|
|
|
|
টুকরো খবর |
‘জৌলুস কম’, রক্তদান শিবিরে মন্তব্য দীপকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রক্তদান শিবিরেও ‘জৌলুস’ কম না বেশি, বিচার করছেন সিপিএম নেতারা! ভোটে বিপর্যয় মানসিক ভাবে এতটাই বিপর্যস্ত করেছে তাঁদের। গ্রীষ্মকালীন রক্ত-সঙ্কট মোকাবিলায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএমের উদ্যোগে মঙ্গলবার রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই দলের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার বলে বসেন, “এ বার জৌলুস কম। তবে আমরা চাই আসল কাজটা হোক। রক্তের অভাব পূরণে মানুষ রক্ত দিক।” এই কথায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন দীপকবাবুর দলেরই একাধিক নেতা। তাঁদেরই এক জনের মন্তব্য, “রক্তাদান শিবিরে জৌলুসের প্রসঙ্গ টেনে আনাটা বোধহয় অনুচিত। জাঁক-জমকের সঙ্গে রক্তদানের তো কোনও সম্পর্ক নেই!” শিবিরে ২৬ জন মহিলা-সহ ৩০৪ জন রক্ত দিয়েছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দীপকবাবু জেলা জুড়ে ‘সন্ত্রাস’ শুরু হয়েছে অভিযোগ করে বলেন, “গত এক মাসে ৫ হাজার দলীয় কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া হয়েছেন, ৩৫০ জনকে মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে, দু’শোরও বেশি বাড়িঘর ভাঙচুর, লুঠপাট করা হয়েছে।” তার পরেই সিপিএম জেলা সম্পাদকের ঘোষণা, “রক্তাক্ত-ক্ষতবিক্ষত হলেও আমরা সংগ্রাম থেকে সরব না।” সন্ত্রাস বন্ধের দাবিতে এ দিন মেদিনীপুর সদরের মহকুমাশাসক সুরজিৎ রায়ের কাছে স্মারকলিপিও দেয় বামফ্রন্ট।
|
লাশের চোখ খুবলে নেওয়ার নালিশ, ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
মৃতদেহের চোখ খুবলে নেওয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয়েরা। সুপারকে ঘেরাও করে তাঁরা দাবি করেন, চোখ কী ভাবে খুবলে নেওয়া হল, তা জানাতে হবে। মৃতদেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যেতেও অস্বীকার করেন তাঁরা। ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে জানান সুপার রণজিৎ মণ্ডল। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দিন কয়েক আগে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে আসানসোল হাসপাতালে ভর্তি হন হিরাপুরের পাটমোহনা কোলিয়ারি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সরোজ হাঁসদা (৩৬)। সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। দেহটি মর্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে মৃতদেহ নিতে যান আত্মীয়েরা। মৃতের মা সুন্দরীদেবীর অভিযোগ, “মর্গ থেকে দেহ বের করার পরে দেখা যায়, বাঁ চোখটি খুবলে নেওয়া হয়েছে।” এর পরেই রোগীর আত্মীয়-পরিজনেরা হাসপাতালের সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। হাসপাতাল সুপার রনজিৎবাবু বলেন, “এই ঘটনা অভিপ্রেত নয়। কী ভাবে এমন ঘটল তা আমরা খতিয়ে দেখছি।” |
|
|
 |
|
|