সিপিএম পরিচালিত চন্দ্রকোনা পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল তৃণমূল। শুক্রবার মহকুমাশাসক ও পুরপ্রধানকে লিখিত ভাবে অনাস্থার কথা জানায় তারা। ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী বলেন, “অনাস্থার চিঠি পেয়েছি।” অন্য দিকে পুরপ্রধান অরুণ সাহার বক্তব্য, “আমি আজ পুরসভায় যাইনি। তবে তৃণমূল অনাস্থা জানিয়েছে বলে শুনেছি। নিয়মানুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে ভোটাভুটির জন্য বৈঠক ডাকব।” গত পুরভোটে চন্দ্রকোনা পুরসভায় ১২টি আসনের মধ্যে সিপিএম ৪টি, তৃণমূল ৫টি আসন পায়। ৩ নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থনে ক্ষমতায় আসে সিপিএম। পুরপ্রধান হন সিপিএমের অরুণ সাহা, উপপুরপ্রধান নির্দল প্রার্থী রণজিৎ ভাণ্ডারী। কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের পরই উপপুরপ্রধান-সহ তিন নির্দল কাউন্সিলর পুরবোর্ড থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। শুক্রবার তৃণমূলের অনাস্থার আবেদনে ওই তিন জন স্বাক্ষর করেছেন। ফলে তৃণমূলের অনাস্থার পক্ষে রয়েছেন আট জন। অনাস্থা নিয়ে ভোটাভুটির দিনে তৃণমূল সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারে কি না সেটাই দেখার। বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই উন্নয়নের কাজ কার্যত বন্ধ চন্দ্রকোনা পুরসভায়। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূলের জন্যই পুরসভার স্বাভাবিক কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে। নতুন করে কোনও টেন্ডার হওয়া দূর ভোটের আগে টেন্ডার হয়েছে এমন কাজও শুরু করা যায়নি। ঠিকাদারদের পাওনা মেটানো যায়নি। পুরপ্রধানের কথায়, “বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরই পুরসভার যাবতীয় উন্নয়নের কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে।” এ দিকে, বর্তমান বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার সঙ্গে সঙ্গেই নতুন পুরপ্রধান কে হবে, তা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছো শহর জুড়ে। তৃণমূল সূত্রের খবর, পুরসভার বর্তমান বিরোধী দলনেতা রামপদ কামিল্যার নামই এ ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে।
|
গড়বেতা থেকে নিখোঁজ জবা কিস্কুকে ফিরে পেল তাঁর পরিবার। বাবা রবীন্দ্র কিস্কুর হাতে মেয়েকে তুলে দেওয়া হয় শুক্রবার। পুলিশ জানিয়েছে, গত ১২ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলেন বিবাহিতা জবা। তাঁর বাড়ি গড়বেতার জেমুয়াশোলে। জবা বিবাহিতা। পুলিশের অনুমান, জবা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। ১২ এপ্রিল গাজনের মেলা দেখতে যাবেন বলে সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। আর ফেরেননি। ওই দিনই গড়বেতা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। ২৫ মে কোতয়ালি থানার পুলিশ মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে জবাকে উদ্ধার করে। আদালতের নির্দেশ জবাকে রাখা হয় মেদিনীপুরের ভগবতীদেবী মহিলা সমিতিতে। সমিতির ইনচার্জ অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জবা বাড়ির ঠিকানা বলতে পারছিলেন না। কেবল গ্রামের পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম বলেছিলেন।” অরিন্দমবাবু সেই ধোবাবেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে খোঁজ নেন। তার পর বাড়ির ঠিকানা সংগ্রহ করে জবার বাবাকে খবর দেন।
|
একগুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিপিএম পরিচালিত দাঁতন ১ ব্লকের আঁইকোলা পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দিল তৃণমূল। শুক্রবার বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই কয়েকশো তৃণমূল কর্মী-সমর্থক জড়ো হন পঞ্চায়েত অফিসের সামনে। সেখানে মঞ্চ বেঁধে সভা করে চলে বিক্ষোভ। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিক্রম প্রধানের অভিযোগ, “আঁইকোলা থেকে হরিপুরা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তায় মোরাম ফেলার জন্য বরাদ্দ ২ লক্ষ টাকার মধ্যে ৫৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে এ বছরের গোড়ায়। কিন্তু এখনও ওই টাকায় কোনও কাজ হয়নি। স্বামী থাকা সত্ত্বেও বিধবা ভাতার টাকা পাচ্ছেন পরগনা গ্রামের জ্যোৎস্না বারিক। সামগ্রিক ভাবে উন্নয়নের কোনও কাজ হয়নি।” বিডিও তিলকমৌলি রক্ষিত বলেন, “অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |