খাদ্য সুরক্ষা বিল
সায় জাতীয় পরিষদের, সস্তায় খাদ্য নিম্নবিত্তকেও
দারিদ্রসীমার নীচের সব মানুষকে প্রতি মাসে সস্তায় ৭ কিলোগ্রাম করে খাদ্যশস্য জোগানোর সুপারিশ করল সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদ। পরিষদ আজ খাদ্য সুরক্ষা বিলের খসড়া অনুমোদন করেছে। ওই খসড়া অনুযায়ী, গরিব মানুষরা যে সাত কিলোগ্রাম খাদ্যশস্য পাবেন, তার মধ্যে চাল মিলবে তিন টাকা কেজি দরে। গম দু’টাকা কেজি দরে এবং জোয়ার-বাজরা এক টাকা কেজি দরে মিলবে। এ বার ওই বিলের খসড়া প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের কাছে পাঠানো হবে।
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের ইস্তেহারে খাদ্য সুরক্ষা আইনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেশের সব মানুষকেই ভর্তুকি দিয়ে খাদ্যশস্য জোগানো সম্ভব কি না, তা নিয়েই বিতর্ক দেখা দেয়। জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদিত বিল অনুযায়ী, গ্রামের ৯০ শতাংশ এবং শহরের ৫০ শতাংশ পরিবারকে বাজারের থেকে কম দামে খাদ্য সরবরাহ করা হবে। যারা ভর্তুকিতে চাল-গম পাবেন, তাঁদের মধ্যে দু’টি ভাগ করা হচ্ছে। একটি দারিদ্রসীমার নীচে থাকা (বিপিএল) পরিবারগুলো, যাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখতে চাইছেন সনিয়া গাঁধী। অন্য ভাগে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো। খসড়া বিল অনুযায়ী, গ্রামের ৪৬ শতাংশ পরিবার এবং শহরের ২৮ শতাংশ পরিবার দারিদ্রসীমার নীচে থাকায় তারা অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকছে। এরাই তিন টাকা কেজি দরে চাল, দু’টাকা কেজি দরে গম এবং এক টাকা কেজি দরে জোয়ার-বাজরা হিসেবে মাথা পিছু সাত কেজি করে খাদ্যশস্য পাবেন। নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য যে সংজ্ঞা তৈরি হয়েছে, তার আওতায় গ্রামের ৪৯ শতাংশ পরিবার এবং শহরের ২২ শতাংশ পরিবারই আসবে। ওই সব পরিবারের সদস্যরা মাথা পিছু চার কেজি করে খাদ্যশস্য পাবেন। যার দাম কোনও ভাবেই কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের অর্ধেকের বেশি হবে না।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ‘নিম্নবিত্ত’ পরিবারগুলোকে কম দামে খাদ্য সরবরাহ করার মাধ্যমেই রাজনৈতিক সুফল বেশি তোলার আশা করতে পারে কংগ্রেস। কারণ, বিপিএল পরিবারগুলোকে ভর্তুকি দিয়েই খাদ্য সরবরাহ করা হয়। সে ক্ষেত্রে খুব বেশি কিছু পাওয়ার নেই। কিন্তু সস্তায় খাদ্য জোগানোর তালিকায় নিম্নবিত্ত পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নতুন এবং এঁরা ভোটব্যাঙ্কের একটা বড় অংশ।
অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাবার, গৃহহীন পরিবারের জন্য খাদ্য সরবরাহের কথাও বলা হয়েছে ওই বিলে। আইন অনুযায়ী খাদ্যশস্য জোগাতে না পারলে শাস্তি এবং জরিমানার কথাও বলা হয়েছে খসড়া বিলে। কেন্দ্র থেকে একেবারে ব্লক স্তর পর্যন্ত এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো এবং তা খতিয়ে দেখার জন্য মজবুত ব্যবস্থা তৈরির কথাও খসড়া বিলে বলা হয়েছে।

Previous Story Desh Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.