টুকরো খবর
আড়শা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিল স্বাস্থ্যদফতর। শুক্রবার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিশিকান্ত হালদার বলেন, “বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত। ঘটনার তদন্তের জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।” ওই কমিটিতে জেলার দুই উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামলাল হেমব্রম, কৃষ্ণপদ সরকার ও আড়শার বিএমওএইচ জয়দীপ মজুমদার রয়েছেন। উল্লেখ্য, প্রশিক্ষণে অন্য এক জনের নাম সুপারিশ করাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার চিকিৎসক রমেন গরাঁইয়ের সঙ্গে দুই নার্স সুস্মিতা মাঝি ও পিঙ্কি দাসের বাকবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতি হয়েছিল বলে অভিযোগ। দুই নার্স চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি এবং চিকিৎসক তাঁদের বিরুদ্ধে পাল্টা মারধরের অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ ওই তিন জনকেই গ্রেফতার করেছিল। শুক্রবার পুরুলিয়া মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় দাসের এজলাসে হাজির করানো হলে ধৃত তিন জন জামিনে মুক্তি পান। আড়শা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একমাত্র চিকিৎসক গ্রেফতার হওয়ায় শুক্রবার সকালের দিকে পরিষেবা না পেয়ে অনেকে ফিরে যান। বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, “ঘটনার কথা শোনার পরে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলাম। রমেন গরাঁইয়ের বিরুদ্ধে অভিয়োগের কথা শুনেছি। নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” এসইউসির (সি) জোনাল কমিটির সম্পাদক রঙ্গলাল কুমার দাবি করেছেন, “তদন্তের ফল কী হল তার ফল যেন মানুষ জানতে পারে।” মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিশিকান্তবাবু বলেন, “তদন্তের রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। যা ব্যবস্থা নেওয়ার তাঁরাই নেবেন।”

জাঙ্গিপাড়ার গ্রামে বিষক্রিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬। কিন্তু শুক্রবার রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে জাঙ্গিপাড়ার উজলপুকুর গ্রামে কালীপুজো হয়। সেই উৎসব উপলক্ষে বুধবার গ্রামে এলাহি খাওয়া-দাওয়া র বন্দোবস্ত করা হয়। একাধিক বাড়িতে অনেকে মদ্যপানও করেন। তারপর থেকেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন অন্তত জনা পনেরো। সকলেরই বমি-পায়খানা হচ্ছিল। কয়েক জনকে স্থানীয় নার্সিংহোম এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত একে একে ছ’জনের মৃত্যু হয়। খাদ্যে বিষক্রিয়া, না মদে কিছু মিশে থাকার কারণে জাঙ্গিপাড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে অতগুলি প্রাণ গেল, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “মদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। যে দোকান থেকে মদ কেনা হয়েছিল, পুলিশ তার মালিককে খুঁজছে।”

উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগে হোগলবেড়িয়ার দুর্লভপুর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে ঘেরাও করে রাখেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ শুক্রবার সকালে হাসপাতালের কাছেই ওষুধ পোড়ানোর খবর পান তাঁরা। ওই গ্রামীণ হাসপাতালের সুপার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।

চিকিৎসকদের গাফিলতির জেরে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে মালবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতের আত্মীয়রা। শুক্রবার নাগরাকাটার এক বস্তির বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ হরিপ্রসাদ শর্মার (৬০) মালবাজার হাসপাতালে মৃত্যু হয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির পারগাঁও এলাকায়। মৃতের নাম শেখ সঞ্জক (৩৫)। বাড়ির বিবাদে ওই ব্যক্তি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
Previous Story Swasth First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.