খেলা
টি টোয়েন্টি
নৈশালোকে খেলা। চিয়ার লিডারদের নাচ। বড় পর্দায় খেলা দেখার ব্যবস্থা। আতস বাজির প্রদর্শনী। মাঠ ভর্তি দর্শক। সব মিলিয়ে ডুমুরজলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে সারা বাংলা টি-২০ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা জমে উঠেছিল। ফাইনালে কলকাতার মন্থন ব্রডব্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বর্ধমান মিলনী ক্লাব।
কলকাতা, হাওড়া, বর্ধমান ও মেদিনীপুরের মোট ১৬টি দলকে নিয়ে ১২ মে থেকে শুরু হয়েছিল এই কুড়ি ওভারের লড়াই। যৌথ ভাবে আয়োজন করেছিল হাওড়া স্পোর্টিং ক্লাব কোচিং সেন্টার ও সাঁতরাগাছি স্বামী বিবেকানন্দ স্পোর্টস ক্লাব। এ বার তৃতীয় বর্ষ। হাওড়া সম্মিলনী, বালি ক্রিকেট কোচিং সেন্টার, সাঁতরাগাছি ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের মতো বেশ কয়েকটি হাওড়ার ক্লাব প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেও কোনও ক্লাবই সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি। প্রথম সেমিফাইনালে উত্তর ২৪ পরগনার পাল অ্যান্ড চ্যাটার্জি দলকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠে আসে মন্থন দল। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বর্ধমান মিলনী ৬২ রানে হারিয়ে দেয় কলকাতার ব্লু বয়েজ দলকে।
রবিবারের সন্ধ্যায় ফাইনাল ম্যাচ দেখতে ভিড় জমিয়েছিল অসংখ্য মানুষ। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বর্ধমান মিলনী। প্রথম ১০ ওভারে দু’উইকেট হারিয়ে তারা তোলে ৬৩ রান। কিন্তু এর পরেই দ্রুত উইকেট পড়তে থাকে। ১৩ ওভারে ৮৪ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায়। ১৮ ওভারে ১১২ রানে বর্ধমানের সব উইকেট পড়ে যায়। মন্থনের অধিনায়ক অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় ১৬ রান দিয়ে ৫টি উইকেট তুলে নেন। ব্যাট করতে নেমে ১৮.২ ওভারে ১০০ রানে মন্থনের সব উইকেট পড়ে যায়। ১২ রানে ম্যাচ জিতে যায় বর্ধমান মিলনী। ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন বিজয়ী দলের তীর্থঙ্কর ভাণ্ডারি। প্রথম বার এই প্রতিযোগিতায় খেলতে এসে জয়ের স্বাদ পেলেন মিলনী ক্লাবের মিঠুন দত্ত, সৌরভ মণ্ডল, দেবপম বিশ্বাস, অরিন্দম রায়, বিদ্যুৎ অধিকারীরা।
প্রতিযোগিতার আয়োজক ক্লাব দু’টি ২০০৭ থেকে যৌথ ভাবে ডুমুরজলার মাঠে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ শিবির চালু করেছে। এক প্রশিক্ষক বুদ্ধদেব শেঠ বলেন, “অনূর্ধ্ব ১৪, অনূর্ধ্ব ১৬, অনূর্ধ্ব ১৯ এবং সিনিয়র ক্রিকেটার মিলিয়ে প্রায় একশো জন এখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এই প্রতিযোগিতার অধিকাংশ ক্রিকেটার কলকাতার নানা দলে খেলেন।” টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির সভাপতি নিমাই দত্ত বললেন, “১৯৬৫ থেকে ডুমুরজলা মাঠটি পড়ে আছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু খেলা হচ্ছে। আমরা চাই, স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরি হোক।” ১০ উইকেট এবং ৯২ রান করে ম্যান অফ দ্য সিরিজ এবং সেরা বোলারের পুরস্কার পান মন্থনের অধিনায়ক অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এই দলেরই প্রভাস মাইতি সেরা ফিল্ডার এবং সৌভিক চন্দ পান সেরা ব্যাটসম্যানের পুরস্কার। কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়, স্থানীয় কাউন্সিলর তন্দ্রা বসু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ছবি রণজিৎ নন্দী
First Page

Howrah

Next Item




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.