|
|
|
|
কৃষিপণ্য বিপণন আইন সংশোধনের পক্ষে রাজ্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যে কৃষিপণ্য বিপণন আইন পরিবর্তন করতে চায় নতুন সরকার। বুধবার বণিকসভা বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্সের অনুষ্ঠানে রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায় জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে শীঘ্রই এই আইন সংশোধন করা হবে।
অরূপবাবুর দাবি, ‘এগ্রিকালচারাল প্রোডিউস মার্কেট কমিটি’ (এপিএমসি) আইনটি সংশোধিত হলে, পণ্যের ন্যায্য দাম পাবেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি।
প্রসঙ্গত, এই আইন সংশোধনে উদ্যোগী হয় বামেরাও। কিন্তু বাদ সাধে শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। বাম জমানায় প্রায় চিরাচরিত ভাবেই কৃষি এবং কৃষি বিপণন দফতর ছিল ফরওয়ার্ড ব্লকের হাতে। তাই তাদের আপত্তি উড়িয়ে দেওয়া যায়নি।
আইন অনুযায়ী, চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি কৃষি পণ্য কিনতে পারে একমাত্র রাজ্য বা সরকার নিয়ন্ত্রিত সমবায় সংস্থা। বেসরকারি সংস্থাকে তা করতে গেলে লাইসেন্স নিতে হয়। শিল্পমহলের অভিযোগ, এই ব্যবস্থায় পণ্যের ন্যায্য দাম পান না কৃষক। বরং লাভের গুড় খায় মধ্যসত্ত্বভোগী শ্রেণি।
উল্টো দিকে, ফরওয়ার্ড ব্লকের অভিযোগ ছিল, বহুজাতিকরা চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি কৃষিপণ্য কেনার সুযোগ পেলে মার খাবেন ওই কৃষকরাই। কারণ ওই সব সংস্থার সঙ্গে দরাদরিতে এঁটে উঠতে পারবেন না তাঁরা। এই বিরোধিতার জেরেই পশ্চিমবঙ্গে খুচরো ব্যবসায় ২ হাজার কোটি টাকা লগ্নির প্রতিশ্রুতি দিয়েও পিছিয়ে যায় মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্স রিটেল। রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ভেবেছিল জার্মান বহুজাতিক মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি-ও। শেষ পর্যন্ত তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হস্তক্ষেপে সে সমস্যা মেটে।
তাই নতুন সরকার এই আইন সংশোধনে কোন পথে হাঁটে, এখন সে দিকেই সাগ্রহে তাকিয়ে শিল্পমহল। |
|
|
|
|
|