|
|
|
|
চলছে ইসিএলের খনন |
নাকের ডগাতেই চলছে কুকর্ম, নির্বিকার পুলিশ |
রাজশেখর মুখোপাধ্যায় • দুর্গাপুর |
শহর যত উন্নত হচ্ছে, বাড়ছে অপরাধও। অপরাধমূলক কাজকর্মের আখড়া হয়ে উঠেছে দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা বা তার আবাসন এলাকাগুলি। প্রকাশ্যে বিকোচ্ছে অশ্লীল সিডি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, চোখের সামনে এ সব দুষ্কর্ম চললেও তা বন্ধ করতে বিশেষ উদ্যোগী নয় পুলিশ। পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর অবশ্য জানান, অভিযান চলছে। এ ব্যাপারে বাসিন্দাদের সাহায্যও প্রয়োজন বলে দাবি তাঁর।
গত কয়েক দিন ধরে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। বেশ কিছু হোটেল-সহ দুষ্কৃতীদের বিভিন্ন আস্তানায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। ওই সব হোটেলগুলিতে নানা ধরনের অবৈধ কারবার চলে বলে খবর ছিল পুলিশের কাছে। এছাড়া সন্দেহজনক গাড়ি থামিয়ে চলানো হয়েছে চিরুনি তল্লাশি। শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটিসেন্টার এলাকায় পার্কিং নিয়ে সমস্যা দীর্ঘ দিনের। বেশ কয়েকটি পার্কিং জোন থাকলেও বেআইনি ভাবে যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ২১ জুন অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে অনেকগুলি গাড়ি আটক করে পুলিশ। বুধবার দুপুরে শহরের কয়েকটি পার্কে তল্লাশি চালানো হয়। সিটিসেন্টার ও ইস্পাতনগরীর দু’টি পার্ক থেকে অশালীন আচরণের অভিযোগে কয়েক জনকে আটকও করা হয়েছে।
দুর্গাপুরের বাসিন্দাদের অবশ্য দাবি, এ সব অভিযান সিন্ধুতে বিন্দু মাত্র। এমন অনেক অপরাধমূলক কাজকর্ম শহরে চলছে, যা পুলিশের চোখেই পড়ে না। যেমন, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিভিন্ন এলাকায় চলছে দেদার অশ্লীল সিডি বিক্রি। বেনাচিতি বাজার, মামড়া বাজার, স্টেশন বাজার, মায়া বাজার, সিটি সেন্টার, মেন গেট, মুচিপাড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় এমন সিডি বিক্রির রমরমা। অনেক জায়গাতেই স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের ভিড় চোখে পড়ে। অনেক সময় ‘ক্যাসেট চেক’ করার নামে খোলা বাজারেই টিভিতে ওই সব সিডি চালিয়ে দেখানো হয় বলে অভিযোগ।
এমএএমসি কারখানার একটি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের নাকের ডগাতেই রমরমিয়ে দেহ ব্যবসা চলছে। এইচএফসিএলের ভাঙা বহু আবাসন এখন দুষ্কৃতীদের আখড়া। বিভিন্ন অপকর্মের পরিকল্পনাও তৈরি হয় সেখানে। আর চলে নেশার আসর। তার প্রমাণও মিলেছে অনেক বার। দুষ্কৃতীদের নতুন আস্তানা ইস্পাতনগরীর পড়ে থাকা সিনেমা হলটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের কিছু বাসিন্দা জানান, দুর্গাপুর জুড়ে চলছে অবৈধ লোহার ব্যবসা। তাঁদের দাবি, সেই ব্যবসা বন্ধে উদ্যোগী হোক পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অবৈধ লোহা ব্যবসা চলে, এমন কয়েকটি জায়গায় কয়েক দিন আগেই অভিযান চালানো হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর জানান, শিল্পাঞ্চলে অপরাধের ঘটনা বন্ধ করতে অভিযান চলছে। তবে পুলিশ সুপার বলেন, “অপরাধ বন্ধ করতে হলে এলাকার বাসিন্দাদেরও পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে।” |
|
|
|
|
|