রবিবারের সন্ধ্যায় ফাইনাল ম্যাচ দেখতে ভিড় জমিয়েছিল অসংখ্য মানুষ। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বর্ধমান মিলনী। প্রথম ১০ ওভারে দু’উইকেট হারিয়ে তারা তোলে ৬৩ রান। কিন্তু এর পরেই দ্রুত উইকেট পড়তে থাকে। ১৩ ওভারে ৮৪ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায়। ১৮ ওভারে ১১২ রানে বর্ধমানের সব উইকেট পড়ে যায়। মন্থনের অধিনায়ক অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় ১৬ রান দিয়ে ৫টি উইকেট তুলে নেন। ব্যাট করতে নেমে ১৮.২ ওভারে ১০০ রানে মন্থনের সব উইকেট পড়ে যায়। ১২ রানে ম্যাচ জিতে যায় বর্ধমান মিলনী। ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন বিজয়ী দলের তীর্থঙ্কর ভাণ্ডারি। প্রথম বার এই প্রতিযোগিতায় খেলতে এসে জয়ের স্বাদ পেলেন মিলনী ক্লাবের মিঠুন দত্ত, সৌরভ মণ্ডল, দেবপম বিশ্বাস, অরিন্দম রায়, বিদ্যুৎ অধিকারীরা। |
প্রতিযোগিতার আয়োজক ক্লাব দু’টি ২০০৭ থেকে যৌথ ভাবে ডুমুরজলার মাঠে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ শিবির চালু করেছে। এক প্রশিক্ষক বুদ্ধদেব শেঠ বলেন, “অনূর্ধ্ব ১৪, অনূর্ধ্ব ১৬, অনূর্ধ্ব ১৯ এবং সিনিয়র ক্রিকেটার মিলিয়ে প্রায় একশো জন এখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এই প্রতিযোগিতার অধিকাংশ ক্রিকেটার কলকাতার নানা দলে খেলেন।” টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির সভাপতি নিমাই দত্ত বললেন, “১৯৬৫ থেকে ডুমুরজলা মাঠটি পড়ে আছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু খেলা হচ্ছে। আমরা চাই, স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরি হোক।” ১০ উইকেট এবং ৯২ রান করে ম্যান অফ দ্য সিরিজ এবং সেরা বোলারের পুরস্কার পান মন্থনের অধিনায়ক অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এই দলেরই প্রভাস মাইতি সেরা ফিল্ডার এবং সৌভিক চন্দ পান সেরা ব্যাটসম্যানের পুরস্কার। কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়, স্থানীয় কাউন্সিলর তন্দ্রা বসু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। |