পরিচয়...
দু’বার সুইসাইড করতে চেয়েছিলাম,
বেঁচে আছি অভিনয়ের জন্য
জানালার কাচের ও পারে আছড়ে পড়ছে লেক মার্কেটের কোলাহল। ঘরের ভেতরে খুব হাল্কা চালে একটা সিগারেট ধরালেন তিনি। অমসৃণ মুখের পেশিগুলো যেন ঈষৎ নড়েচড়ে উঠল। বলে উঠলেন, “আমি তো দু’বার সুইসাইড করতে চেয়েছিলাম। হয়নি, কী আর করা যাবে.....।”
গলার স্বরে আবেগের লেশ মাত্র নেই। নেই কোনও অনুশোচনা বা মনস্তাপের রেশও। হতে পারে সে দিনের সবটাই ছিল আবেগ ঢাকার দুরন্ত অভিনয়। হাজার হোক এটা তো মানতেই হবে যে, অভিনেতা হিসেবে তিনি এক কথায় দুর্ধর্ষ। এবং সেই সঙ্গে এটাও বলতে হয়, এই মুহূর্তে তিনিই সেই বিরলতম অভিনেতা, যিনি একই সঙ্গে টালিগঞ্জের পাশাপাশি বলিউডেও দাপিয়ে অভিনয় করে সমান ভাবে সাড়া ফেলেছেন।
‘পরিণীতা’, ‘ইশকিয়া’, ‘নো ওয়ান কিল্ড জেসিকা’ তিন-তিনটে হিট ছবিতে দাপটে কাজ করেছেন। বিদ্যা বালনের মতো নায়িকাও তাঁকে খুব পয়া মনে করতে শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, খুব অল্প দিনের মধ্যে আরও একটি ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করার কথা তাঁদের। ছবির নাম ‘ডার্টি পিকচার’।
নাসিরউদ্দিন শাহ, ওম পুরীর মতো দাপুটে অভিনেতারা বৈঠকখানার আলোচনায় সাবাস দেন তাঁর ম্যাজিকের মতো আশ্চর্য সময়জ্ঞানকে।
সে দিন ‘নো ওয়ান কিল্ড জেসিকা’র বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের পর ছবির প্রযোজক ইউটিভি-র রনি স্ক্রুওয়ালাকে অমিতাভ বচ্চন ফোন করে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আচ্ছা ওই ইন্সপেক্টরের রোলটা যিনি করেছেন তাঁর নাম কী?”
অমিতাভ বচ্চন মুম্বইতে বসে তাঁকে না-ই বা চিনলেন। কিন্তু বাংলার দর্শক আর টালিগঞ্জ পাড়ার মানুষজন সাক্ষী হয়ে রইল যে শিল্পীর অসম্ভব ক্ষমতাশালী অভিনেতা হয়ে ওঠার দীর্ঘযাত্রায় তাঁর নাম রাজেশ শর্মা। তৃপ্তি মিত্রের হাত ধরে যাঁর অভিনয়ের জগতে আসা, তাঁর অভিনয় প্রতিভা আরও বিস্তার পেয়েছিল নাট্য পরিচালক উষা গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিভাবকত্বে। রঙ্গকর্মী নাট্যদলের ছত্রছায়ায়। “আমার জন্ম পঞ্জাবি পরিবারে। নাটকে অভিনয় করা আর পঞ্জাবি সংস্কৃতিকে কিছুতেই মেলানো সম্ভব ছিল না। প্রথম প্রথম যখন অভিনয় করতে শুরু করেছি তখন একটা কঠিন সময় পেরোতে হয়েছে আমাকে।” রাজেশ যখন এই কথাগুলো বলছেন তাঁর মা হাসিমুখে এলেন চা দিতে। এক সময় কলকাতার রাস্তায় ট্যাক্সি চালাতাম হয়তো মায়ের হাসিমুখের দিকে তাকিয়ে পুরনো কথা আরও বেশি করে মনে পড়ল। বলে ওঠেন রাজেশ, “মুঝে জিতনা বরদাস্ত মেরে মা নে কিয়া ঔর দুনিয়া কি কিসি মা নহি করেগি।” এবং যে আবেগের সঙ্গে তিনি বলেন কথাগুলো, একটুও বাড়িয়ে বলছেন বলে মনে হয় না। “আমি একটা সময় ট্যাক্সি চালাতাম। বাবা মারা যাবার পর টাকা রোজগারের চাপ এল। এক বন্ধুর অনেকগুলো ট্যাক্সি ছিল। ড্রাইভিং জানতাম বলে তার কাছে একটা ড্রাইভারের চাকরি জুটিয়ে ফেললাম,” তিনি বলে যান আর আপনি অবাক হয়ে শুনতে থাকেন তাঁর জীবনযুদ্ধে তৈরি হওয়ার কাহিনি।
