|
|
|
|
জোড়া ট্রাক ঢুকিয়ে পূর্ত দফতরের গুদাম লুঠ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
পূর্ত দফতরের গুদাম চত্বরে জোড়া ট্রাক ঢুকিয়ে, তাতে ৭৪টি পিচভর্তি ড্রাম নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। গুদামের পাহারাদার তিন বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীকে তারা মারধর করে। বেঁধে, একটি ঘরে আটকেও রাখে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার বাইপাস রাস্তা লাগোয়া সোনামুখী মোড়ে বিষ্ণুপুর মহকুমা (সড়ক) বিভাগের গুদামে।
বিষ্ণুপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নিরাপত্তাকর্মীদের দাবি, রাত ২টো থেকে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলেছে ওই লুঠপাট। এলাকাবাসীর একাংশের বক্তব্য, রাতে ওই ঘটনাস্থল এবং লাগোয়া এলাকায় টহল দেওয়ার কথা বিষ্ণুপুর থানার টহলদার পুলিশ ভ্যানের। ‘ঠিকঠাক’ টহল দেওয়া হলে কী ভাবে ওই ঘটনা পুলিশের চোখ এড়াল, তাঁরা সে প্রশ্ন তুলেছেন। |
|
বিষ্ণুপুরে এই গুদামেই ডাকাতি হয়। শুক্রবার শুভ্র মিত্রের তোলা ছবি। |
শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে যান পূর্ত (সড়ক) দফতরের বিষ্ণুপুর মহকুমা বিভাগের সহকারী বাস্তুকার সঞ্জয়কুমার সিংহ। তিনি বলেন, “এখানে ৭৪টি ড্রাম ছিল। প্রতিটি ড্রামে ১৫৬.৫ কিলোগ্রাম করে পিচ ছিল। যার আনুমানিক মূল্য, সাড়ে চার লক্ষ টাকা। এ রকম আগে হয়নি। পুলিশকে বিশদে তদন্ত করতে বলেছি।” এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) দিব্যজ্যোতি দাস বলেন, “পুলিশ রাতে ওই এলাকায় টহল দেয়। তবে কেন ঘটনাটি তাদের নজরে আসেনি, তা জানা নেই। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই তদন্তের কাজ চলছে।”
স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে দু’টি ১০ চাকার ট্রাক নিয়ে দুষ্কৃতী দল হানা দেয় পূর্ত দফতরের ওই গুদামে। পাঁচিল টপকে ঢুকে তারা নিরাপত্তাকর্মীদের ঘরে গিয়ে তিন নিরাপত্তা কর্মীদের উপরে চড়াও হয়। বিষ্ণুপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিরাপত্তাকর্মী-- বিকাশ সাঁতরা ও স্বপন মণ্ডলের দাবি, “রাত ২টো নাগাদ আচমকা আমাদের ঘিরে ফেলে এলোপাথাড়ি চড়, থাপ্পড়, ঘুঁষি মারে ১০-১২ জন দুষ্কৃতী। হাত, মুখ বেঁধে দেয়।”
ডান হাঁটুতে চোট পাওয়া আর এক নিরাপত্তাকর্মী অপূর্ব পাত্রর অভিযোগ, “আমার জিম্মায় থাকা গুদামের সদর দরজার চাবি ওরা কেড়ে নেয়। আমাদের ঘরে আটকে রেখে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে লুঠপাট চালায়।” দুষ্কৃতীরা চম্পট দেওয়ার পরে চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের উদ্ধার করেন। ওই বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার সিকিওরিটি-ইন-চার্জ সহদেব দত্ত বলেন, “আমাদের কর্মীদের যে ভাবে মারধর করে এই লুঠপাট হল, তাতে আমরা হতবাক।” |
|
|
|
|
|