|
|
|
|
কেন্দ্রের কৃষি নীতিকে দুষলেন নীতীশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
রাজ্যকে এড়িয়ে কেন্দ্র যে ভাবে সংসদে ‘বীজ বিল’ নিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে, তার কড়া সমালোচনা করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আজ জৈব চাষ সংক্রান্ত তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মলনের উদ্বোধন করে নীতীশ বলেন, “ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, কৃষি একেবারেই রাজ্যের বিষয়। তাই কৃষি সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেন্দ্রের উচিত, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা। কেন্দ্র যে ভাবে রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে বীজ বিল বা কৃত্রিম বীজ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছে, তা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।”
কেন্দ্রের আনা বীজ বিলের উদ্দেশ্য নিয়েই নীতীশের প্রশ্ন, “এই বিল আদৌ কৃষকদের স্বার্থ দেখছে, নাকি বিভিন্ন কোম্পানির?”
কেন্দ্রের বীজ বিল এবং কৃত্রিম বীজের সমালোচনা করার পাশাপাশি, আজ বিহারে জৈবিক চাষে উৎসাহ দেওয়ার কথাও বলেন নীতীশ।তাঁর কথায়, “এখনই সবাই জৈব পদ্ধতিতে চাষ করতে রাজি হবেন, এমনটা বাস্তব নয়। আমরা কারও উপর জোর করতে চাই না। কিন্তু ধীরে ধীরে পুরো বিহারেই আমরা জৈব পদ্ধতিতে চাষেই উৎসাহ দেওয়ার পক্ষে।” এই উদ্দেশ্যে আজ নীতীশ জৈব পদ্ধতিতে কৃষি উৎপাদনের ব্র্যান্ড ‘জয় বি’-রও উদ্বোধন করেন। ‘জয় বি’ জৈব পদ্ধতিতে বিহারে কৃষি উৎপাদনের শংসাপত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে। জৈব পদ্ধতিতে বিহারে যে সব চাষি ফসল উৎপাদন করবেন, তাঁদের ফসলের উপরে এই ‘জয় বি’ ছাপ মারা থাকবে। এর অর্থ হবে, ফসলটি পুরোপুরি জৈব পদ্ধতিতে বিহারেই তৈরি হয়েছে।
বিহারে পরীক্ষামূলক জৈব ফসল ‘প্যাকেজিং’-এর সূচনা করেছিলেন প্রাক্তন আইআইটিয়ান কৌশলেন্দ্র কুমার। ‘জয় বি’ উদ্বোধনের পরে তিনি বলেন, “এই ব্র্যান্ড তৈরি হলে বিহারের চাষিদের দেশে-বিদেশে জৈবিক পদ্ধতিতে তৈরি ফসল বিক্রিতে বিশেষ সুবিধে মিলবে।”
নীতীশ জানান, বিহারের প্রতি জেলায় একটি করে গ্রাম ‘জৈব গ্রাম’ হিসেবে গড়া হবে। এতে অন্তত ২৫০ কোটি টাকা খরচ হবে সরকারের। পাশাপাশি, জৈব চাষের সঙ্গে সঙ্গে যাঁরা ‘বায়ো গ্যাস’ তৈরি করবেন, তাঁদের ৫০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা করবে রাজ্য। |
|
|
|
|
|