যে সব যাত্রী ট্যাক্সির সওয়ার হয়েছিলেন, বিখ্যাত হওয়ার পর আজকের রাজেশ শর্মার সঙ্গে তাঁদের কারও দেখা হয়েছে কি কখনও? সলজ্জ রাজেশ নরম সুরে বললেন, “না, কোনও যাত্রীর সঙ্গে আমার দেখা হয়নি পরে আর। তবে একটা ঘটনা খুব মনে পড়ে। একদিন পার্ক স্ট্রিট থেকে দু’জন অল্পবয়েসি মেয়ে আমার গাড়িতে উঠল। গাড়িতে ওঠার পর থেকেই ইংরেজিতে কলকাতা এবং কলকাতার ট্যাক্সি ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উগরে দিতে লাগল। নামার সময় আমাকে একটা একশো টাকার নোট দিল। বাকি টাকার ভাঙানি দিতে যাব, ওদের চোখে পড়ল আমার সিটের পাশে রাখা স্টেটসম্যান কাগজটায়। ওরা বলল, ‘এ কী! আপনি খবরের কাগজ পড়েন নাকি?’ আমি বললাম, হ্যা। ওরা জিজ্ঞেস করল, ‘আপনি ইংরেজি কাগজও পড়েন?’ আমি মাথা নাড়লাম। ওরা তখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। সম্পূর্ণ ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। এত বছর পরেও এই ঘটনাটা আমার মনে রয়ে গেছে।” আজ ভি জিন্দা হুঁ অ্যাক্টিং কে লিয়ে এমন সময় রাজেশের দ্বিতীয়া স্ত্রী সঙ্গীতা এসে আড্ডায় যোগ দিলেন। এটা হয়তো অনেকেরই মনে আছে, রাজেশের প্রথম বিয়ে হয়েছিল অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীর সঙ্গে। “সুদীপ্তার সঙ্গে আমার বনিবনা হল না আর কী। কিন্তু এখনও মনে আছে ‘বাড়িওয়ালি’ ছবিতে অভিনয়ের পর ও যে দিন জাতীয় পুরস্কার পেল, আমরা বিশাল পার্টি দিয়েছিলাম। সে দিনটা আজও মনে পড়ে। বলতে পারেন সুদীপ্তা আর আমার একসঙ্গে না থাকাটাই হয়তো নিয়তিতে ছিল। এ সবের পরে আজও আমি একটা কথা জোর দিয়ে বলতে পারি। সুদীপ্তার অভিনয়ের মধ্যে কিন্তু আজও একটা আলাদা তেজ আছে,” স্মৃতিচারণের গভীরে তলিয়ে যান রাজেশ।
রাজেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা বলে থাকেন, সুদীপ্তার সঙ্গে সম্পর্কটা ভেঙে যাওয়ার পর রাজেশ অসম্ভব হতাশার মধ্যে দিন কাটাতেন। “হ্যাঁ, সেই সময়টা খুব কঠিন ছিল। কষ্টে কেটেছে। তখন খুব একটা কাজকর্ম পাচ্ছি না। বিয়েটাও ভেঙে গেল। তখন আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছি। প্রথম বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলাম থিয়েটার করার দিনগুলোতে। বাবা মারা যাওয়ার পর। তখন আমাদের চূড়ান্ত অর্থকষ্ট। পেঁয়াজের চাটনি দিয়ে রুটি খেয়ে দিন কাটত। সেই সময় মনে হয়েছিল আত্মহত্যা করি। কিন্তু থিয়েটার করার নেশা আমায় বাঁচিয়ে দিয়েছিল। নিজের অভিনয়ের প্রতি গভীর আত্মবিশ্বাস থেকে মনে হয়েছিল, না, মরে গেলে চলবে না। যদি বাঁচতেই হয় শুধু অভিনয়ের জন্যই বাঁচব। আজ ভি জিন্দা হুঁ অ্যাক্টিং কে লিয়ে,” অনমনীয় স্বরে বলে চলেন রাজেশ। তেরা ফিউচার মুম্বই মে হ্যায় কথায় আছে ভোর হওয়ার আগে রাত্রির রং সব চেয়ে ঘন কালো হয়। এই প্রবাদটাই যেন সত্যি হয়ে গেছে রাজেশের