সাত বছর বয়সে এসেছিলাম কলকাতায়
অমৃক সিংহ অরোরা
আমার জন্ম লাহৌরে ১৯৪৪-এ। বছর তিনেক ওখানে থাকার পর আমরা আসি অমৃতসরে। ’৫১ সাল অবধি ওখানেই ছিলাম। আমার সাত বছর বয়েসে সবাই চলে এলাম কলকাতায় রামপ্রসাদ সাহা লেনে। বাবা অবশ্য কিছু দিন আগেই এসেছিলেন। ১৯৬০ সালে আমরা উঠে যাই রতু সরকার লেনে। ওখানে দুটো ঘর ভাড়া নেওয়া হয়। একটায় আমরা থাকতাম। আর একটা ঘরে চলত ব্যবসার কাজ পেনের কালি তৈরি, তাকে বোতলবন্দি করা, বোতলের গায়ে লেবেল আটকানো ইত্যাদি। টাকার অভাবে মাধ্যমিকের পর আমার লেখাপড়া হল না। বাবা ব্যবসার কাজে মন দিতে বললেন। আমি লেগে গেলাম। পাশাপাশি আমার মা-ও। আমাদের ঘরে তখন একটা রেডিয়ো ছিল। রেডিয়োতে মেহমুদ, মুকেশ, সায়গল, রফির গান শুনতে শুনতে বোতল লেবেলিং করতাম। এক দিন ওঁদের গানে এতই মজে গেছিলাম যে, পঞ্চাশটা বোতল লেবেল করতে তিন ঘণ্টা লাগিয়েছিলাম। রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুল গীতিও রেডিয়োতেই আমার প্রথম শোনা।
রোববার করে মা যেতেন বড়বাজারে বড়া শিখ সঙ্গত গুরদুয়ারায়। মা-র সঙ্গে আমি, ভাইও যেতাম। ওখানে স্ত্রী সৎসঙ্গের যে কীর্তন হত তাতে মা সবার সঙ্গে গান গাইতেন। সেই গানে মায়ের সঙ্গে আমিও গলা মেলাতাম আর হাতে তাল ঠুকতাম। ওই আমার গানের শুরু। আমি নাইন, টেন পড়ি বিশুদ্ধানন্দ সরস্বতীতে। ওখানে ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে টেবিল বাজিয়ে গান গাইতাম। উৎসাহ দিত বন্ধুরা। কী করে জানি না, আমার গান স্যরদেরও করাও কারও কানে গেছিল। তাঁরা আমার গলার প্রশংসা করতেন।
১৯৬২ সালে আমার প্রথম স্টেজ শো বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে। দিনটা ছিল রোববার। বাড়ি থেকে বলে বেরোলাম, বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছি। সোজা চলে এলাম ‘শ্রী’ সিনেমায়। ওই দিন রফিকণ্ঠী, মুকেশকণ্ঠী, লতাকণ্ঠী শিল্পীদের মাঝে একটাই গান গাইলাম, ‘নজরানা’ ছবি থেকে মুকেশজির গাওয়া ‘তেরে নয়না হ্যায় জাদু ভরে...’