টুকরো খবর


হনুমানের হানায় জখম ৫
ফের হনুমানের উপদ্রব দেখা দিয়েছে রঘুনাথপুর ১ ব্লকের বাগতবাড়ি গ্রামে। গত তিন দিনে একটি লেজকাটা হনুমানের আক্রমণে জখম হয়েছেন ৫ বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, মাস দুই আগে ওই একই হনুমানের আক্রমণে জখম হয়েছিলেন ১৭ জন বাসিন্দা। আর এই প্রেক্ষিতে বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। এ দিকে, বাসিন্দারা হনুমানটিকে মেরে ফেলার দাবি জানিয়েছেন। জেলা বনাধিকারিক (কংসাবতী উত্তর) বিজয় শালিমঠ বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও হনুমানটিকে ধরতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে বন দফতরকে। রঘুনাথপুরের বিট অফিসার তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “লেজকাটা হনুমানটি গ্রামে ফিরে উৎপাত শুরু করেছে খবর পেয়ে কর্মীদের নিয়ে ধরার চেষ্টা করি। ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বেহুঁশ করা যায়নি।”


নিয়োগ অবৈধ, পদ ছাড়তে হবে বনকর্তাকে
রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল অতনু রাহাকে ওই পদ থেকে সরে যেতে হবে। এম এ সুলতান রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল হিসেবে কাজ করবেন। অতনু রাহা হবেন অতিরিক্ত মুখ্য বনপাল। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচরপতি প্রতাপ রায় ও বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়ে দিল, সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে অতনু রাহাকে ওই পদে নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। আবেদনকারী এম এ সুলতানের আইনজীবী সুরজিৎ সামন্ত বলেন, রাজ্য সরকার যখন অতনু রাহাকে প্রধান মুখ্য বনপালের পদে নিয়োগ করে, তখন ওই পদের আইনত দাবিদার ছিলেন এম এ সুলতান। তাঁকে ‘বঞ্চিত’ করা হয়। সরকারের এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুলতান কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর সমস্ত যুক্তি মেনে নিলেও অতনুবাবুর নিয়োগকে বেআইনি বলেনি। ট্রাইব্যুনালের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে আপিল মামলা করেন সুলতান। রাজ্য সরকার যে-নির্দেশে অতনুবাবুকে প্রধান মুখ্য বনপাল করেছিল, এ দিন হাইকোর্ট সেটি খারিজ করে দিয়েছে। এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সুলতান বলেন, “এত দিনে সুবিচার পেলাম।” অন্য দিকে, অতনুবাবু বলেন, “রায়ের প্রতিলিপি না-পেয়ে কিছু বলা যাবে না।”


সর্পদষ্টের মৃত্যু
সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু হল আজিম শেখ (৫৫) নামে এক ব্যক্তির। শুক্রবার সুতি থানার নয়া বাহাদুরপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। বাড়ির গরুর জন্য মাঠ থেকে ঘাস কেটে নিয়ে শুক্রবার আলপথ ধরে বাড়ি ফিরছিলেন।


গন্ডারের মৃতদেহ উদ্ধার
ছবি: দীপঙ্কর ঘটক।
গরুমারা অভয়ারণ্য লাগোয়া রামসাইয়ের মেদলা নজরমিনার থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে জলঢাকা নদীর পাড় থেকে ওই স্ত্রী গন্ডারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতের সামনের বাঁ পায়ের কাছে পেটের খাঁজে গভীর ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। জলঢাকা নদীর পাড়ের ওই ঘটনাস্থল থেকে খুব কাছেই বামনডাঙা চা বাগান। ওই চা বাগানের দুই কিশোর শুক্রবার সকালে দেহটি দেখতে পেয়ে বনকর্মীদের খবর দেন। পরে ৫টি কুনকি হাতির সাহায্য নিয়ে সেটিকে গরুমারায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “কী ভাবে গণ্ডারটির মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শনিবার আলিপুরদুয়ারে বন দফতরের আধিকারিকদের ডাকা হয়েছে। সেখানে এই বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেব।” জলপাইগুড়ির বন্যপ্রাণি বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক বলেন, “পুরুষের তাড়া খেয়েই স্ত্রী গন্ডারটি এতটা বাইরে চলে আসে বলে মনে হচ্ছে।” যে দুটি বালক গন্ডারের দেহের সন্ধান বনকর্মীদের দেয়, তাদের ডিএফও ৫০০ টাকা করে দিয়ে পুরস্কৃত করেন।
তথ্য:সব্যসাচী ঘোষ।


মুরগির মৃত্যু
মালদহের নরহাট্টা অঞ্চলের ৩টি গ্রামে গত সাত দিনে সাতশোর বেশি মুরগি মারা যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও জেলার প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের উপ অধিকর্তা প্রদীপ দাস বলেছেন, “বার্ড ফ্লু-র আতঙ্কের কোন কারণ নেই। রানিখেত রোগে ওই মুরগিগুলি মারা গিয়েছে। প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মীরা এলাকায় গিয়েছিলেন। রিপোর্ট সরকারকে পাঠানো হয়েছে।” গত ৭ দিন ধরে নরহাট্টার সাতঘরিয়া, বুধিয়া, বরকল গ্রামে মুরগি মারা গিয়েছে।
Previous Story Jibjagat First Page


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.