জীবনে। বিবাহবিচ্ছেদ যেন রাজেশের জীবনকে নজিরবিহীন ভাবে বদলে দিল। “মুম্বই গিয়েছিলাম অনুরাগ বসুর জোরাজুরিতে। উনি তখন একটা সিরিয়াল করেছিলেন। সেই সময়ই আমার অভিনয় ওঁর ভাল লাগে। তাই শেষ পর্যন্ত মুম্বই গেলাম। অনুরাগের বাড়িতেই উঠেছিলাম। অনুরাগের মা যা রেঁধে দিতেন তাই খেতাম। অনুরাগের বাবা আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। কিন্তু সেই মানুষটিই আমাকে প্রথমে বলেছিলেন, ‘রাজেশ তেরা ফিউচার মুম্বই মে হ্যায়।’ আজ তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী অলৌকিক মনে হয়।”
কী আশ্চর্য সমাপতন! মুম্বইয়ের মাটিতে পা রাখার প্রথম সুযোগ করে দিল ‘খোসলা কি ঘোসলা’। উচ্ছ্বসিত প্রশংসা হয়েছিল সে ছবিতে তাঁর অভিনয়ের। তার পর এল বিশাল ভরদ্বাজের ‘কামিনে’। ‘কামিনে’তে রাজেশের অভিনয় করা হয়নি। তাঁর চরিত্রটাতে শেষমেশ অভিনয় করেছিলেন রজতাভ দত্ত। ‘কামিনে’তে অভিনয় না করলেও বিশাল তাঁকে মনে রেখেছিলেন। এবং পরবর্তী ছবি ‘ইশকিয়া’তে রাজেশকে কাজ করতে বলেন। সে ছবিতে রাজেশের অভিনয় রীতিমতো সাড়া ফেলে দেওয়ার মতো। ‘নো ওয়ান কিল্ড জেসিকা’র পরিচালক রাজকুমার গুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল রাজেশের এই সব ছবিতে অভিনয়। অডিশন দিতে আমার আপত্তি নেই “মুম্বইতে আমি ‘নো ওয়ান কিল্ড জেসিকা’র জন্য অডিশন দিয়েছিলাম। এইখানে একটা কথা যোগ করা দরকার, আমার অডিশনে কোনও আপত্তি নেই। অডিশনের মধ্যে একটা চ্যালেঞ্জ আছে। অন্য প্রতিযোগীদের সরিয়ে নিজের জায়গাটা ছিনিয়ে নেওয়া যায়। সেটার মজাই আলাদা। শ’দেড়েক লোক অডিশন দিয়েছিল ছবির জন্য। অনেকদিন কেউ আমাকে জানায়নি আমি অডিশনে থাকলাম না বাদ পড়লাম,” শিশুসুলভ উচ্ছ্বাসে বলে ওঠেন রাজেশ।
তার পর কী ভাবে জানলেন যে সুযোগটা পেয়েছেন? রাজেশের উত্তেজিত উত্তর, “আমি আর আমার বৌ সঙ্গীতা তখন গাড়িতে। ল্যান্সডাউন-রাসবিহারী ক্রসিংটা পার হচ্ছি। এমন সময়ে এল পাকা খবরটা। পরে জানতে পারি চরিত্রটার জন্য পীযূষ মিশ্র বা ইরফান খানকে নেওয়ার কথা বলেছিলেন প্রযোজক। কিন্তু পরিচালক রাজকুমার গুপ্তের এক কথা, আমাকেই নেবেন। পরে জেনেছি রাজকুমার নাকি আমার ব্যাপারে এতটা কঠোর হয়েছিলেন যে ঠিক করেছিলেন, আমাকে না নিলে ছবিটাই করবেন না। যে ছবিতে রানি মুখোপাধ্যায়, বিদ্যা বালনের মতো নায়িকারা আছেন, সে ছবিতে আমার জন্য রাজকুমার এতটা লড়েছিলেন দেখে একটাই কথা মনে হয়েছিল, এই সময়কার বলিউড পরিচালকদের কথার দাম কতটা।
শুধু রাজকুমার গুপ্ত নয়। ইমতিয়াজ আলির ‘রকস্টার’ ছবিতে রণবীর কপূরের সঙ্গেও রাজেশের অভিনয় করার কথা হয়েছিল। মুম্বইতে ইমতিয়াজ আলির সঙ্গে মিটিং হল। কথাবার্তার সময় আগাগোড়া তিনি আমাকে ‘স্যার’ বলে কথা বললেন। মুম্বইতে অভিনেতারা এই সম্মানটা পেয়ে থাকেন। তো যাই হোক, তিনি বললেন যে শর্টলিস্ট করতে করতে অবশেষে এসেছিল আমার আর পবন মলহোত্রের নাম। আমি কাজটা পাইনি ঠিকই, তবু মনে হল সময় বদলাচ্ছে। আজ আমার