। গানের পর আমাকে এক টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। আমার সে কী আনন্দ! হাতিবাগান থেকে উঠলাম ট্যাক্সিতে। কলুটোলায় এসে যখন ট্যাক্সির ভাড়া মেটাতে গেলাম, দেখি মিটার দু’টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আমার তো মাথায় হাত! আমার এক টাকা আর বাড়ির পাশের চা-বিস্কুটের দোকান থেকে বাকি টাকাটা ধার নিয়ে ট্যাক্সির ভাড়া মেটাই। যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম।
১৯৬৬ সাল। তখন পার্ক স্ট্রিটের ব্লু-ফক্স হোটেলে প্রতিদিন সন্ধেবেলায় গানবাজনা হত। আমার ইচ্ছা হল রোববার করে ওখানে গাওয়ার। বাড়িতে এটা-ওটা বলে রোববার করে টানা তিন মাস বিকেল ৫টা থেকে ৭টা অবধি ওই হোটেলের দরজায় ধর্না দিয়েছি। কিন্তু ভেতরে ঢুকতে পারিনি। অবশেষে এক ভদ্রলোকের কথা মতো এক দিন দারোয়ানের হাতে একটা টাকা গুঁজে দিলাম। ঢুকলাম ভেতরে। ঢুকে তো ভ্যাবাচ্যাকা। ওয়েটারেরা সব কী ভাবে আমায় দেখছিল। আমি আর কী অর্ডার দেব! দাম না দেখে ভদ্রতা করে এক কাপ চা বললাম। কিছুক্ষণের মধ্যে একটা ট্রে করে এল চায়ের সরঞ্জাম। তখনও অবধি কোনও দিন নিজের হাতে এক কাপ চা করে খাইনি। কাপে গরম জল ঢালতে গিয়ে সব জল পড়ল টেবিলের ওপর। চা খাওয়া তো মাথায়। এর পর বিল মেটানোর পালা। পকেট তো প্রায় গড়ের মাঠ সেখানে মাত্র এক টাকা। ভাবছিলাম হাতে থাকা বিয়ের ঘড়িটা খুলে দেব। ওয়েটারদের সঙ্গে যখন বাকবিতণ্ডা হচ্ছে তখন আমার পূর্বপরিচিত মিস মধু বলে এক জন গান গাইছিল। ও আমায় চিনতে পারে। ওরই মধ্যস্থতায় সে-দিন আমাকে আর হাতের ঘড়িটা খুলতে হয়নি। পরে ওরই উদ্যোগে আমি ব্লু-ফক্সে অডিশন দিই এবং গান গাওয়ার সুযোগ পাই।
১৯৭১-এ কলেজ স্কোয়ারে দুর্গাপুজোর এক রাতে আমি আমার জীবনের প্রথম বড় অনুষ্ঠান করি। ওই দিন আমার আগে সঙ্গীত পরিবেশ করেছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, বনশ্রী সেনগুপ্ত, নির্মলেন্দু চৌধুরীর মতো শিল্পীরা। দীপেন মুখোপাধ্যায় ও জহর রায় আমাকে ওখানে গাওয়ার সুযোগ করে দেন। রাত পৌনে দুটোর সময় আমি মঞ্চে উঠি। ওই দিন আমি প্রকাশ্যে প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীত গাই মনে কী দ্বিধা রেখে গেলে...।

