|
|
|
|
সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি চলছে আরামবাগে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
বন্যার মোকাবিলায় বুধবার সকালে আরামবাগে এল বিশেষজ্ঞ উদ্ধারকারী দল। সোমবার রাতেই খানাকুল ১, ২ ব্লকে এবং পুড়শুড়ার জন্য একটি করে স্পিড বোট পৌঁছে গিয়েছে। আরও একটি স্পিড বোট মহকুমাশাসকের দফতরে থাকছে। সেটি জরুরি ভিত্তিতে যে কোনও জায়গায় উদ্ধারের কাজে পাঠানো হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
এ দিন অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের ৫ জনের উদ্ধারকারী দলটি খানাকুল ২ ব্লকের কিছু এলাকায় গিয়ে ভৌগোলিক অবস্থান দেখে আসেন। মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগীও খানাকুল ২ ব্লকের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। ডিভিসির ছাড়া জলে এখনও বাঁধ ভেঙে গ্রামে বা উপচে জল না ঢুকলেও ক’দিন টানা বৃষ্টিতেই ওই ব্লকের মাড়োখানা, জগৎপুর, রাজহাটি-১, ধান্যগোড়ি, চিংড়া এবং নতিবপুর পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকায় এক হাঁটু জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। মহকুমাশাসক বলেন, “নদীবাঁধ এবং রাস্তার অবস্থা সরেজমিনে দেখে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী ওষুধপত্র ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরে মজুত রাখা হচ্ছে। ফ্লাড সেন্টার, কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে আকাশপথে খাদ্য নিক্ষেপ কেন্দ্র। মানুষকে সতর্ক করতে প্রচার করা হচ্ছে।” মহকুমাশাসক জানান, সম্ভাব্য বন্যাপীড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, টাকা নিরাপদে রাখতে জলনিরোধক প্লাস্টিক ফোল্ডার দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।
আরামবাগ মহকুমার ৬৩টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৪০টিই বন্যাপ্রবণ। তারমধ্যে আবার খানাকুল ২ ব্লকের ১১টি পঞ্চায়েত এলাকা ডিভিসি জল ছাড়ুক, না-ই ছাড়ুক ভারি বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়। বর্ধমানের দক্ষিণ এবং আরামবাগ মহকুমার উঁচু জায়গা থেকে জল গড়িয়ে খানাকুল ২ ব্লকের পঞ্চায়েতগুলি পেরিয়ে রূপনারায়ণে পড়ে। ডিভিসি জল ছাড়লে তো রক্ষা নেই। বর্ধমানের জামালপুর থানার বেলুয়ার মুণ্ডেশ্বরীর উৎসমুখ দিয়ে ওই জল আরামবাগ মহকুমায় ঢোকে। সেই জল আবার অরোরা খাল, কানা দ্বারকেশ্বর, চিংড়ায় মুণ্ডেশ্বরীর তিনটি শাখাকে প্লাবিত করে বিভিন্ন ছোট-বড় খালে এসে পড়ে। রূপনারায়ণ খালি থাকলে ওই জল দু’দিনেই নেমে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে জল নামতে ১৫-২০ দিন লেগে যায় বলে অভিযোগ।
এ দিন আরামবাগ ব্লকের দক্ষিণ-পশ্চিম এবং খানাকুলের দু’টি ব্লকের পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে যাওয়া দ্বারকেশ্বরে জল কিছুটা কমলেও পুড়শুড়া, আরামবাগের পূর্ব দিক, খানাকুলের ২টি ব্লকের মধ্যে দিয়ে যাওয়া আরও দু’টি নদী মুণ্ডেশ্বরী ও দামোদরে জল বেড়েছে। কিছু কিছু জায়গায় বাঁধ মেরামতির দাবি তুলেছেন স্থানীয় মানুষ। |
|
|
|
|
|