|
|
|
|
গর্ত এড়িয়ে চলাফেরা দায় ডিপিএল কলোনির রাস্তায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
পিচ উঠে গিয়েছে। তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। সেখানে জল জমে অবস্থা আরও জটিল। দুর্গাপুরে ডিভিসি ব্যারাজ থেকে দামোদরের পাড় বরাবর ডিপিএল কলোনি যাওয়ার রাস্তার হাল এমনই। যাত্রীদের অভিযোগ, ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া মানে প্রাণের ঝুঁকি নেওয়া। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ডিভিসি ব্যারাজ থেকে দুর্গাপুর শহরে ঢোকার দু’টি রাস্তা। একটি দুর্গাপুর স্টেশন হয়ে। অন্যটি দামোদরের পাড় বরাবর বীরভানপুর হয়ে। প্রথম রাস্তা দিয়ে ভারী গাড়িই যাতায়াত করে বেশি। ফলে সেখানে যানজট লেগেই থাকে। ফলে ছোট গাড়ি বা মোটরবাইক আরোহীরা দ্বিতীয় রাস্তাটিই পছন্দ করেন বেশি। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তাটির কোনও সংস্কার হয়নি। ফলে রাস্তার হাল এমনিতেই খারাপ। সাম্প্রতিক বর্ষণে সে রাস্তা যাতাযাতের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। রাস্তার যে অংশে পিচ অবশিষ্ট আছে সেই অংশের উপর দিয়ে অতি সন্তর্পণে গাড়ি চালাতে হয়। কারণ বর্ষায় পাশের মাটি নরম হয়ে গিয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি মাটিতে নামাতে ভয় পান চালক। |
|
ছবি: বিশ্বনাথ মশান। |
বাসিন্দারা জানালেন, এই রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করলে সময় ও দূরত্ব দু’টিই কম লাগে। কিন্তু রাস্তা বেহাল হওয়ায় বাধ্য হয়েই তাঁদের স্টেশনগামী রাস্তাটি ব্যবহার করতে হচ্ছে। দুর্গাপুর থেকে নিয়মিত গাড়ি নিয়ে বড়জোড়ার একটি কারখানায় যান রমেশ মণ্ডল। তিনি বলেন, “আগে আমি নিয়মিত বীরভানপুরের রাস্তাটিই ব্যবহার করতাম। কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়ায় এখন বাধ্য হয়ে স্টেশনের রাস্তাটি দিয়ে যেতে হয়। বীরভানপুরের রাস্তা দিয়ে গেলে যে কোনও সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া গাড়ি বিকল হওয়ারও সম্ভাবনা আছে।” বড়জোড়া থেকে মোটরবাইকে দুর্গাপুরের রাতুরিয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুকের একটি কারখানায় কাজে আসেন পশুপতি দুবে। বললেন, “আগে রাস্তা ভাল ছিল। আরামে যাতায়াত করতে পারতাম। কিন্তু এখন স্টেশন হয়ে যেতে হয় বলে অনেক আগে বাড়ি থেকে বেরোই। কারণ এমনিতেই যানজটে ফেঁসে যাওয়ার ভয় থাকে।”
স্থানীয় কাউন্সিলর শান্তি মজুমদার জানিয়েছেন, রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে তাঁর কাছে একাধিক বার দরবার করেছেন বাসিন্দারা। কিন্তু সমস্যা হল, রাস্তাটি পুরসভার নয়। সেটি সেচ ও জলপথ দফতরের অধীন। সুতরাং রাস্তাটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও তাদের। শান্তিদেবী বলেন, “বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়েই সেচ ও জলপথ দফতরে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে দরবার করেছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।” তাঁর আশঙ্কা, যে কোনও সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে ওই রাস্তায়।
সেচ ও জলপথ দফতর অবশ্য দ্রুত রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছে। ওই দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, রাস্তাটির আমূল সংস্কার প্রয়োজন। তার জন্য পরিকল্পনা হচ্ছে। দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অবনী রায় বলেন, “শীঘ্র রাস্তা সংস্কারের কাজ করা হবে।” বর্ষা শেষের আগে সে কাজ হবে কি না তা নিয়ে অবশ্য সন্দেহ রয়েছে সব মহলেই। |
|
|
|
|
|