আমার প্রিয়

গায়ক-গায়িকা: মান্না, হেমন্ত, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, নির্মলা মিশ্র,
অরুন্ধতী হোমচৌধুরী, নির্মলেন্দু চৌধুরী, রফি, কিশোর,
মুকেশ, তালাত মাহমুদ, আশা, লতা
সুরকার: সুধীন দাশগুপ্ত, নচিকেতা ঘোষ,
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, শচীন দেব বর্মন।
নায়ক-নায়িকা: উত্তম, সুচিত্রা
পোশাক: ধুতি-পাঞ্জাবি, স্যুট, খানস্যুট, চুড়িদার-পাঞ্জাবি
১৯৭৬-এ একটা ফাংশানে হেমন্তদা আমার গান শুনেছিলেন। ওই বছর অগস্ট মাসের এক সকালে দীপেন মুখোপাধ্যায় আমায় নিয়ে গেলেন হেমন্তদার বাড়ি। উদ্দেশ্য ওই বছর পুজোয় যাতে আমার একটা রেকর্ড বেরোয় তার ব্যবস্থা করা। হেমন্তদা পুলকবাবুর উদ্দেশে আমার হাতে একটা চিঠি লিখে দিলেন। বললেন পরের দিন পুলকবাবুকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে যেতে। পরের দিন যথাসময়ে (সকালবেলা) আমি পুলকবাবুকে নিয়ে হেমন্তদার বাড়িতে হাজির হলাম। ঘরে তখন আমি, পুলকবাবু, হেমন্তদা, বেলা বউদি আর দীপেন মুখোপাধ্যায়। বরুণ বিশ্বাসের লেখা ‘আমি পঞ্চনদের ছেলে’ গানটিতে হেমন্তদা সুর করে ক্যাসেটবন্দি করেদিলেন। পুলকবাবুর ‘রূপসী দোহাই তোমায়’ গানটা হেমন্তদার কাছে ছিল। কোনও একটা সিনেমায় লাগাবেন বলে রেখে দিয়েছিলেন। বেলা বউদি তখন ওই গানটা আমায় দিতে বললেন। হেমন্তদা না করেননি। সঙ্গে সঙ্গে গানটা আমায় তুলিয়ে দিলেন।ওই গান দুটোই আমার প্রথম পুজো রেকর্ড। এ দিকে গান রেকর্ডিংয়ের দিন সে এক কাণ্ড! কোনও প্রথাগত তালিম না থাকায় স্টুডিয়োতে আমি যখন ‘রূপসী দোহাই তোমায়’ রেকর্ড করছি, তখন গানটা এতই দরাজ গলায় গাইছি যে, দু’তিনটে টেক পর পর ক্যানসেল। তখন মিউজিক অ্যারেঞ্জার ওয়াই এস মুলকি আমায় পরামর্শ দিলেন আস্তে আস্তে গাইতে। ভয়ে ভয়ে গাইলাম। এক টেকেই ফিনিশ।
এই রেকর্ড বেরিয়ে যাওয়ার পর সপ্তাহের অন্যান্য দিনের সঙ্গে রোববারের আর কোনও পাথর্ক্য ছিল না আমার কাছে। তখন যথারীতি ব্লু-ফক্সে গান গাইছি। প্রায় প্রতিদিনই দু’তিনটে করে ফাংশন। আর ব্যবসাও চলছে। অবশ্য ’৭৭-এর জানুয়ারিতে ব্লু-ফক্স ছেড়ে দিই। ব্যবসাও বন্ধ হয়ে যায় ’৮৭ সালে।
যত দিন বাঁচব, গানই আমার থাকবে।

অমৃক সিংহ অরোরা মারা গেলেন গত ২ জুন। কিছু দিন আগে দেওয়া এই সাক্ষাৎকার।
সাক্ষাৎকার: অনির্বাণ কর

 

l রাজ্যের একটি অফিসে নোটিস: ‘বাম’দিকের লিফ্ট ব্যবহার করে যাঁরা এত দিন দ্রুত উপরে উঠতে অভ্যস্ত ছিলেন, তাঁদের জানানো হচ্ছে, ওই যন্ত্রটি কমপক্ষে পাঁচ বছর অকেজো থাকবে! কষ্ট করে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। অসুবিধার জন্য দুঃখিত।
গাঢ় সবুজবাবু।

l
আগে যাঁরা ওপরে কংগ্রেস ভিতরে সিপিএম করতেন তাঁদের ‘তরমুজ’ বলা হত। এখন যাঁরা ওপরে সিপিএম ভিতরে তৃণমূল, তাঁদের কী ফলে আখ্যা দেবেন?
দীপঙ্কর মান্না। চাকপোতা

l
এত (অ)সুর আর এত gun যদি কোনও দিন থেমে যায়, সেই দিন রাজ্যের মানুষও তো ওগো জানি ভুলে যাবে সব অশান্তি...
রতন দত্ত। বাঘাযতীন

l
ব্রেকিং নিউজ: বাংলার পুকুরে পুকুরে মাছ চাষের সঙ্গে অস্ত্র চাষ! হাতে-কলমে শিক্ষালাভ করে স্বনির্ভর হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ!
বাসুদেব সেন। জাঙ্গীপাড়া

l
গ্রামে গ্রামে বেআইনি মজুত অস্ত্র উদ্ধার হওয়া দেখে মনে প্রশ্ন জাগে, চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের হীরক জয়ন্তী কি সমাসন্ন?
পল্টু ভট্টাচার্য। রামরাজাতলা

