|
|
|
|
কলকাতা লিগে কিছু ম্যাচ খেলতে পারবেন ওডাফারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ফেডারেশনের বছরে সর্বোচ্চ ৪০ ম্যাচ খেলার নতুন নিয়ম চালু হলেও ওডাফা বা টোলগের মতো মোহন-ইস্টের সুপারস্টাররা কলকাতা লিগে কমপক্ষে সাত-আটটা ম্যাচ খেলতে পারবেন। কলকাতা লিগের জৌলুস কমবে না বলেই মনে করছে ফেডারেশন। এআইএফএফ ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত বললেন, “আই লিগের কোনও ফুটবলারকে স্থানীয় লিগে খেলতে দিতে রাজি নয় এএফসি। আমরা সেখানে অন্তত সাত-আটটা ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিতে চাইছি তাদের।”
আই লিগ ফুটবলারদের ঘরোয়া লিগে খেলার ব্যাপারে ফেডারেশন যে অ্যাকশন গ্রুপ তৈরি করেছিল তার চেয়ারম্যান ছিলেন সুব্রতবাবু। চার জনের কমিটি যে প্রস্তাব কার্যকর কমিটির কাছে পাঠাচ্ছে তাতে আই লিগ প্লেয়াররা ৪০টার বেশি ম্যাচ খেলতে পারবেন না। তাতে প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছিল কলকাতা লিগ বিপদে পড়বে। কিন্তু সুব্রতবাবু দাবি করছেন সে রকম আশঙ্কা নেই। তাঁর রাগত মন্তব্য, “অনেক কিছু না জেনেই চাপান-উতোর চলছে। আমরা বলেছি আই লিগে কোনও ফুটবলার যে ম্যাচে ৪৫ মিনিটের কম সময় মাঠে থাকবে সেটা তার ৪০টা ম্যাচের মধ্যে গ্রাহ্য হবে না। এএফসি টুর্নামেন্টের ম্যাচকেও ধরা হচ্ছে না ৪০টার মধ্যে।”
এ বারের আই লিগ শুরু হচ্ছে ২২ অক্টোবর। সেপ্টেম্বরে কলকাতা লিগ বা আইএফএ শিল্ড করতে চায় আইএফএ। এ দিন গভর্নিং বডির সভায় আরও চার বছরের জন্য সচিব নির্বাচিত হওয়ার পর উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “সোমবার ঠিক করব কোনটা আগে করব।” অ্যাকশন গ্রুপের কর্তারা হিসেব করেছেন, এক জন ফুটবলার আই লিগে গড়ে ২২টার বেশি ম্যাচ খেলেন না। এর সঙ্গে ফেডারেশন কাপে সর্বাধিক ছয় এবং শিল্ডের চার ম্যাচ ধরলে হয় আরও ১০ ম্যাচ। সব মিলিয়ে ৩২। সে ক্ষেত্রে কলকাতা লিগ বা ডুরান্ড কাপের মতো টুর্নামেন্টের জন্য আটটা ম্যাচ পড়ে থাকছেই। সুব্রতবাবু বললেন, “আমাদের প্রস্তাব পেশাদার লিগ কমিটি মানবে কি না জানি না। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলের সঙ্গে বসছি ব্যাপারটা বোঝানোর জন্য। যাতে তিনি এএফসি প্রেসিডেন্ট বিন হামামকে ধরে তাঁর মারফত এএফসি প্রো লিগ কমিটি চেয়ারম্যান সুজুকিকে রাজি করান। এ বছর থেকেই নতুন নিয়ম চালু হবে।” |
|
|
|
|
|