উত্তর কলকাতা
সিটিসি বাস স্ট্যান্ড
ব্রাত্য যাত্রী
টিনের চালের চারটি যাত্রীছাউনি।
২ ফুট মতো চওড়া। তার উপরে ভবঘুরে ও হকারদের দখলদারি। ফলে রোদ-বৃষ্টিতে নিত্যযাত্রীরা বাইরে দাঁড়িয়েই অপেক্ষা করেন। ধর্মতলার বাস সিটিসি স্ট্যান্ড নিয়ে এমনই অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের।
কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা। এলাকাটি প্রতিরক্ষা দফতরের হলেও সিটিসি এবং সিএসটিসি-র বাস স্ট্যান্ড এবং টার্মিনাস হিসাবে ব্যবহৃত হয়। প্রতি দিন শহরতলি এবং শহরের বিভিন্ন রুটের বাস ছাড়ে এখান থেকে। তা ছাড়াও রয়েছে ট্রামলাইন। ধর্মতলা থেকে খিদিরপুর, কালীঘাট, পার্কসার্কাস, গড়িয়াহাট ইত্যাদি বিভিন্ন রুটের ট্রামও ছাড়ে। যাত্রীছাউনি মাত্র চারটি।
চিহ্ন নেই বাসস্ট্যান্ডের, বসেছে দোকান।
কিন্তু সেই যাত্রীছাউনিগুলি কার্যত হকারদের দখলে চলে গিয়েছে। এক হাত জায়গাও ফাঁকা নেই। বাস বা ট্রাম ধরতে গেলে রীতিমতো দোকানের ফাঁক গলে দৌড়াতে হয়। সিটিসি ও সিএসটিসি সূত্রে খবর, প্রতিরক্ষা দফতরের অনুমতি নিয়েই যাত্রীছাউনিগুলি তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা ট্রাম কোম্পানির এক আধিকারিক বলেন, “প্রতিরক্ষা দফতরের জায়গা হওয়ায় আমরা স্থায়ী কোনও নির্মাণ করতে পারি না। অস্থায়ী ভাবে তাই টিনের ছাউনি তৈরি করা হয়েছিল। দখল হয়েছে কি না খোঁজ নিয়ে দেখব।” নিত্যযাত্রী বিমল করের কথায়: “সকাল থেকেই যাত্রীছাউনি বিভিন্ন ফল ও লেবুজলের ঠেলায় ভরে থাকে। কোনও রকমে যাত্রীরা দাঁড়িয়ে থাকেন। তা ছাড়া আলোর ব্যবস্থাও খারাপ। রাতে অসুবিধা হয়।”
ধর্মতলার মোড়ে এই বাসস্ট্যান্ডের যাত্রীছাউনিতে আলো নেই। অনেক যাত্রীই এখানে অপেক্ষা করেন। এমনই এক ট্রামযাত্রী পার্ক সার্কাস এলাকার বাসিন্দা স্বরূপ সরকার বললেন, “উল্টো দিকেই অফিস। রোজ এখান থেকেই বাস ধরি। শেডের অবস্থা খুব খারাপ। বাস-বেও ভেঙে গিয়েছে।” অন্য দিকে, রানি রাসমণি রোড লাগোয়া বাস-বে’র পাশের চওড়া ডিভাইডারটি পুরোপুরি হকারদের দখলে চলে গিয়েছে। ট্রাম ধরার জন্য যাত্রীরা অপেক্ষা করেন রাস্তার উল্টো দিকে মেট্রো স্টেশনের সামনে। ট্রাম এলে দৌড়ে ওঠেন। সাধারণত খিদিরপুর, কালীঘাট এবং টালিগঞ্জের দিকের রুট এটি। এখান থেকে রোজ ট্রাম ধরেন সালমা খাতুন। তিনি বললেন, “দৌঁড়ে ট্রামে উঠতে হয়। সঙ্গে ছোটরা থাকলে খুবই অসুবিধা হয়। দ্রুত হকার সরিয়ে যাত্রীদের দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা দরকার।”
প্রতিরক্ষা দফতরের জায়গা হলেও দেখভালের দায়িত্ব কলকাতা পুরসভা। পুরসভার ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের শীলা কপূর বললেন, “হকার সমস্যা কলকাতার অনেক জায়গায় রয়েছে। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।” এ প্রসঙ্গে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যাত্রীছাউনিগুলি সিটিসির তৈরি। বেদখলের ব্যাপারে সিটিসি পুরসভাকে জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা এখনও অভিযোগ পাইনি। তবুও খোঁজ নিয়ে দেখব।”
ছবি: পিন্টু মণ্ডল্
First Page

Kolkata

Next Story

 



অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.