আর পবন মলহোত্রের নাম একই ব্র্যাকেটে ভাবা হচ্ছে এটা তো ঠিক। আমার কাছে এর থেকে বড় আর কিছু হতেই পারে না,” ডায়লগ বলার সময় ‘পজ’ নেওয়াটাও সর্বোচ্চ স্তরের অ্যাক্টিং রাজেশের সঙ্গে কথা বলতে বলতে এই মুহূর্তের টালিগঞ্জের একটা দিকও উন্মুক্ত হয়। বোঝা যায় এখনকার টালিগঞ্জের অভিনেতা-অভিনেত্রী-পরিচালকেরা একে অপরের সাহায্যে কী অবলীলায় হাত বাড়ান। “‘কামিনে’তে অভিনয় না করলেও, বিশাল ভরদ্বাজ আমাকে একটা শো-রিল পাঠাতে বলেছিলেন। জানেন, কে আমার জন্য সেই শো-রিলটা তৈরি করে দিয়েছিল? রিংগো। সারা রাত জেগে থেকে আমার জন্য শো-রিলটা তৈরি করেছিল। বিশাল ভরদ্বাজ পরে বলেছিলেন,এত ভাল শো-রিল তিনি জীবনে দেখেননি,” সগর্বে বললেন রাজেশ। যত রাজেশের সঙ্গে কথা বলা যায় ততই বোঝা যায় রাজেশ টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রির সকলেরই খুব প্রিয়। রাজেশ হলেন এমন এক জন অভিনেতা, যিনি সব শিল্পীর কাছেই কিছু শিক্ষণীয় আছে বলে মনে করেন। যেমন ধরুন নাসিরউদ্দিন শাহের দৃষ্টান্তটা। রাজেশকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, নাসিরের কাছে কী শিখলেন, উত্তরে তিনি বলেন, “এ জীবনে এ পর্যন্ত দেখা সব শিল্পীর মধ্যে আমার চোখে সেরা হলেন নাসিরউদ্দিন শাহ। নাসিরজির থেকে কী শিখেছি জানেন? শিখেছি সংলাপ বলার সময় ‘পজ’ নেওয়াটাই সর্বোচ্চ স্তরের অভিনয়। আর এই ব্যাপারে নাসিরজি হলেন মাস্টার।” মুম্বইতে বরং একটা নতুন দোকান খোলো নাসিরের প্রতি রাজেশের শ্রদ্ধা প্রায় ঈশ্বরভক্তির মতো। কিন্তু তাই বলে রাজেশ মোটেই কলকাতার পাততাড়ি গুটিয়ে মুম্বইতে জাঁকিয়ে বসতে চান না। কলকাতার প্রতি ভালবাসা তাঁর পরম। “আর একটা কী জানেন, আজকের দিনে মুম্বই আর কলকাতার দূরত্ব অনেক কমে গেছে। আমি খুব শিগগির একটা মুম্বইয়ের সিমকার্ড নিতে চাইছি। কিন্তু বাড়ির ঠিকানা নেই বলে পাচ্ছি না। যদি মুম্বইয়ের সিমটা পেয়ে যাই, তা হলে সেখানকার লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা সহজ হবে,” বলে ফেলেন একদা পাতিয়ালায় জন্মানো এই অভিনেতা। এও বললেন যে তাঁর ছবির পরিচালকেরাও বলে থাকেন, রাজেশ যেন মুম্বইতে থাকতে আরম্ভ না করেন। “ওরা আমায় বলে, রাজেশ তোমার কলকাতায় এত ভাল দোকান চলেছে, সেটা বন্ধ করে কেন আসবে? মুম্বইতে বরং একটা নতুন দোকান খোলো,” সহাস্যে বলেন তিনি। সাক্ষাৎকারের প্রায় শেষ পর্বে চলে এসেছি। জিজ্ঞেস করলাম, কলকাতায় তাঁর মতো আর কোনও শিল্পী কি আছেন, যিনি একসঙ্গে কলকাতা আর মুম্বইতে কাজ করতে পারেন! রাজেশের তৎক্ষণাৎ উত্তর, “বেণুদা (সব্যসাচী চক্রবর্তী)। ও তো আমার আগে থেকেই এ ভাবে কাজ করছে। পরের প্রজন্মের মধ্যে খরু (খরাজ মুখোপাধ্যায়), রুদ্র, পরম আর রজতাভ অনায়াসে মুম্বইতে কাজ করতে পারে।”
সাক্ষাৎকার শুরু হওয়া থেকে এ পর্যন্ত ছ’নম্বর সিগারেটটি নেভাতে নেভাতে বললেন রাজেশ।
First Page Patrika Next Item


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.