যে কোনও ব্যবসার প্রসার লাভ ঘটে তখনই, যখন পরিবহণ বা যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হয়। রেলের মাধ্যমে সুলভে পরিবহণ ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে কৃষ্ণনগর রেল স্টেশনের অদূরে বনফুল সিনেমা হলের পাশে অস্থায়ী ফুল বাজারে গাঁদা ও রজনীগন্ধা ফুলের পাইকারি ও খুচরো ব্যবসা করে থাকেন। এই ফুল কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলার নানা প্রান্তে চালান হয়। অন্যান্য কাঁচা দ্রব্য দিনের পর দিন বিক্রি না হলে সংরক্ষণ করে রাখা সম্ভব। কিন্তু ফুল সংরক্ষণের ব্যাপারে সে রকম কোনও উপায় না থাকায় অনেক অবিক্রিত ফুল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ফুল ব্যবসায়ীগণ চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। এই অবস্থায় আগামী দিনে যাতে ফুল ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে না হয়, সে জন্য ব্যবসার উত্তরোত্তর বৃদ্ধির স্বার্থে স্টেশন সংলগ্ন কোনও স্থানে সঠিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য নতুন রাজ্য সরকারের ও পুর-কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি।
সমরকুমার মৌলিক, ধুবুলিয়া
|
কান্দি শহরের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া নেতাজি সুভাষ সব্জি মার্কেটটি বহু বছর ধরে চলছে। কিন্তু নির্দিষ্ট জায়গায় বদলে সব্জিওয়ালারা বড় রাস্তার দু-ধারে বসার ফলে নিত্য দিন যানজট, ছোটখাট দুর্ঘটনা থেকে সব্জি বিক্রেতাদের সঙ্গে সাধারণ পথচলতি মানুষদের বচসা লেগেই রয়েছে। কান্দি শহরের যাওয়ার মূল প্রবেশ পথের মুখে সব্জি ব্যবসায়ীরা রাস্তা দখল করে ব্যবসা করার ফলে বড় রাস্তাটি সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। সকালের দিকে অফিস টাইমে ওই রাস্তা পার হতে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগছে। বছর দুয়েক আগে তৎকালীন মহকুমাশাসক বিজয় ভারতী অবৈধ সব্জি বিক্রেতাদের সরিয়ে রাস্তা মুক্ত করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনি বদলি হয়ে যাওয়ার কারণে তা কার্যকরী হয়নি। অথচ কান্দি শহরের এটাই এখন প্রধান সমস্যা। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের নেতৃবর্গকেও দেখি না পথে নেমে এ বিষয়ে আন্দোলন করতে। কান্দি পুরসভারও কোনও হেলদোল নেই। বাজার সরিয়ে যানজটমুক্ত করার বদলে পুরসভার তরফে কুপন দিয়ে অবৈধ সব্জি বিক্রেতাদের কাছ থেকে কর আদায় করতে দেখা যায়। যদিও এই সমস্যার সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় আসে রাজনৈতিক দলগগুলি। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তীতে ওই প্রতিশ্রুতি পালনে তারা ব্যর্থ। অন্যত্র বাজার সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনিক কর্তাদের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।
অময় চক্রবর্তী, কান্দি
|
বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে ২০০৯ সালের ১৩ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে বড়ঞা ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় তিনশো জনকে ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পের আওতায় গৃহনির্মাণ বাবদ প্রথম কিস্তির টাকা তুলে দেওয়া হয়। এর পরে মাঝে ২০ মাস অতিক্রান্ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁরা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাননি। ফলে তাঁরা দারুণ অসুবিধার মুখে পড়েছেন। কেউ কেউ ধান-দেনা করে ইঁট গেঁথে ঘরের ছাউনিটুকু দিতে পেরেছেন। কেউ আবার সেটুকুও করে উঠতে পারেননি। এই অবস্থায় ওই প্রকল্প খাতের অর্থে গৃহনির্মাণ করেছেন কিনা তা সরজমিনে খতিয়ে দেখতে গত ২৮ মে জনৈক এক সরকারি অফিসার আসেন। গৃহনির্মাণের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার এত দিন পরে ওই টাকায় ঘর নির্মাণ হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে ফিরে যাওয়ার পরে রিপোর্ট তৈরি এবং তা পাঠানোর পরে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা অনুমোদনের পরে পঞ্চায়েত বা ব্লক কাযার্লয় থেকে হাতে এসে পৌঁছাতে আরও ২০ মাস অপেক্ষা। তত দিন এই মানুষগুলো কি করবেন? এই বর্ষায় তাঁদের মাথা গোঁজার আশ্রয়টুকুও যে নেই!
রতনকুমার ঘোষ, কামদেববাটি
|
রেলের টিকিট কাউন্টারে খুচরো সমস্যা ইদানীং ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এর ফলে নিত্যযাত্রীদের প্রচণ্ড অসুবিধা হচ্ছে। বিশেষ করে বাদকুল্লা, কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট স্টেশনগুলিতে। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, ব্যবস্থা নিন।
নীলাংশু ধর, বাদকুল্লা |