দিন দিন বাড়ছে।” |
|
নিজস্ব চিত্র। |
কান্দি পুরসভা এলাকার মধ্যে কান্দি বাসস্ট্যান্ড চত্বরের বাজার থেকে কান্দি ভিতর বাজার, জেমো বাজার, সর্বত্রই ছড়িয়ে রয়েছে পলিব্যাগ। শহরের রাস্তায়, নর্দমায়, পুকুরের জলে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ওই সব ব্যাগ। পুর কর্তৃপক্ষ সব কিছু দেখার পরেও কেন বিষয়টির উপর নজর দিচ্ছে না? কান্দি ব্যবসায়ী সমিতি থেকে প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য পুরসভায় আর্জি জানানো হয়েছিল বলেই দাবি। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ব্যবসায়ী সমিতির। কান্দি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তারকনাথ প্রামাণিক বলেন, “পুরসভার কোনও উদ্যোগ নেই প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার বিষয়ে। আমরা ব্যবসায়ীরা এ বার বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের কাছে প্ল্যাস্টিক বন্ধ করার আর্জি জানাব।” স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার শীঘ্রই বন্ধ করতে পুরসভা ও প্রশাসনের কড়া ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে পুরসভা যে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সে কথা মানতে নারাজ পুরপ্রধান কংগ্রেসের গৌতম রায়। তিনি বলেন, “আমরা প্ল্যাস্টিক বর্জন করার জন্য লিফলেট ছড়াচ্ছি। প্রচার করছি।” তবে ওই উদ্যোগ বেশি দিন ধরে রাখা যে যায়নি তা কবুল করেছেন তিনি। |
|
|
|
|
|