l
( জোড়া রাজ্যে ভোটে হারার পর সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি কপাল চাপড়ানো বৈঠকের জন্য ‘হায়’দরাবাদকে তো বেছে নেবেনই! আর সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত, মমতার সিঙ্গুর বিল সমর্থনের! সাধু। তবে আর একটা সিদ্ধান্ত হলে খুশি হতাম। বঙ্গীয় সিপিএম যেন দার্জিলিং নিয়ে আর ‘ম্যাল প্র্যাক্টিস’ না করে! কারণ, ‘ম্যাল’-এর দায়িত্ব এখন আমাদের। সবার।
সুশান্ত ঘোষাল। কালনা

l
পুরনো সরকার পাহাড়ে বরফ জমিয়ে রাস্তা বন্ধ করেছিল। নতুন সরকার নিজস্ব তাপে বরফ গলিয়ে রাস্তা খুলে দিল।
হীরালাল শীল। কলেজ স্ট্রিট

l
ট্রাভেল এজেন্সির বিজ্ঞাপন: চলুন সুইৎজারল্যান্ড বেড়িয়ে আসি। বাড়তি পাওনা হিসেবে, আপনার ময়লা (কালো) টাকাকে পরিষ্কার (সাদা) করে নিয়ে যেতে পারেন!
কাজী পারভেজ। হরিণঘাটা

l
বুদ্ধবাবুর সিঙ্গুরবাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে!
টুবাই গুপ্ত। রিজেন্ট পার্ক

l
ই ভি এম গাইছে: নহি যন্ত্র, নহি যন্ত্র, আমি প্রাণী আমি জানি...।
শঙ্করপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। কাঁচরাপাড়া

l
অন্ধকার জগতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কলম যেন থেমে না যায়! ভেঙেছ দুয়ার, এসেছ ‘জ্যোতির্ময়’, তোমারই হোক জয়...!
জনকণ্ঠ।
আজেবাজে ইস্যু। নিয়ে ঢিঁসু ঢিঁসু।
কী পরে কে ক্লাবে যাবে, ক্লাবই করে ঠিক,
কারণ তা প্রাইভেট। নয় পাবলিক।
সরকার প্রতিদিন নানা দিকে লড়ছে, নানা ভুল ধরছে।
তোমাদের লাফানিতে ভুল পারা চড়ছে।
ঘুঁটে মালা গলে তাই লন।
ক্লাব-মুখী, মেকি-দুঃখী বিদ্বজ্জন
প্রথম দিকে ঠিক খেয়াল করিনি। তার পর হঠাৎ এক দিন লক্ষ করলাম ঘটনাটা নিয়মিত ঘটছে। অন্যের জীবনে ফুটে ওঠা ছবিতে নজর দেওয়া অভ্যেস নেই, কিন্তু অন্য রকম লাগল বলেই খোঁজখবর নিলাম। আর জানলাম, দুই জীবনের এক আশ্চর্য গল্প: লালগোলা প্যাসেঞ্জার ধীরে ধীরে স্টেশন ছেড়ে যায়; শীর্ণ শিরা বের করা হাতটির নাড়াচাড়া ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায় দিগন্তে। ভিড়ে ভরা জানলা থেকে মুখ সরিয়ে, কপাল থেকে উড়ে পড়া পাকা চুলগুলো সরিয়ে নিয়ে লেডিজ কামরার এক কোণে বসে পড়েন তিনি। কোনও দিন শীর্ণ হাতটি জানলা দিয়ে তার হাতে তুলে দেয় মুড়ির ঠোঙা, কোনও দিন পেয়ারা বা আপেল; দু’একটা ঘনিষ্ঠ কথার টুকরো কানে আসে। ‘মনে করে প্রেশারের ওষুধটা খেয়ো। রাত জেগো না, অ্যালজোলামটা ফুরিয়ে গেলে মনে করে কিনে নিয়ো।’ রোজ, রোজ, সোম থেকে শুক্র স্টেশনের এই ক্ষণ মুহূর্তটুকু ভালবাসায় বাঁধা থাকে, তার পর আবার হারিয়ে যায়। শীর্ণ, ঝুঁকে পড়া বৃদ্ধটি পায়ে পায়ে এগিয়ে যান গন্তব্যের দিকে। ঘরে তাঁর স্ত্রী, পুত্র, নাতি। তা হলে কার জন্য এই উদ্বেগ, আর বিচ্ছিন্নতার বেদনা?
বীণা দিদিমণি আর আশুতোষবাবুর বাল্যপ্রেম পরিণতি পায়নি পারিবারিক চাপে। জাতপাতের বাধায় সুন্দরী বীণার বিয়ে হয়েছিল এক শিক্ষকের সঙ্গে। ব্যবসায়ী আশুতোষবাবু যথা নিয়মে বিয়ে করে সংসারী হয়েছিলেন। পাঁচ বছরের শিশুপুত্র নিয়ে বিধবা বীণার জীবনে সংকট এল যখন, ঘোরতর সংসারী আশুতোষের সম্ভব ছিল না পাশে এসে দাঁড়ানোর। বীণা পেল স্বামীর চাকরি, পুত্রকে মানুষ করতে করতে কখন বসন্ত বিদায় নিয়ে এল শীতার্ত প্রৌঢ়ত্ব। আর আশুতোষবাবু জীবনের নানান জটিলতায় দীর্ণ হয়ে খুঁজে ফেলেন মুক্তির বাতাসটুকু, স্টেশনের এই ক্ষণ মুহূর্ত। যে-দিন ক্রসিং থাকে, ট্রেন দাঁড়ায় সে-দিন একটু বেশি কথা, ভালবাসায় মোড়া। আর যে-দিন ট্রেন দাঁড়ায় দু’মিনিট, সে-দিন ওই এক মুহূর্তের চাওয়া-পাওয়া। ভালবাসা কি এমনি করেই ফোটে প্রতিদিন?
(চরিত্রের নামগুলি পরিবর্তিত)
হায়দরাবাদে সিপিএমের মিটিংয়ে না থাকিয়া
বুদ্ধবাবু প্রমাণ করিলেন যে, তিনি নাই!

