|
|
|
|
মেদিনীপুর মেডিক্যাল |
সব ইউনিয়নের অফিস তুলতে অবশেষে নোটিস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এত দিনের গা-সওয়া অনিয়মের দিকে নজর পড়ল নতুন অনিয়মের জেরে! ঘুম ভাঙল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। গত শনিবার ফিজিওথেরাফি বিভাগের মধ্যেই একটি ঘর দখল করে ইউনিয়ন অফিস খুলেছিল তৃণমূল প্রভাবিত স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের একটি গোষ্ঠী। ‘দখল’ কায়েম রাখতে ঘরটি তালাবন্দি করে দিয়েছিল তারা। আর তাতেই টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। মঙ্গলবার সুপার রামনারায়ণ মাইতির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল হাসপাতাল ঘুরে দেখতে গিয়েছিল। দেখা গেল, কো-অর্ডিনেশন কমিটি, ফেডারেশনের অন্য একটি গোষ্ঠী, তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন এবং জয়েন্ট কাউন্সিলের অফিস রয়েছে হাসপাতালের ভিতরে ঘর দখল করেই! এর পরেই সমস্ত ঘর খালি করে দেওয়ার জন্য সব ক’টি ইউনিয়নকেই নোটিস দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। |
 |
‘বেদখল’ ফিজিওথেরাপি’র ঘর। বাইরেই চিকিৎসা। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, হাসপাতালের মধ্যে কোনও সংগঠন বা কেউ জোর করে জমি বা ঘর দখল করতে পারবে না। নতুন মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা হাল আমলের। কিন্তু তার আগেও হাসপাতালের ঘর দখল করে ইউনিয়ন অফিস চালানো আইনসম্মত ছিল না। তবু একের পর এক ইউনিয়ন অফিস গজিয়ে উঠেছে। কর্তৃপক্ষের এত দিন হুঁশ ছিল না কেন, সে প্রশ্ন থাকছেই। স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের একটি গোষ্ঠীর নেতা সুব্রত সরকারের বক্তব্য, “সব ইউনিয়নকেই আগে থেকে হাসপাতালের ভিতরে অফিসের জন্য ঘর দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। তা হলে আমাদের দোষ কোথায়! হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ঘরের জন্য দাবি জানাতে গেলে, ওঁরা জানিয়েছিলেন, খালি জায়গা থাকলে দেখুন। আমরা একটি খালি ঘর পেয়ে তা পরিষ্কার করে অফিস করব বলে ঠিক করি। এখন বলা হচ্ছে, করা যাবে না।” সুব্রতবাবু অবশ্য বলেছেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি সব ইউনিয়নের অফিস তুলে দেন, তবেই আমরা ঘরের তালা খুলে দেব।” সুপারের বক্তব্য, “আমরা প্রত্যেক কর্মী সংগঠনকেই অফিস তোলার জন্য ৭ দিন সময় দিয়েছি।” সম্প্রতি ফিজিওথেরাপি বিভাগ সম্প্রসারণে উদ্যোগী হয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পও তৈরি হয়েছে। কিন্তু এ জন্য ঘরের প্রয়োজন। সোমবার একটি ঘর তালাবন্ধ এবং ফেডারেশনের ব্যানার দেখে বিভাগীয় প্রধানই লিখিত ভাবে সুপারকে জানান। তার পরেই সুপারের পরিদর্শন। |
|
|
 |
|
|