শুভ্র দে, গড়িয়া
ক্ষমা চাইছি
এক বন্ধু ওষুধের দোকানে কাজ করত। ইন্টারভেনাস ইঞ্জেকশন দেওয়া, স্যালাইন দেওয়া, সার্জিক্যাল কাজ ভাল করত। এক দিন আমাদের এক শিক্ষককে ইঞ্জেকশন পুশ করতে যায়, সঙ্গে আমিও। উনি বয়স্ক। সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠলাম। উনি শায়িত ছিলেন। হাতের মাসলে ও ছুঁচ ঢোকাল, কিন্তু ওষুধ পুশ করা গেল না। ও সুকৌশলে নিডল বের করে আবার ঢোকাল কিন্তু না, এ বারেও না। অগত্যা নিডল বের করে সাবধানে লুকিয়ে জানলা দিয়ে ওষুধ বাইরে ফেলে দিল। শিক্ষকমশাই পুরো ব্যাপারটা বুঝেছিলেন। জিজ্ঞসাও করেছিলেন, ‘কেন এমন হল? এমন তো হয় না, বাবু।’ উনি আজ আর বেঁচে নেই। দুর্ভাগ্যের বিষয় আমার সেই বন্ধুটি আজ প্রেমে ব্যর্থ সাইক্রিয়াট্রিক পেশেন্ট। কিছু দিন আগে সেই শিক্ষকের স্ত্রী মারা গেলে আমি গিয়েছিলাম ওই বাড়িতে। সেই বাড়িতে গিয়েই আবার পুরনো স্মৃতি জেগে উঠলে নিজেকে বড়ই অপরাধী বলে মনে হয়েছিল। সেই ঘটনা আজও আমরা দু’জন ছাড়া আর কেউই সে কথা জানে না।
অলোক মুখোপাধ্যায়, বীরভূম


মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের।

ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১

নিজের বা আশেপাশের মানুষের জীবন
থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ভালবাসার বাস্তব
কাহিনি আমাদের পাঠান, যে কাহিনি এই
কঠিন সময়েও ভরসা জোগাতে পারে।

২৫০ শব্দের মধ্যে লিখুন।
চিঠি পাঠান এই ঠিকানায়:
যদিদং, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১
Golpo Rabibasariyo Anandamela



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.